।। প্রথম কলকাতা ।।
Gold Smuggling: এই দুনিয়ায় সোনার নাম শুনলে অনেকেরই চোখ চকচক করে। যকের ধনের মতো কেউ আগলে রাখেন সিন্দুকে। কিন্তু কখনো কি শুনেছেন, সোনা লুকিয়ে রাখে মলদ্বারে? প্রথমটা শুনে একটু গা ঘিনঘিন করতে পারে। হয়ত ভাবছেন, এমনটা কীভাবে সম্ভব? যদিও এই চিত্র একেবারেই নতুন নয়। অহরহ ঘটে চলেছে ভারতের সীমান্তে। নিত্যদিন চোরাচালানকারীদের যম হয়ে উঠেছে বিএসএফ জওয়ানরা। একবার তাদের হাতে থাকা মেটাল ডিটেক্টরে সন্দেহজনক সংকেত আসলেই, ভয়ে বুক কেঁপে উঠে অসাধু ব্যক্তিদের। যতই অভিনব কায়দায় সোনা চালান করার চেষ্টা করুক না কেন, কিছুতেই পেরে উঠে না জওয়ানদের কাছে।
এই তো গত নভেম্বর মাসেই, তামিলনাড়ুর এক ব্যক্তিকে হাতেনাতে ধরে বিএসএফ। তার শরীর থেকে মেটাল ডিটেক্টরে সন্দেহজনক সংকেত দিচ্ছিল। সার্চ করতেই বেরিয়ে আসে পুরো ৬৪ লক্ষ টাকার সোনা। আর সেই সোনা কোথায় লুকানো ছিল জানেন? মলদ্বারে। সেই ঘটনারই আবার পুনরাবৃত্তি হল ডিসেম্বরে। এরকম উদাহরণ ভুরি ভুরি। গত সেপ্টেম্বরেই ৪৭ লক্ষ টাকার সোনা গোপনাঙ্গে লুকিয়ে ভারতে আনতে চেয়েছিলেন এক মহিলা। ধরা পড়েন দক্ষিণবঙ্গ পেট্রাপোল সীমান্তে।
গোটা বিশ্ব জানে, ভারতের অতন্ত্র প্রহরী ঠিক কতটা শক্তিশালী। তাদের নজর কতটা তীক্ষ্ণ। তবে এসব কথা চোরাচালানকারীদের কান অবধি পৌঁছায় কিনা যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। ৫ ডিসেম্বর আইসিপি পেট্রাপোলে এক পাচারকারীর কাছ থেকে বিএসএফ উদ্ধার করল ৪২.৫ লক্ষ মূল্যের সোনা। লুকিয়ে পাচার করার চেষ্টা করছিল। প্রায় ৬০৩৬ গ্রাম সোনা পেস্ট আকারে দু’টুকরো করে লুকিয়ে রেখেছিল মলদ্বারে। ওই ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ কুন্নি আদুকাথবাইল কোলিক্কারা। বয়স প্রায় ৬৩ বছর। থাকেন কেরালার এক গ্রামে। তদন্ত করে জানা যায়, আবুধাবিতে সোনার বাহক হিসেবে চাকরির জন্য ওই ব্যক্তিকে ইব্রাহিম নামক এক আত্মীয় প্রায় দশ হাজার টাকার প্রস্তাব দেয়। তিনি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেন এবং আবুধাবিতে যান। সেখানে দেখা করেন এক অজানা ব্যক্তির সঙ্গে। সেখান থেকেই পান পেস্ট আকারে দুটি নলাকার সোনা। যা লুকিয়ে রেখেছিলেন মলদ্বারে। সেই অবস্থাতেই আবুধাবি থেকে বাংলাদেশ হয়ে আসছিলেন ভারতে। তার জন্য ধরেন বেনাপোল পেট্রাপোল সীমান্তের বাস রুট। কিন্তু শত চেষ্টা করেও বিএসএফের চোখ এড়াতে পারলেন না। আইসিটি পেট্রাপোলের নিরাপত্তার চেকিং পয়েন্ট পার হওয়ার আগেই ধরা পড়ে গেলেন । ঘটনাস্থলেই তাকে আটক করা হয়েছে।
এখানে হয়তো ওই ব্যক্তিকে অনেকেই দোষারোপ করছেন। অবশ্যই দোষ রয়েছে, কিন্তু এর পিছনে রয়েছে আরও বড় চক্র। বহু কুখ্যাত চোরাকারবারিরা গরিব এবং নিরীহ মানুষকে অর্থের লোভ দেখিয়ে প্রথমে ফাঁদে ফেলে। তারপর যুক্ত করে চোরাচালান চক্রের সঙ্গে। মূল কুচক্রী কখনোই সরাসরি চোরা চালানোর সঙ্গে যুক্ত থাকে না। কাজ হাসিল করতে টার্গেট করে গরিব মানুষকে। সীমান্তে আপনার চোখে কোন সন্দেহভাজন ব্যক্তি চোখে পড়লে, বিএসএফের বর্ডার সাথী হেল্পলাইন নম্বরে ( ১৪৪১৯) ফোন করে জানাতে পারেন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম