।। প্রথম কলকাতা ।।
মধ্যপ্রদেশ-ছত্তিশগড় কেন নতুন মুখকে তুলে আনছে বিজেপি? মাত্র ১০বছর রাজনীতি করেই এমপির মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব। পুরোনো নেতাদের দিতে হবে অগ্নিপরীক্ষা এবার। নতুন মুখ হাইলাইট করার নেপথ্যে রাজনৈতিক অঙ্কটা কি? ইন্ডিয়া জোট টের পাওয়ায় বিরোধীদের চাপ বাড়ছে এখনই। রাজস্থান শুধুমাত্র বাকী? ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশ দেখার পর তাহলে ধরে নেওয়া যেতে পারে নতুন কোনও মুখকেই রাজস্তানের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সির জন্য বাছা হবে তাহলে। ভগবান মহাকালের আশির্বাদ নিয়ে তাহলে দক্ষিণ উজ্জয়নের বিধায়ক মোহন যাদব হলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। সরিয়ে দেওয়া হল শিবরাজ সিং চৌহানের মতো হেভিওয়েট নেতাকে জানেন তো হিন্দি বলয়ের ২ রাজ্যের দুই মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে বড্ড কমন একটা ফ্যাক্টর আছে আর এবার চব্বিশে সেটাই সম্ভবত হতে চলেছে বিজেপির মেন টার্গেট।
সেটা কি জানতে হলে আগে এটা জানুন মধ্যপ্রদেশের নয়া মুখ্যমন্ত্রীর পরিচয়। তাহলে আপনি নিজেই আন্দাজ করতে পারবেন। মোহন যাদব উজ্জয়িনী দক্ষিণের তিনবারের বিধায়ক। এর আগে শিবরাজ সিং চৌহান সরকারের আমলে শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন তিনি একজন পিএইচডি হোল্ডার, একজন কুস্তিগীরও মধ্যপ্রদেশের পর্যনের উন্নতির জন্য মোহন যাদবকে ২০১১-১২ এবং ২০১২-১৩ সালে রাষ্ট্রপতি পুরস্কৃতও করেছিলেন। কিন্তু বলা হচ্ছে মাত্র ১০ বছরের রাজনৈতিক কেরিয়ারে সোজা মুখ্যমন্ত্রীর পদ পেয়ে গেলেন মোহন? সত্যি কি তাই তথ্য বলছে মোহন যাদবের রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৮২ সালে বিজ্ঞান কলেজে ছাত্র রাজনীতি দিয়ে হয়েছিল হাতেখড়ি তখনও বিজেপি বা আরএসএস-এর সংস্পর্শে আসেননি তিনি। ১৯৮৪ সালে, আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদে যোগ দেন মোহন। নির্বাচনী রাজনীতিতে তিনি প্রথম পা রেখেঠিলেন ২০১৩ সালে উজ্জয়ীন দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে প্রথমবারের মতো বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে ফের এই কেন্দ্র থেকেই জিতেছিলেন।
এবার জানুন মোদী-শাহের আসল অঙ্ক। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি রবিবার ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী পদে আদিবাসী নেতা বিষ্ণুদেও সাইকে বেছেছিল বিজেপি আর এ বারও জাতপাতের সমীকরণ মাথায় রেখেই ৫৮ বছরের অনগ্রসর (ওবিসি) নেতা মোহনকে বেছে নেওয়া হল বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের ধারণা। এর মানে তফশিলী ও অনগ্রসর আদিবাসী জাতির ভোটকেই মূলত টার্গেট করেছে বিজেপির হাইকমান্ড। বিশেষজ্ঞরা বলছেন ছত্তিশগড়ে রমন সিংয়ের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। ঠিক একই পরিস্থিতি তৈরি হয় মধ্যপ্রদেশেও। শিবরাজ সিং ও তার দফতরের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে সম্ভবত সেজন্যই একবারে নতুন ও ফ্রেশ মুখ তুলে আনল বিজেপি। যাতে ২০২৪সে পুরোনো ক্ষতের জন্য যাতে কোনও ভোট না কমে। বিজেপি যে হিন্দি বলয়ে কোনও রিস্ক নিতে চাইল না সেটাই পরিস্কার।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম