।। প্রথম কলকাতা ।।
Uttarkashi Tunnel Rescue: টানা ১৭ দিন ধরে সুরঙ্গে আটকে ছিলেন বাংলার দুই ছেলে। উত্তরকাশীর ধস থেকে বেরিয়ে আবার কখনও বাড়ি ফিরতে পারবেন ভাবতেও পারেননি। যেই আরামবাগ লোকাল থেকে তোকিপুর স্টেশনে নামলেন দুজনকে ঘিরে কত উচ্ছ্বাস। গায়ে-মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন কেউ আবার পরিয়ে দিলেন রজনীগন্ধার মালা। এই দুর্ঘটনার পরও থেমে থাকা নয়, উত্তরকাশীর দুর্গম সুড়ঙ্গকে জয় করে আবারও সেই সুড়ঙ্গেই ফিরতে চান বাংলার দুই শ্রমিক। উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার হওয়া পুরশুড়ার দুই শ্রমিক হরিণাখালির বছর চব্বিশের সৌভিক ও নিমডাঙির বছর উনিশের জয়দেব। উত্তরকাশীর সুরঙ্গের ধস থেকে দুই ছেলেকে যে তার পরিবার ফিরে পাবে কল্পনাও করেননি। কিন্তু সে অসম্ভব সম্ভব হয়েছে।
স্টেশন থেকে কাছেই জয়দেবের বাড়ি। টোটো করে পৌঁছন বাড়িতে। তাঁর মা ও আত্মীয়েরা বাড়ির সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। ছেলেকে দেখেই বুকে জড়িয়েই চোখের জলে ভাসালেন। গায়ে-মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন বাবা ছেলেকে ফিরে পাওয়ার আনন্দে চোখের জল তখন বাঁধ মানছে না। বাড়ি ফিরতে পারবেন ভেবেছিলেন জয়দেব? আবারও কাজে ফিরব কোনও ভয় নেই! জোর গলায় বলে উঠলেন। ১৭ দিন ধরে বাড়িতে খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে শুধু প্রার্থনাই করে গেছেন সৌভিকের পরিবারের সদস্রা। টানা ১৭ দিন ধরে উত্তরকাশীর সুরঙ্গেতে আটকে থাকা ছেলে মুক্তি পেয়েছে। পরিবারের পরিজনদের উন্মাদনার শেষ নেই। ভয়কে কীভাবে জয় করলেন সৌভিক? নিজের মুখেই জাানালেন।
সুড়ঙ্গ থেকে বের করে ৪১ জন শ্রমিককেই উত্তরাখণ্ডের হাসপাতালে দু দিনের জন্য ডাক্তারদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। তারপর একে একে সকলেই যে যাঁর বাড়ি ফিরছেন। অন্ধকার টানেল থেকে মুক্তির পর বাড়ি ফিরেছে হুগলির দুই ছেলে। শুধু পরিবার নয়। এই আনন্দ গোটা বাংলার।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম