।। প্রথম কলকাতা ।।
Prashant Kishor: প্রশান্ত কিশোরের ২০২৪এ লাইমলাইটের আসার চেষ্টা। ইন্ডিয়া জোটের মাথার ওপর ছড়ি ঘোরাবেন পিকে ঘেঁটে ঘ হয়ে যাবে সব। বিজেপিকে কিচ্ছু করতে হবে না একজনই কাফি পিকে-র এমন স্বপ্ন ভঙ্গ করতে। কংগ্রেসে যোগ দেবেন প্রশান্ত কিশোর? তিনি আর কংগ্রেসের কাছে যাবেন না আগের মতো। রাহুল গান্ধী বরং আসতে পারেন প্রশান্ত কিশোরের কাছে। এতদিন বেশ মেঘের আড়ালে থাকার পর এবার পিকে ময়দানে। বিহারের তাঁর দল বের করেছে জন সুরাজ যাত্রা। এদিকে প্রশান্ত কিশোর ইন্টারভিউতে বলে দিচ্ছেন তাঁর সঙ্গে কংগ্রেসের চিন্তাভাবনা ও মতাদর্শে মিল আছে। ঠিক কী চাইছেন প্রশান্ত কিশোর ২০২৪ সালের আগে? কানাঘুষোতে অনেকেই বলছেন পিকের টার্গেট ইন্ডিয়া জোট নয়ত?
ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে সবথেকে বেশি চর্চা হয়েছিল যখন বাংলায় তৃণমূলের হয়ে ২০২১এ তাঁর টিম কাজ করেছিল এবং ২০২১ সালে বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে জিতেছিল তৃণমূল। তারপর যেন কেমন ফিকে হতে থাকে পিকের এফেক্ট। মাঝখানে শোনা গেছিল তিনি কংগ্রেসে যোগ দেবেন কিন্তু রাহুল সনিয়ার সঙ্গে মিটিংয়ের পর সেটাও ভেসতে যায়। এরপর বিহারে তাঁর নিজের দলের সূচনা করেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করছেন হতে পারে এবার বড় কোনও ছক কষছেন প্রশান্ত কিশোর আর সেটা কি? দেখুন রাজনীতির অনেকটাই কিন্তু অনুমানের ওপর নির্ভর করে আর সেই অনুমানেই এটা মনে করা হচ্ছে হয়ত এবার কংগ্রেসে যোগ দিতে চাইছেন পিকে। একবার সেখানে যোগ দিলেই কংগ্রেস ্তাঁকে বড় দায়িত্ব দেবে সেটা একপ্রকার নিশ্চিত। কারণ ৩ রাজ্যে হারের পর কংগ্রেস একেবারে দিশা হারা, তাদের দিশা দেখাবে কে? এটা এখন অনেক বড় প্রশ্ন প্রশান্ত কিশোর কি এই সুযোগটারই অপেক্ষা করছেন? কিন্তু বাকী জোটের মুখেরা কি মেনে নেবেন পিকের আগমন?
একটি বেসরকারী সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাতকারে পিকে বলেন কংগ্রেসের মতাদর্শের সঙ্গে তাঁর অনেকটাই মিল রয়েছে। একইসঙ্গে তিনি এটাও বলেন ‘আমি চাই কংগ্রেস সিদ্ধান্ত নিক তারা আমাকে চান কিনা আমার যেটা করার সেটাই করছি.’ আর ঠিক এই বক্তব্যের পরই অনেকেই মনে করছেন তাহলে কি এবার নেক্সট ডেস্টিনেশন কংগ্রেস? তবে পিকে যদি কোনওভাবে কংগ্রেসে যোগ দেন তাহলে কি বিজেপিকে এবার সতর্ক হতে হবে বেশ কিছু রাজ্যে হিমাচল প্রদেশ, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানায় রয়েছে কংগ্রেসের সরকার বাকী বিহার ছাড়াও বেশ কিছু রাজ্যে কংগ্রেস জোটে সরকারে রয়েছে। পিকের এলে তার স্ট্র্যাটেজি পালে হাওয়া পেলেও পেতে পারে সনিয়া-রাহুলের দল, কিন্তু এখানেই সবথেকে বড় প্রশ্ন হল কংগ্রেসে প্রশান্ত কিশোর ঢুকলে সেটা কি কোনওভাবে মেনে নেবেন ইন্ডিয়া জোটের বাকী নেতারা? যেমন প্রথমেই নাম উঠে আসছে জেডিইউ প্রধান নীতিশ কুমারের বিহারের যার সঙ্গে এখন পিকে ছত্তিশ কা আখরা। কারণ এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের দাবি প্রশান্ত কিশোরকে দায়িত্ব দেওয়া হলে সেক্ষেত্রে বিরোধীদের সঙ্গে আসন সমঝোতাতেও বড় পরিবর্তন হতে পারে।
ইন্ডিয়া জোট নিয়ে অলরেডি বহু মন্তব্য করেছেন পিকে। সেখানে পিকের মতে প্রধানমন্ত্রীর মুখ কে হবেন সেই বিষয়ে এখনও না সিদ্ধান্ত নেওয়ার থেকেও একটি বড় দুর্বল জায়গা রয়েছে ইন্ডিয়া জোটে। তাঁর কথায়, “বিপক্ষদের তরফে জোটের সিদ্ধান্ত যথেষ্ট স্মার্ট, তবে আগামীতে বিরোধী জোট জিতবে কিনা সে সম্পর্কে নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রীর মুখ কে হবেন, কোথায় কোথায় আসন সমঝতা হবে এই বিষয়গুলি তো রয়েইছে এইগুলো খুব সাধারণ ব্যাপার। এই ধরনের মহাজোটে বিষয়গুলি থাকেই।” ভোটকুশলীর দাবি নির্দিষ্ট কোনও বিষয়ের উপর এখনো আলোকপাত করেনি বিরোধীরা তার মনে হয় এটাই বিরোধী জোটের সবচেয়ে দুর্বল জায়গা। লড়াইয়ের ভিত্তিই যেখানে নেই যেখানে মোদীর বিরুদ্ধে জয়লাভ কঠিন হবে কিন্তু পিকের উপদেশ কি আদৌ মানবে ইন্ডিয়া জোট? কংগ্রেসের সামনে দুটো পথ খোলা, পিকে-কে কি বাছবেন সনিয়া রাহুল দেখা যাক কোনদিকে এগোয় জোটের ভাগ্য।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম