।। প্রথম কলকাতা ।।
United States China: ইন্দো প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মিসাইল বলয় বানাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। চীন ঘেঁষা দেশগুলোর মাটিতে কোন সিস্টেম পুঁতে দিচ্ছেন বাইডেন? ডিরেক্ট বেইজিং এর বুকে অ্যাটাকের প্ল্যান? গুয়াম’ই হাইভোল্টেজ যুদ্ধের মৌচাক। জাপান ফিলিপাইন জবুথবু। আমেরিকান নৌবাহিনী, সাগরের নীচে অস্ত্রে শান দিচ্ছে। চীনের মাটির নীচের খবর পেয়ে যাচ্ছে বাইডেনের দেশ। ২৪ এই ঘটবে বড় কিছু? মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধের ছায়ায় জড়াচ্ছে চীন যুক্তরাষ্ট্র?সাগরের নীচে রকেট সিস্টেম বসিয়ে দিল আমেরিকা?এবার পালানোর পথ পাবেনা ড্রাগনের দেশ। ২৪ এর ধাক্কায় ভেঙে যাবে না তো সেই জিং পিং এর দেশ চীন?যুক্তরাষ্ট্রের ফুল প্রুফ প্ল্যান সাকসেসফুল হলে এবার কি যুদ্ধ অনিবার্য?
চীনের একদম ভেতরের খবর চলে আসছে হোয়াইট হাউসের হাতে। চালের পাল্টা চাল দিতে বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জলপথ গুলোতে চীনকে শায়েস্তা করার ছক বাইডেনের। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে স্থল-ভিত্তিক মিডিয়াম রেঞ্জের মিসাইল মোতায়েনের পরিকল্পনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যে অঞ্চলকে চোখে হারায় চীন, সেখানেই বিপদের নকশা আঁকছে ওয়াশিংটন। চীনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সক্ষমতা বাড়াতে স্নায়ুযুদ্ধের পর ওই অঞ্চলে প্রথমবারের মতো মিসাইল সিস্টেম বসাতে যাচ্ছে পেন্টাগন। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অন্যান্য প্রতিরোধ ব্যবস্থার সঙ্গে স্ট্যান্ডার্ড মিসাইল-৬, টমাহক ক্রুজ মিসাইলের স্থল-ভিত্তিক ভার্সন মোতায়েন করা হবে। রেঞ্জ ৫০০ থেকে ২৭০০ কিলোমিটারের মধ্যে কিন্তু কেন এতো তড়িঘড়ি চীনকে নজরে বাঁধছে মার্কিন সেনা? একটু বুঝিয়ে বলি, স্নায়ুযুদ্ধের সময় ১৯৮৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিল। নাম ইন্টারমিডিয়েট রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্সেস ট্রিটি বা আইএনএফ ট্রিটি।
২০১৯ সালে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়, যে চুক্তিতে ৫০০ থেকে ৫ হাজার ৫০০ কিলোমিটার রেঞ্জের স্থলভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র নিজেদের কাছে রাখা বা তৈরি নিষিদ্ধ করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র যখন আইএনএফ ট্রিটির কারণে মিডিয়াম রেঞ্জের মিসাইল তৈরি থেকে শতহস্ত দূরে, তখন চীন এসব মিসাইল তৈরি ও উন্নত করার অবাধ সুযোগ পেয়ে গেছে। বেইজিং এখন ১ হাজার থেকে ৫ হাজার ৫০০ কিলোমিটার রেঞ্জের আনুমানিক ১৫০০টি মিসাইল দিয়ে তার অস্ত্রাগার সাজিয়েছে। সেই খবর আছে পেন্টাগনের হাতে। তাই চুপ করে বসে থাকবে না যুক্তরাষ্ট্র এটাই স্বাভাবিক। অতএব, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের মিসাইল সক্ষমতা মোকাবিলা করতেই ওই অঞ্চলে মিসাইল সিস্টেম মোতায়েনের পথে হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০২৪ সালেই ওই সিস্টেম মোতায়েন করবেন পেন্টাগন। কোথায়, কখন মার্কিন মিসাইল সিস্টেম মোতায়েন করা হতে পারে তা বিস্তারিত জানা যায়নি।
যদিও বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে এক্ষেত্রে গুয়াম বেশি গুরুত্ব পেতে পারে। প্রশান্ত মহাসাগরের একটি ছোট দ্বীপ গুয়াম। উত্তর কোরিয়া থেকে ৩৪০০ কিলোমিটার দূরে গুয়াম দ্বীপ অবস্থিত। এই দ্বীপটি পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত মূল ঘাঁটি। মার্কিন সেনা প্রাথমিকভাবে মার্কিন ভূখণ্ড গুয়ামেই মিডিয়াম রেঞ্জের মিসাইল মোতায়েন করবে। পরে প্রয়োজন অনুযায়ী এশীয় মিত্র দেশগুলোতে ওই সিস্টেম নামাবে বলে মনে করা হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ জলপথ বা চীনের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানতে পারে এমন ক্ষমতার মিসাইল মোতায়েন করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র তাই ভবিষ্যতে জাপানের ওকিনওয়া দ্বীপ থেকে তাইওয়ান ও ফিলিপাইন পর্যন্ত বিস্তৃত দ্বীপশৃঙ্খলে প্রচুর সংখ্যক মিসাইল মোতায়েন করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। তবে, জাপান আর ফিলিপাইন আপাতত সেফ। আপাতত, জাপান এবং ফিলিপাইন নতুন করে মার্কিন অস্ত্র মোতায়েনে রাজি নয়। কারণ নতুন করে মার্কিন অস্ত্র মোতায়েন করা হলে চীনা লাল ফৌজের টার্গেটে পরিণত হওয়ার ভয় আছে এসব দেশের। এমনকি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ফিলিপাইনের ঘাঁটিগুলোকে চীনের বিরুদ্ধে স্ট্রাইক অপারেশনের জন্যেও ব্যবহার করবে না। প্ল্যান নেই। চীনা সামরিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র কি কি নামাচ্ছে সেটাও জানা দরকার।
ভ্রাম্যমান এবং আধুনিক মিসাইল ইউনিটগুলোর উপরেই ভরসা রাখছে যুক্তরাষ্ট্র। জাহাজ বা বিমানের চেয়ে এগুলো সুবিধাজনক। এসব মিসাইল ইউনিট শনাক্তকরণ ব্যবস্থা এবং শত্রুদের আক্রমণ এড়াতে পারে। এসব মিসাইল ইউনিটের জন্য কোনো রানওয়ে বা বন্দরেরও প্রয়োজন হয় না। জোর কদমে প্রস্তুতি চলছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, মার্কিন সেনাবাহিনী মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ থেকে থেকে মনোযোগ সরিয়ে এবার চীন রাশিয়ার দিকে মনোনিবেশ করছে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র শত্রুদেশের জাহাজগুলোর দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখছে। দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের সঙ্গে সম্ভাব্য সংঘর্ষের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে। অনেক দূর এগিয়ে গেছে দেশটা। কনফিডেন্সিয়াল খবর, এশিয়ার সেনা ইউনিটগুলোতে প্রিসিসন স্ট্রাইক মিসাইল মোতায়েন করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমানে এই মিসাইল সিস্টেম তৈরির কাজ চলছে। সঙ্গে থাকছে উচ্চ-গতিসম্পন্ন আর্টিলারি রকেট সিস্টেম এবং একাধিক লঞ্চ রকেট সিস্টেম। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র লং রেঞ্জের হাইপারসনিক অস্ত্র তৈরির ফাইনাল স্টেপে পৌছে গেছি বলে মনে করা হচ্ছে। আর এই সব কিছু চীনের জন্য কোন ভালো সিগন্যাল দিচ্ছে না। সেক্ষেত্রে ২০২৪ এ চীন যুক্তরাষ্ট্র সংঘাতে জড়িয়ে পড়লে কোন বিপর্যয় নেমে আসবে পৃথিবীর বুকে?
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম