।। প্রথম কলকাতা ।।
World Asthma Day: অ্যাজমা থাকলে কী সারা জীবন নিতে হয় ইনহেলার? এর কোনও বিকল্পই কী নেই? ইনহেলার ছাড়াই কি অ্যাজমার মোকাবেলা করা যায়? ইনহেলার জিনিসটাই বা কী? কী থাকে এই ইনহেলারের মধ্যে? ভুলবশত যদি ইনহেলারের ব্যবহার বন্ধ করেও ফেলেন, ঠিক কতটা ক্ষতি হবে আপনার শরীরে? এই বিষয়ে ঠিক কী বলছেন চিকিৎসকরা? চিকিৎসকের এই পরামর্শ জেনে নিলে বইতে হবে না দুশ্চিন্তার ভার।
অনেক ক্ষেত্রেই চিকিৎসকরা বলে থাকেন যে, অ্যাজমা বা হাঁপানি আসলে জিনগত। বংশগতভাবে শরীরে বাসা বাঁধে এই রোগ। তবে আজকালকার দূষণভরা পৃথিবীতে কোনটা জিনগত আর কোনটা নতুন করে হচ্ছে তা বোঝার উপায় নেই। এই যেমন ইদানিংকালে ক্রমাগত বেড়েই চলেছে অ্যাজমা আক্রান্তের সংখ্যা।
কিন্তু তা সত্বেও এই রোগ নিয়ে জনমানসে খুব একটা সচেতনতা নেই। এমনকি অনেকের কাছে এটাও পরিষ্কার নয় যে, অ্যাজমা হলে কতদিন ইনহেলারের ব্যবহার করতে হবে? তবে চিন্তা নেই, অ্যাজমা প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন, সেটাই জানাবো আপনাদের। আশা করছি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শেই আপনারা আপনাদের প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
তবে এর উত্তর জানার আগে জানতে হবে অ্যাজমা কী? কেন হয় অ্যাজমার সমস্যা? চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে, সাধারণত অ্যাজমা বৃদ্ধি পায় শ্বাসনালীর ইনফ্ল্যামেশনের ফলে। ফুসফুসে বাতাস ঢোকার পথটি ক্রমশ সরু হয়ে ওঠে এবং ফুলে যায়। পাশাপাশি সেই পথে জমতে থাকে মিউকাস। ফলত শ্বাসকষ্ট শুরু হয় এবং বুকের মধ্যে হতে থাকে সাঁই সাঁই আওয়াজ। এমন আবহে ইনহেলার ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। তবে জানেন কি এই ইনহেলারের ব্যবহার কতদিন পর্যন্ত করতে হয়?
চিকিৎসকরা বলছেন, অ্যাজমা বা COPD-র চিকিৎসায় ইনহেলারের কোনও বিকল্প নেই। কারণ ইনহেলার কোনও হাওয়া বা গ্যাস নয়। অন্যান্য ওষুধের মত এটিও একটি ওষুধ মাত্র। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, দেহের অন্যান্য অঙ্গের উপর এই ওষুধের প্রভাব খুবই কম। যে কারণে সমগ্র বিশ্বেই অ্যাজমার ফার্স্ট লাইন অব ড্রাগ হিসাবে ইনহেলার সাজেস্ট করে থাকেন চিকিৎসকরা।
ডক্টররা বলছেন, আর পাঁচটা ক্রনিক রোগের মত অ্যাজমাও একটি ক্রনিক রোগ। তাই আপনি যেমন অন্যান্য রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত ওষুধ খান, তেমন অ্যাজমার ক্ষেত্রেও ইনহেলার জরুরী। তবে ক্ষেত্র বিশেষে চিত্র বদলাতে পারে। একবার অসুখ নিয়ন্ত্রণে চলে এলে ইনহেলারের ডোজ নিয়ে পর্যালোচনা করবেন আপনার চিকিৎসক। সেক্ষেত্রে তিনি মনে করলে ওষুধের ডোজ কমিয়েও দিতে পারেন অথবা কেবল যখন সমস্যা হবে তখন ইনহেলার নেওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন।
মনে রাখবেন ইনহেলার ব্যবহার করারও কয়েকটি নিয়ম রয়েছে। প্রথমেই ইনহেলার ঝাঁকয়ে নিয়ে তারপর ব্যবহার করবেন। ইনহেলার নেওয়ার পর অন্তত ১৫ থেকে ২০ সেকেন্ড মুখ চেপে রাখা জরুরী। সবশেষে মুখ কুলকুচি করতে ভুলবেন না যেন। আশা করছি, এই নিয়মগুলি অনুসরণ করলে আপনি একদম সুস্থ থাকবেন। তবে শরীরে বেশি সমস্যা দেখা দিলে সেক্ষেত্রে অবিলম্বে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম