।। প্রথম কলকাতা ।।
Sperm Whale: মানুষকে বোকা বানায় স্পার্ম তিমি। ভীষণ ধুরন্ধর। এদের মস্তিষ্ক মানুষের মস্তিষ্কের থেকে ৫ গুণ বেশি ভারী। জলে বসবাসকারী যত স্তন্যপায়ী প্রাণী রয়েছে, তার মধ্যে তিমিই হলো বিশ্বের মধ্যে বৃহত্তম। সে আপনি উষ্ণ জায়গায় যান কিংবা শীতল, সব মহাসাগরেই তিমির বিচরণ। তিমি বহু রকমের রয়েছে, তার মধ্যে স্পেশাল স্পার্ম তিমি। আশ্চর্য বিষয়, এরা শিকারের জন্য ডুব দিয়ে তিন কিলোমিটার পর্যন্ত গভীরে চলে যেতে পারে। জলের একদম ১০ মিটার গভীরেও সোজা হয়ে ঘুমাতে পারে। যেকোনো প্রাণীর মধ্যে স্পার্ম তিমির মস্তিষ্ক সব থেকে বড়। ওজন প্রায় ৭.৮ কেজি। মানুষের মস্তিষ্কের ওজনের প্রায় পাঁচ গুণ বেশি। স্পার্ম তিমি এত জোরে চিৎকার করে যে, তীব্রতা জলেপৃষ্ঠের নিচে প্রায় ২৩০ ডেসিবেল পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
স্পার্ম তিমি এতটাই ধূর্ত, বোকা বানায় মানুষকেও। একবার আমেরিকার তিমি শিকারি জাহাজ প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর দিকে অভিযান চালায়। ঘটে বিস্ময়কর ঘটনা। তিমি শিকার কমে যায় প্রায় ৫৮ শতাংশ। এই প্রজাতির তিমি খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। আসলে স্পার্ম তিমিরা শিকারির হাত থেকে বাঁচতে নিজেরাই নিজেদের প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গড়ে তোলে। বিশেষ করে আড়াল করে রাখে দলের দুর্বল সদস্যদের। দল বেঁধে চলে। আর এভাবেই নিজেদেরকে খাপ খাইয়ে নিয়েছে উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরের অঞ্চলে। যখনই শিকারের মুখে পড়ে তখনই নিজেদেরকে স্রোতের সঙ্গে মিশিয়ে দেয়। বিজ্ঞানীরা অনেক গবেষণা করে বুঝতে পেরেছেন, স্পার্ম তিমি নিজেদেরকে রক্ষা করার জন্য এমন কৌশল অর্জন করেছে। যার কারণে অধিকাংশ সময়ই মানুষের নাগালের বাইরে থাকে। স্পার্ম তিমি শিকারের করতে সমুদ্রের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চলে যায়। এভাবেই কাটিয়ে দেয় জীবনের বেশিরভাগ সময়। এরা ভীষণ সামাজিক। একসাথে মিলেমিশে বসবাস করে। পরিবার তন্ত্রে বিশ্বাসী। যোগাযোগ করার জন্য ব্যবহার করে বিশেষ সংকেত, যাকে বলা হয় কোডাস। গবেষকরা এরকম কয়েক ডজন কোড সনাক্ত করেছেন।
https://www.facebook.com/100069378195160/posts/713496667639600/?mibextid=NTRm0r7WZyOdZZsz
অ্যাম্বরগ্রিস মূলত এই স্পার্ম তিমির বমি। যা দিয়ে তৈরি হয় দামি দামি তেল মোমবাতি সুগন্ধি। এই তিমির একদম ঠোঁট থেকে মাথা পর্যন্ত জায়গায় জন্মায় স্পার্ম অয়েল। এরা কিন্তু ভীষণ বিরল প্রজাতির এবং সংরক্ষিত। তাই তো বারংবার থাকে শিকারীদের টার্গেটে। যৌন ক্ষমতা আসে অনেক তাড়াতাড়ি। ৭ থেকে ১৩ বছরের মধ্যেই। কিন্তু মস্তিষ্কে পুরো পরিপক্কতা আসতে সময় লাগে ২৫ থেকে ৪৫ বছর । আয়ু প্রায় ৬২ বছরের কাছে। দাঁতগুলো বেশ বড় বড়। দেখতেও ভীষণ সুন্দর। কিন্তু সমুদ্রের গভীরে এদের নাগাল পাওয়া খুব মুশকিল।