।। প্রথম কলকাতা ।।
কংগ্রেসের চাঁদা যাচ্ছে বিজেপির পকেটে। এতবড় ব্লান্ডার কীভাবে? এত বিশাল দল হয়ে এতটা কাঁচা কাজ? ভারত জোড়ো যাত্রা ২.০ শুরু করতে পারেন রাহুল। তবে ডোনেট ফর দেশ শুরু হতেই বড়সড় হোঁচট। নিজেদের ভাঁড়ে মা ভবানী অবস্থা কাটাতে বেশ চমকপ্রদ ক্রাউডফান্ডিংয়ের উদ্যোগ নিয়েছিলেন সনিয়া-রাহুল গান্ধীরা। এখানেও মস্ত বড় ভুল কংগ্রেসকে যে টাকা পাঠাচ্ছে জনগন তা ঢুকছে বিজেপির পকেটে। এমনটা কীভাবে হল? কে নাড়লেন কলকাঠি?
দলের সিন্দুকে টান পড়ায় সাধারণ মানুষের থেকে অর্থ সংগ্রহের জন্য কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে অনলাইনে অর্থ সংগ্রহ অভিযান শুরু করেন, কিন্তু সেই অভিযান শুরু করার আগে তারা সেই সংক্রান্ত নামের ওয়েবসাইট ডোমেন নাম রেজিস্টার করেনি তারা। আর কংগ্রেসের এই গা-ছাড়া মনোভাবকে কাজে লাগিয়ে ময়দানে নেমে পড়ে বিজেপি। কংগ্রেসের ওয়েবসাইটটির নাম ‘ডোনেট ফর দেশ ডট নেট’, বিজেপির ‘ডোনেট ফর দেশ ডট ওআরজি’ ফলে অনেকেই টাকা দিতে গিয়ে বিজেপির ওয়েবসাইটে চলে গিয়েছেন। এর মানে প্রযুক্তি সামলাতে এতটাই কাঁচা কংগ্রেস? যদিও কংগ্রেস নিজেদের ভুল তো স্বীকার করেইনি উল্টে তাদের দাবি, বিজেপি মানুষকে বিভ্রান্ত করতে এই কাজ করেছে।
অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন শতাব্দী প্রাচীন দল এতটা অসতর্ক হবেই বা কেন? কংগ্রেসের কোষাধ্যক্ষ অজয় মাকেন জানিয়েছেন প্রথম আট ঘণ্টায় ৪৭,৫৮৭ জন অর্থ দান করেছেন। মোট ১ কোটি ৬ লক্ষ টাকা জমা পড়েছে এই ক্রাউড ফান্ডিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। ২৮ ডিসেম্বর দলের ১৩৮তম প্রতিষ্ঠা দিবসে কংগ্রেস ঘরে ঘরে গিয়ে অর্থ সংগ্রহ অভিযান শুরু করবে। অবশ্য তাতে এধরণের ব্লান্ডার হওয়ার চান্স কম। এদিকে জানা যাচ্ছে আগামী বৃহস্পতিবার ২১ ডিসেম্বর কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডেকেছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। মিজোরাম, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড় এবং তেলেঙ্গানা ভোটের ফলাফল নিয়েও সেখানে আলোচনা হবে। কেন ছত্তিশগড় ও রাজস্থানে আশাবাদী হওয়া সত্ত্বেও বিজেপি এভাবে হারিয়ে দিল তাদের হতে পারে পুক্ষ্নানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ
কী করে মানুষের সমর্থন ফেরানো যায়?
কী ইস্যুতে ভোটাদের মন জয় করা সম্ভব তা নিয়ে আলোচনা করতেই দলের সর্বোচ্চ কমিটির বৈঠক বসছে। ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে চব্বিশের ভোটে কার কী দায়িত্ব হবে তাও একপ্রকার ঠিক হয়ে যেতে পারে এখান থেকে। সাম্প্রতিক তিন বিধানসভা ভোটে দলের হারের জেরে রাহুল গান্ধী ফের ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করতে পারেন বলেও এআইসিসি সূত্রে জানা যাচ্ছে। কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর যাত্রার পরেই কর্ণাটক, হিমাচল প্রদেশে কংগ্রেসের জয় হয়েছিল। তাই এবার পশ্চিমবঙ্গ থেকে পূর্ব যাত্রা তবে এবার পুরোটাই হেঁটে নাও হতে পারে। কিছুটা হেঁটে, কিছুটা গাড়িতে, এভাবে ভারত জোড়া যাত্রা-টু হতে পারে বলেই সূত্রের খবর।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম