।।প্রথম কলকাতা।।
Howrah planetarium: দীর্ঘ অপেক্ষার পর হাওড়ায় দেশের প্রথম থ্রি-ডি তারামণ্ডল আনুষ্ঠানিকভাবে পথ চলা শুরু করছে। কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল তিন বছর আগেই। শুক্রবার থেকে হাওড়াবাসী পেল দেশের সর্বপ্রথম অত্যাধুনিক ত্রিমাতৃক তারামন্ডল।
এত দিন তারামণ্ডল বলতে যে কোনো মানুষের মনে আসতো কলকাতার ‘বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়াম’। তবে এইবার দেশের প্রথম ত্রিমাতৃক তারামণ্ডলের পালক জুড়ছে হাওড়া শহরের মুকুটে। কাজ সম্পূর্ণ হলেও প্রায় দীর্ঘ তিন বছর ধরে বন্ধই ছিল এটি। অবশেষে দুর্গাপুজোর সময় উদ্বোধন পর্ব সম্পন্ন হয়েছিল। তবে তখন তারামন্ডলটি চালু করা হয় নি। অবশেষে শুক্রবার থেকে কলকাতার হুগলি নদীর অন্য পারে হাওড়াতে প্রথম শুরু হচ্ছে এই ত্রিমাতৃক তারা মন্ডল।
হাওড়া পৌর নিগম সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে এই তারামণ্ডলটি তৈরি করা হয়েছে। এ বছর দুর্গাপুজোর সময়েই এর উদ্বোধন করেছিলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তবে প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে তা তখন খোলা হয়নি। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সব কাজ শেষ হওয়াতে ২ ডিসেম্বর থেকেই ত্রিমাতৃক প্রযুক্তির সাহায্যে মহাকাশ দেখতে পাবেন দর্শকরা। হাওড়া পৌর নিগমের মুখ্য প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ‘‘এই বছর শীতকালে হাওড়ার মানুষের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপহার এই ত্রিমাতৃক তারামণ্ডল। আগামী ২ ডিসেম্বর সাধারণের জন্য এটি খুলে দেওয়া হবে।’’ তিনি জানান, আপাতত তিনটি ‘শো’ দিয়ে শুরু হচ্ছে। প্রতিদিন দুপুর ৩টে, বিকেল ৪টে এবং ৫টা তিনটি শো চলবে। বড়দের জন্য টিকিট মূল্য করা হয়েছে ১২০ টাকা।
যদিও ছোটদের জন্য টিকিটের দাম থাকছে ৭০ টাকা। ত্রিমাতৃক প্রযুক্তির অ্যানিমেশন সহ অন্যান্য প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে দেশি এবং বিদেশি সংস্থা যৌথ ভাবে এই প্রকল্পে কাজ করছে। এই প্রেক্ষাগৃহে একশো আসন রয়েছে। এছাড়াও এতে জাপানি সংস্থা ইয়ামাহার সেভেন পয়েন্ট ওয়ান সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। এই তারামন্ডলে দুটি প্রজেক্টর মেশিন ব্যবহার করা হয়েছে। ২৫-৩০ মিনিটের প্রতিটি শো দেখানো হবে। বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজিতে শো চলবে বলেই জানান তিনি।
এছাড়াও মুখ্য প্রশাসক জানান,সাধারণ মানুষের জন্য ১২০ টাকা ধার্য করা হয়েছে টিকিটের দাম। যদিও স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য তা হবে ৭০ টাকা। পাশাপাশি কোনও স্কুল যদি বেশি সংখ্যক পড়ুয়াদের নিয়ে বিশেষ সময়ে প্রদর্শনী দেখতে চায় সেক্ষেত্রে টিকিটের দাম পড়বে ৫০ টাকা। স্কুলের নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী তারা এই প্রদর্শনী চালাতে পারবেন বলেই জানান মুখ্য প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী।
উল্লেখ্য বিজ্ঞানের এই ত্রিমাত্রিক প্রযুক্তিকে থ্রি-ডি অথবা ‘থ্রি ডাইমেনশনাল’ বলা হয়। এতে বস্তুর দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা এই তিনটি মাত্রা থাকে। তাকে ত্রিমাত্রিক বস্তু বলা হয়। ইতিমধ্যে দর্শকদের মধ্যে প্রবল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে ত্রিমাতৃক প্রযুক্তি। এ বার নক্ষত্রপুঞ্জ সহ তারা মন্ডলী চিনতে ওই প্রযুক্তি ব্যবহার হবে হাওড়ার তারামণ্ডলে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম