।। প্রথম কলকাতা ।।
Tollywood: ছক ভাঙা সৈজ থেকে বেরিয়ে আসলেন। এই শাড়িতে যেন অপরূপা টেলিনায়িকা। গয়না ছিল কী কী? শ্বাশুড়ি থেকে বর উপহারে ভরিয়ে দিলেন। এই একটা নেকলেস দিয়ে বাজিমাত করেছেন। বিয়ে করে জেল্লা আরও বেড়েছে সুদীপ্তার। টেলনায়িকার শ্বশুরবাড়িতে একিন কেমন কাটলো।
গতবছর মে মাসে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন টলিউড অভিনেত্রী সুদীপ্তা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রেমিক, তৃণমূলের যুবনেতা সৌম্য বক্সীর গলাতেই মালা দেন তিনি। বেশ ধুমধাম করেই বিয়েটা হয়েছিল দুজনের। দেখতে দেখতে একটা বছর কেটে গেল। এবার পরিবারের সকলকে নিয়ে অ্যানিভা্ারি পালন করলেব সুদীপ্তা। ঘিয়ে রঙের শাড়িতে সেজেছিলেন
মানানসই পোশাক পরেছিলেন সৌম্য। সুদীপ্তার গলায় একটি ভারী নেকলেস। সাথে মোটা ঝুলের হার। হতেও রয়েছে অনেককিছু। ডান হাতে একটি বালা, সাথে পলা বাঁধানো, মানতাসা। পরিবারকে নিয়ে কেক কাটলেন দুজন। শাশুড়ি স্মীতা বক্সিকেও সেজে আসতে দেখা যায়। সুদীপ্তার বাবা প্রয়াত হয়েছেন। তাই মাকে নিজের মনের মত তৈরি করে নিয়ে আসেন।
বছর চারের প্রেম সুদীপ্তা আর সৌম্যর। বিয়ের পর অনুরাগীদের ধন্যবাদ জানিয়ে যৌথ বিবৃতি দিয়ে বলেছিলেন, আমাদের বিয়ে নিয়ে যে ভালোবাসা আর শুভেচ্ছা আমরা পেয়েছি তাতে আপ্লুত। নিজেদের পাশে আরও বৃহৎ একটা পরিবারকে পেয়েছি, যা আমরা আশাও করিনি। আমরা যা দেখেছি, পড়েছি বা যারা যারা আমাদের বিয়ের আনন্দ ভাগ নিয়েছেন তাঁদের ধন্যবাদ দিয়েও শেষ করতে পারব না। আমরা আমাদের একসঙ্গে পথচলা শুরু করছি এটা জেনে যে আপনারা সবসবময় আমাদের পাশে থাকবেন। আমাদের পরিবার, বন্ধু, মিডিয়ার বন্ধুদের অনেক ধন্যবাদ আমাদের বিশেষ দিনে পাশে থাকবার জন্য।
বছর দেড়েক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রথম সম্পর্কে শিলমোহর দিয়েছিলেন তিনি। বিয়ের আগে থেকেই বক্সী পরিবারের সঙ্গে আলাপ পরিচয় ছিল। তাই শাশুড়ি স্মিতা বক্সীর সঙ্গে মানিয়ে নিতেও কোনও সমস্যা হয়নি। ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সুদীপ্তা বন্দোপাধ্যায়ের হাসিতে যেন মুক্ত ঝরছে। চার বছরের প্রেম পূর্ণতা পেয়েছে বিয়েতে, তাঁর ছাপ যেন ফুটে উঠেছে নায়িকার চোখে-মুখে। ব্লাশে রাঙানো গালে লজ্জা মাখানো হাসি। সিঁথিতে সিঁদুর। তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছে জি বাংলার ধারাবাহিক সোহাগ জলে। সেখানেই ভিলেনের চরিত্রে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের বক্তব্য, ভিলেনের চরিত্রে দেখা গেলেও বাস্তবজীবনে তিনি একেবারে অন্যরকম। একেবারেই, ‘পাশের বাড়ির মেয়ে’।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম