।। প্রথম কলকাতা ।।
PM Narendra Modi: কোন ট্রিক্সে বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে নরেন্দ্র মোদী? ম্যাজিক জানেন নাকি? ইসলামাবাদ থেকে চীন, মোদির জনপ্রিয়তার গ্রাফ টা দেখেছেন? জো বাইডেন, ট্রুডোরা ছিটকে গেলেন, হাসিনাই বা কোথায়? পরপর টপার, রিপোর্টে লুকিয়ে এ কোন রহস্য লুকিয়ে? কোন মন্ত্রে গোটা বিশ্বকে পেছনে ফেলে বারংবার সুপারহিট ভারতের নমো?জনপ্রিয়তার নিরিখে ফার্স্ট বয় নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদী। তিনি শুধু ভারতের প্রধানমন্ত্রী নন, তিনি গোটা বিশ্বে সবথেকে জনপ্রিয় মানুষদের মধ্যে অন্যতম। বিশ্বের তাবড় তাবড় শক্তিধর রাষ্ট্র্রপ্রধানদের পিছনে ফেলে সবথেকে জনপ্রিয় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
“মর্নিং কনসাল্ট” অনুযায়ী ৭৬%- রেটিংয়ে বিশ্ব নেতাদের হারালেন প্রধানমন্ত্রী। অর্থাৎ, মর্নিং কনসাল্টের এই সমীক্ষায় দেখা গেছে ৭৬ শতাংশ মানুষ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বকে সমর্থন করেছেন। তাঁকে সবচেয়ে বেশি বিশ্বস্ত নেতা বলেও অভিহিত করেছে, যেখানে মাত্র ১৮ শতাংশ মোদীর বিরুদ্ধে তাঁদের মতামত প্রকাশ করেছে। নমোর পোশাক পরিচ্ছদ থেকে শুরু করে বক্তব্য, নীতি, ভাবনা চিন্তা, বাহ্যিক ভাবমূর্তি, ব্যক্তিত্ব সবকিছুই ভারতের পূর্ববর্তী প্রধানমন্ত্রীদের মতো মোটেই নয়। তিনি ব্যতিক্রমী, তিনি ইউনিক। এমনকি চীন পাকিস্তানেও মোদীর আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা। কেন? কোন টেকনিক কাজ করছে?
সদ্য হিন্দি বলয়ের তিন রাজ্যে বড় জয় পেয়েছে বিজেপি। কোনও মুখ্যমন্ত্রীর ‘মুখ’ ছাড়াই এই তিন রাজ্যে ভোটে লড়েছিল বিজেপি। তাদের ভরসা ছিল নরেন্দ্র মোদীর ওপর। মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় এবং রাজস্থানে মোদী মন্ত্রেই বাজিপাত করেছে পদ্ম শিবির। লোকসভা ভোটর আগে মোদীর জনপ্রিয়তায় ফের একবার শিলমোহর পড়েছে এই নির্বাচনগুলিতে। এরই মাঝে সামনে এসেছে আন্তর্জাতিক একটি সংস্থার ফলাফল। যেখানে বিশ্বের তাবড় তাবড় নেতাদের মধ্যে থেকে জনপ্রিয়তা এবং গ্রহণযোগ্যতার নিরিখে ফের একবার শীর্ষে নরেন্দ্র মোদী। গত ২৯ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে এই সমীক্ষার তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল। তাতে গ্রহণযোগ্যতার নিরিখে দ্বিতীয় জনপ্রিয় নেতার তকমা পেয়েছেন মেক্সিকোর অ্যান্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদর, তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ৬৬ শতাংশ, তাঁকে অপছন্দ করা ব্যক্তি হলেন ২৯ শতাংশ।
তৃতীয় স্থানে সুইৎজারল্যান্ডের অ্যালেইন বারসেট; তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ৫৮ শতাংশ, তাঁকে অপছন্দ করেন ২৮ শতাংশ সুইস। চতুর্থ স্থানে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা। তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ৪৯ শতাংশ, আর অপছন্দ করেন সেদেশের ৪৪ শতাংশ মানুষ। এরপরই তালিকায় আছেন অজি প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ, তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ৪৭ শতাংশ। ৪২ শতাংশ অজি নাগরিকদের মধ্যে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা নেই। ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি আছেন ষষ্ঠ স্থানে। তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ৪১ শতাংশ, ৫২ শতাংশ ইতালিয়ান পছন্দ করেন না মেলোনিকে। এই তালিকায় অষ্টম স্থানে আছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। অবশ্য তাঁর দেশের ৫৮ শতাংশ মানুষই তাঁকে পছন্দ করেন না। তালিকায় নবম স্থানে আছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, তাঁর গ্রহণযোগ্যতা মাত্র ৩৭ শতাংশ। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক প্রথম দশে জায়গাই পাননি।
আসলে বুঝতে হবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী যেভাবে বিশ্বের বাকি দেশগুলির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছেন তা শেখার মতো। ব্যালেন্স রেখে এগিয়ে চলেছেন মোদী। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, মোদি আর পাঁচ জন রাষ্ট্রনেতার চেয়ে আলাদা, এটা মনে করে গোটা বিশ্ব।রাশিয়া, আমেরিকা-সহ বিভিন্ন রাষ্ট্রের সঙ্গে মোদির নেতৃত্বে ভারতের যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে, তাও তাঁর জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ বলে মনে করেন গোটা পৃথিবীর মানুষ। শেষ নয়, এই তো সবে শুরু। ভারতবর্ষকে উচ্চ শিখরে নিয়ে যাওয়ার মিশনে নরেন্দ্র মোদীর সফলতাই আগামী দিনে বিশ্বের কাছে তাঁকে এক অন্য জায়গা দেবে বলে মনে করছে বিশ্লেষকরা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম