।। প্রথম কলকাতা ।।
Headphones Side effects: কোভিডের কারণে লকডাউন আমাদেরকে ঘরবন্দী করে রেখেছিল। পড়াশোনা থেকে শুরু করে অফিসের কাজ সবকিছুই হচ্ছিল ঘরে বসে। আর তার জন্য ইদানিং হেডফোনের কিংউ ইয়ারফোনের ব্যবহার তুলনামূলকভাবে অনেক বেড়ে গিয়েছে। নিজেদের সুবিধার জন্যই আমরা হেডফোন কিংবা ইয়ারফোন ব্যবহার করে থাকি। তবে অনেকেই এমন রয়েছেন যারা হেডফোন বা ইয়ারফোন ছাড়া একটি দিনও অতিবাহিত করতে পারবেন না। তাদের কাছে এটা একটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তবে জানেন কি এই অভ্যাস আপনাকে কতটা বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে!
এবার সাবধান হওয়ার সময় এসেছে। কারণ এই ধরনের অভ্যাসে আপনি নিজেই নিজের অনেক বড় ক্ষতি করে ফেলছেন। ইএনটি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘক্ষণ হেডফোন কিংবা ইয়ারফোন ব্যবহার করার ফলে কানের ক্ষতি তো হচ্ছেই একইসঙ্গে আমাদের মস্তিষ্ক এবং মনের উপরেও খারাপ প্রভাব পড়ছে। আমরা হয়তো অনেকেই জানি না হেডফোন এবং ইয়ারফোন উভয়ই ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ উৎপন্ন করে। আর এটা দীর্ঘ সময় ধরে আপনি ব্যবহার করলে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন রোগ।
কী কী অসুবিধার মুখে পড়তে পারেন আপনি ?
* কানের তীব্র যন্ত্রণা : একটা আওয়াজ যেটা শুধুমাত্র আপনার কানেই অনুরণিত হচ্ছে, এটা বাইরের আর কেউ শুনতে পাচ্ছে না। তাই স্বাভাবিকভাবেই সেটা আপনার কানে চাপ সৃষ্টি করছে। যখনই এই আওয়াজ ৯০ ডেসিবেল কিংবা তার উপরে চলে যায় তখনই কানে যন্ত্রণার মত সমস্যা দেখা দেয়।
* মন মস্তিষ্কে খারাপ প্রভাব : পড়াশোনার কাজ কিংবা অফিসের কাজে হেডফোন এবং ইয়ারফোন আমাদের খুব ভালো বন্ধু হয়ে উঠেছে। কিন্তু এই ইলেকট্রিক্যাল ডিভাইসগুলি থেকে যে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ উৎপন্ন হচ্ছে তা আপনার চরম শত্রু। দীর্ঘ সময় টানা হেডফোন এবং ইয়ারফোন ব্যবহার করার ফলে আপনার মস্তিষ্কে চাপ সৃষ্টি হতে পারে। যা আপনার মানসিক স্বাস্থ্যকে কোন ভাবেই ভালো থাকতে দেবে না।
* শ্রবণে সমস্যা : বর্তমানে কথা বলার জন্য ব্লুটুথ হেডফোনের ব্যবহার করছেন বহু মানুষ। তাদের ক্ষেত্রে ঝুঁকিটা আরও অনেক বেশি। কারণ ওই হেডফোনে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ আরও বেশি পরিমাণে সৃষ্টি হয়। যা আপনার কানের সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই সুস্থ থাকতে হলে প্রয়োজনের থেকে অতিরিক্ত হেডফোন ব্যবহার কমাতে হবে। অতিরিক্ত হেডফোন ব্যবহার করার জন্য আপনি বধিরতার শিকার পর্যন্ত হতে পারেন।
* সংক্রমণের ভয় : হেডফোন এমন একটা জিনিস যা আমরা অন্যের কাছ থেকে নিয়েও ব্যবহার করি । যেমন ধরুন বন্ধুর কাছ থেকে নিয়ে হেডফোন ব্যবহার করা বিষয়টা একেবারেই সাধারণ। কিন্তু এই ধরনের কাজ করলে ব্যাকটেরিয়া এবং জীবাণু আপনার শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। যদি কোন বন্ধুর ইয়ারফোন কিংবা হেডফোন আপনি ব্যবহার করছেন, তাহলে তার সঙ্গে থাকছে ওই হেডফোনের স্পঞ্জটিও। সেটা কিছুক্ষণ আগে ছিল আপনার বন্ধুর কানে। তাঁর শরীরে কোনরকম ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু থাকলে সেটা আপনার শরীরে এসেও ঢুকবে। এইভাবেই কানে সংক্রমণ ছড়াতে পারে । যা সম্পর্কে সচেতন থাকা ভীষণ প্রয়োজন।
শুধুমাত্র হেডফোন কিংবা ইয়ারফোন নয়, যেকোনো ইলেকট্রনিক জিনিসের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার মানুষকে বিপদের মুখে ঠেলে দিতে পারে। প্রযুক্তি অবশ্যই আমাদের সুবিধার জন্য কাজে লাগে। কিন্তু সারাদিন যদি ইলেকট্রনিক জিনিস আমাদের ঘিরে থাকে তবে ধীরে ধীরে আমরাও খানিকটা হৃৎপিণ্ড যুক্ত রোবটে পরিণত হব। তাই নিজের মানসিক-শারীরিক সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য যতটা প্রয়োজন ঠিক ততটাই ইলেকট্রনিক জিনিস ব্যবহার করুন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম