।। প্রথম কলকাতা।।
Bangladeshi terrorist’s Death : বাংলাদেশে একাধিক অসামাজিক কাজের সঙ্গে জড়িত নূর- উন লতিফ নবী ওরফে তমাল চৌধুরী চলে এসেছিলেন কলকাতায়। এখানেই বসবাস শুরু করেছিলেন তিনি । তবে ২৯ তারিখ তাঁর ঘর থেকে তাঁরই নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় । এই মৃত্যুর খবর শুনে তাঁর আগের আবাসনের প্রতিবেশী থেকে পরিচারিকা সকলেই রীতিমতো অবাক। তাদের কাছে ‘ভালো মানুষ’ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন নূর নবী অর্থাৎ তমাল।
বরানগর নর্দান পার্কের একটি আবাসনে তমাল চৌধুরী এবং তাঁর বান্ধবী ভাড়া থাকতেন। সেই ফ্ল্যাটে পরিচারিকার কাজ করতেন লক্ষ্মী ঘোষ । তিনি জানান, অর্পিতা এবং নূর নবীর মধ্যে প্রায়ই অশান্তি লেগে থাকত। তবে বিষয়টি সবসময়ই এড়িয়ে যেতেন তাঁরা। তাদের বাড়িতে আসা যাওয়া ছিল অর্পিতার বোন এবং নূর নবীর ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রীয়ের । চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ নূর নবীকে বরানগরের ওই আবাসন থেকে গ্রেফতার করে সিআইডি। জেরায় বাংলাদেশে তাঁর একাধিক কু-কর্ম সম্পর্কে জানা যায় । এরপর অর্পিতা সেই আবাসন ছেড়ে দেন।
তখনই কাজ করা ছাড়েন লক্ষ্মী ঘোষ। এরপর থেকে তাদের সম্পর্কে কোন খোঁজ খবরই রাখতেন না তিনি। বর্তমানে নূর নবীর মৃত্যু সংবাদ শোনার পরে ওই আবাসনের বাসিন্দা সহ পরিচারিকা প্রত্যেকের যথেষ্ট অবাক হয়েছেন। উল্লেখ্য, গত ২৯ তারিখে হরিদেবপুরের মতিলাল গুপ্ত রোডের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় নূর নবীর মৃতদেহ। তাকে বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। হরিদেবপুর থানা সূত্রে খবর, সম্প্রতি বেকার ছিলেন নূর নবী। এছাড়াও ভীষণভাবে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম