।। প্রথম কলকাতা ।।
মোদী খুলবেন দুর্নীতির মুখোশ বড় অভিযান বাকী! ঝাড়খন্ডে কংগ্রেস সাংসদের বাড়ি থেকে বান্ডিল বান্ডিল নোট উদ্ধার। ইডির স্পেশাল অপারেশন শুরু হবে নাকি? কোন রাজ্যে দুর্নীতির বোঝা ঠিক কতটা? হিসেব হবে অবিজেপি রাজ্যগুলোতে বুক ঢিপঢিপ বাড়ছে। জোট ইন্ডিয়া উন্নতির চাদরে ঢাকতে পারবে স্ক্যাম! মোদী সরকারের নেতৃত্বে দেশের উন্নতি নাকি বিরোধীদের কাঁধে থাকা দুর্নীতির বোঝা? ২০২৪ মেন ফ্যাক্টর কী? থরে থরে সাজানো টাকা কংগ্রেস সাংসদের বাড়ি থেকে উদ্ধার ২৫০ কোটি টাকারও বেশি নগদ। আয়কর দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে ঝাড়খণ্ডে কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ধীরজ সাহুর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে টাকা। তাহলে কে কতটা নিঁখুতভাবে ঢাকতে পারবে দুর্নীতি, দেশবাসীর চোখে ধুলো দিয়ে সেটারই প্রতিযোগীতা? কিন্তু মোদী করতে দেবেন কি? ৫ রাজ্যের ভোটের পর ময়দান একেবারে ফাঁকা। এবার তো কাউন্টডাউন শুরু একে অপরকে কাঁদা ছোড়াছুড়ির। বিজেপির সরকার থাকা রাজ্যকে টার্গেট করবে বিরোধীরা। উল্টোদিকে একই কাজ করবে ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু দুর্নীতিতে কার পাল্লা কত ভারী?
প্রথমেই গুরুত্বপূর্ণ তিন রাজ্য উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড় পশ্চিমবঙ্গও সেখানে বড়সড় জায়গা করে নিয়েছে। ভাববেন না বিজেপি শাসিত রাজ্য মানেই শুধু উন্নয়ন। কোনও ইডির হানা নেই তেমন কিন্তু নয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি নাগাদই উত্তরপ্রদেশে বড় হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। উত্তরপ্রদেশে মাধ্যমিক উত্তীর্ণদের জন্য সরকারি বৃত্তি প্রকল্পে বড়সড় আর্থিক কেলেঙ্কারি ধরা পড়ে। ১০০ কোটির স্কলারশিপ দুর্নীতি বলা হচ্ছে একে। যা ফাঁস করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। শুধু তাই-ই নয়, রাজ্যের বেশ কয়েকটি কলেজ এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলেও ধারণা করে তদন্তকারী সংস্থা। আর শিক্ষাগত দুর্নীতি কথা যখন উঠছে তখন পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্য বাদ যায় কীভাবে?
বাংলার টেট দুর্নীতির কথা গোটা দেশ ইতিমধ্যেই জেনে গিয়েছে। এদিকে টেট ও রেশন দুর্নীতি মামলায় তৃণমূলের দুই মন্ত্রী ও অনুব্রত মণ্ডলের মতো হাইপ্রোফাইল নেতা জেলে যা নিয়ে লাগাতার আক্রমণ শানিয়ে চলেছে বিজেপি। এবার আসি রাজস্থান, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশের কথায় রাজস্থান এবং ছত্তীসগঢ় এই দুই রাজ্যেই ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ছিল বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ। পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজস্থানেও শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ মাথাচাড়া দিয়েছিল। যার প্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রী এবং প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি গোবিন্দ সিংহ ডোটাসরার জয়পুর ও সীকরের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে বৈভবকেও ইডি সমন পাঠায়। মরুরাজ্যের প্রচারে এবার এই ইস্যুকেই মূল হাতিয়ার করে ভারতীয় জনতা পার্টি। ক্ষমতায় এলে দুর্নীতির তদন্তে SIT গঠন করা হবে বলে ইস্তেহারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। ফল একেবারে মিলেছে হাতেনাতে।
অন্যদিকে ছত্তীসগঢ়ে মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল বিদ্ধ হয়েছিলেন বেটিং অ্যাপ কেলেঙ্কারির অভিযোগে। যা নিয়ে প্রচারে গিয়ে সরব হয়েছিলেন স্বয়ং নরেন্দ্র মোদী। মধ্যপ্রদেশ পড়ুয়াদের বিনামূল্যে রেশনে কোটি টাকার দুর্নীতি অভিযুক্ত মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের অধীন দফতর। এখন অনেকেরই দাবি মোদীর আমলে দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে কোভিডের ভ্যাকসিন থেকে আর্থিক উন্নতি, বিদেশনীতিতে সেরার সেরা। আমেরিকা রাশিয়াও সমীহ করে চলে ভারতকে। কর্মসংস্থান বাড়ছে, মানুষের জন্য একের পর এক জনমোহিনী প্রকল্প এসব কি রুখতে পারবেন বিরোধীরা জোট বেঁধেও? গোবলয়ে ও হিন্দি বলয়ের ফলাফল কি হতে পারে তাতে বিধানসভা ভোটের ট্রেলার দেখিয়েছেন নমো। পশ্চিমবঙ্গ বাদে এই সব রাজ্যে বিজেপির রমরমা সেখানে লোকসভা ভোটে বিজেপির বিরুদ্ধে ওঠা এসব দুর্নীতি ইস্যু কি আদৌ ধোপে টিকবে? রাজনৈতিক মহল বলছে উল্টে কংগ্রেস সহ বাকী জোটদের বিরুদ্ধে থাকা দুর্নীতি অতীত ও বর্তমানই হবে মোদীর বড় অস্ত্র পাল্টা বাঁচার স্ট্র্যাটেজি রয়েছে ইন্ডিয়ার কাছে?
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম