।। প্রথম কলকাতা ।।
soumitrisha kundu: একটা সময়ে ডায়েরিতে দেবের ফটো রাখতেন সৌমিতৃষা। রুক্মিণীকে দেবের সাথে দেখলে রাগ হয়? স্বপ্নের সেই হিরোর অনস্ক্রিন বউ হয়েছেন। দেবকে নিয়ে এবার মনের কথা বলেই দিলেন মিঠাইরাণী। রুক্মিণী নয়, এখন সব সময় দেবের পাশে সৌমিতৃষা ভীষণ বকে। রচনার সামনে নায়কের কোন সিক্রেট ফাঁস করলেন? মিঠাই থেকে প্রধান গত কয়েক মাসে বেশ বদলে গিয়েছে রুটিনটা। দেবের সথে এতোগুলো দিন একসাথে শ্যুটিংয়ের কোন দিনগুলো ভুলতেই পারছেন না মিঠাইরাণী?
জীবনের প্রথম সিনেমা। ২০২৩ সালটা অভিনেত্রী সৌমিতৃষা কুন্ডুর জীবনে স্পেশ্যাল। প্রধান-এ নায়ক দেবের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। প্রধানের টিম এসেছিল দিদি নম্বর ওয়ানে। সেখানেই রচনা সৌমিতৃষার কাছ থেকে দেবের সম্পর্কে জানতে চান। ছোটবেলার কোন ঘটনা এখনও মনে রেখেছেন মিঠাই? “যখন স্কুলে পড়ছি তখন দেবদা, জিৎদার ছবি আমরা কেটে ডায়রিতে রাখতাম। এইরকম অনেক ডায়রি আছে ছোটবেলার”। দেবকে নিয়ে আলাদা ইমোশন রয়েছে মিঠাইরাণীর মনে। তা তার কথাতেই স্পষ্ট। খেলার ফাঁকে সৌমিতৃষার কাছে রচনা জানতে চান দেব কেমন কো-স্টার? উত্তরে মিঠাইরানি জানান ভীষণ ভালো এরপর রচনা জানতে চান বকা-টকা দেয়নি তো দেব? মাঝেমাঝে শুনি বকা দেয় সবাইকে, হাসিমুখে সৌমিতৃষা জানালেন না, বকা দেয়নি।
দেবের বিপরীতে অভিনয় করতে গিয়ে শুরুতে একটু ঘাবড়ে ছিলেন সৌমিতৃষা। ছোটবেলার ক্রাশের স্ত্রী হয়ে অভিনয় সত্যিই বড় অ্যাচিভমেন্ট তাঁর কাছে। ছোটবেলা থেকে তিনি নাচ শিখতেন এবং নাচ নিয়েই কেরিয়ার গড়ার লক্ষ্য ছিল তবে বাবা-মার ইচ্ছে ছিল মেয়ে অভিনয় করবে। সৌমিতৃষার কথায় বাবা বললেন, তুমি এটাই করতে চাও কিনা তাহলে তুমি ওপেন ইউনিভার্সিটি থেকে পড়তে পারো। বাবা-মা খুবই সাপোর্ট করে গেছে সৌমিতৃষাকে। তাঁদের জন্য কেরিয়ারে এতো সাফল্য মিঠাইরাণীর।
২০০৭ সালে অগ্নিশপথ ছবির সঙ্গে অভিনয় জীবন শুরু আজকের সুপারস্টার দেবের। সেই ছবির নায়িকা ছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেবের সঙ্গে খুনসুটির সম্পর্ক রচনার। দিদি নম্বর ওয়ান-এর মঞ্চ ছাড়া যে কোনও ছবির প্রচার অসম্পূর্ণ। সেখানেই এসেছিল প্রধানের টিম। সেখানেই সৌমিতৃষা মেয়েবেলার সেই দিনগুলোকে যেন ফিরে দেখলেন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম