Chongqing Town in China: চীনের এই শহরে বাড়ির ভিতরে দিয়ে চলে রেল। উঁচু উঁচু বিল্ডিংয়ের ওপর সারি সারি পেট্রোল পাম্প! শহরের রাস্তা এত ভজগট যে একবার ভুলে গেলেই কেল্লাফতে। চীনের চংচিং শহর ম্যাজিকে মোড়া।।চীন মানেই শুধু বেজিং, সাংহাই, চেংদুং বা নানজিং নয়। এই দেশটায় এমন আরও অনেক কিছু আছে তা শুনলে বা দেখলে চোখ কপালে ওঠে আমাদের সকলের। চীনের চংচিং শহর তেমনই একটা মজার শহর। এখানে যেমন ২০ তলা উঁচু সাবওয়ে রয়েছে, তেমনই রয়েছে উল্টো চলা ট্রেনও। এখানকার মানুষ কী খায় জানেন? চলুন ঘুরে আসি চীনের চংচিং শহর থেকে।
এই শহরকে বলা হয় চীনের কুয়াশাময় রাজধানী। কারণ চংচিং সারা বছরই প্রায় কুয়াশায় ঢাকা থাকে।এই শহরে এত মানুষ থাকে যে গোটা শহর জুড়েই রয়েছে চোখধাঁধানো বহুতল। তবে বহুতল মানেই যে সবুজের ছোঁয়া থাকবে না তেমনটা একেবারেই নয়। বড় বড় বহুতলের ওপরও প্রচুর গাছ লাগানো রয়েছে। এই শহরে এক রাস্তা বা এক স্ট্রিট থেকে অন্য রাস্তা বা স্ট্রিটে যাওয়ার জন্য লিফট ব্যবহার করা হয়।
আর এই শহরের ইঞ্জিনিয়ারিংই আসলে মাথা ঘুরিয়ে দেয় সকলের।।এই শহরে রয়েছে একটা রেল স্টেশন যার নাম লিজিবা । সেটা কোনও স্টেশন নয় আস্ত একটা বহুতল আর তার মাঝখানে গর্ত করে যেন ঢুকে যায় একটা আস্ত মেট্রোরেল। জানা যায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই চংচিং শহরকে টেম্পোরারি রাজধানী করার হয়েছিল। চংচিংয়ের মানুষের প্রিয় হল ফুটন্ত ঝাল ঝোলে কাঁচা খাবার চুবিয়ে খাওয়া। একে অনেকে ফায়ারিং ডিসও বলে। এর মানে একটা বড় পাত্রে ঝোল দেওয়া হয় তাতে চপস্টিকে করে কাঁচা সবজি বা মাংস ফেলে দেওয়া হয়। সেটা তুলেই মুখে পুড়লে নাকি অদ্ভুত স্বাদ। তবে এই শহরই ঝাল লঙ্কার শহর। এখানে বেশিরভাগ খাবারই খুব ঝাল হয়। চীনের অন্যান্য শহরের মতোই এখানে নানান ধরণের চা পাওয়া যায়।আর পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকেরা এই চা উপভোগ করেন নিজেদের এনার্জি বাড়ানোর জন্য।
https://www.facebook.com/100069378195160/posts/717335207255746/?mibextid=NTRm0r7WZyOdZZsz
এখানে বাজার হাট, শপিং মল, রাস্তা, খেলাধুলোর মাঠ সবটাই বড় বড় বহুতলের ওপরে। আপনি ৩০ তলার ওপর দাঁড়িয়েও বুঝতে পারবেন না এত ওপরে দাঁড়িয়ে আছেন।মনে হবে এটা তো মাটিতেই রয়েছেন আপনি। তারপর নীচে তাকালে টের পাবেন আসলে এ কোন ম্যাজিক। সবশেষে আসি এই শহরের রাস্তার কথা। এখানে এত রাস্তা, এত হাইওয়ে আর এত স্কাইব্রিজ রয়েছে যে একবার যদি আপনি রাস্তা হারিয়ে ফেলেন ভুলবশত ব্যাস তাহলে গুগল ম্যাপও সেই রাস্তা খুঁজে দিতে পারবে না আপনাকে। তবে পর্যটকেরা বলেন এই শহর দিনের বেলায় যেমন চমকে দেয়। রাতের বেলা একটা মায়াবী অনুভূতি তৈরি করে। আলোয় আলোয় ভরে যায় গোটা শহরটা। যারা এই শহর ঘুরেছেন তারা বলেন এটা শুধু চীনের নয় গোটা বিশ্বের মধ্যে সবথেকে ইউনিক শহর।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম