।। প্রথম কলকাতা ।।
Israel-Hamas war: হামাস বন্দি বানাল খতরনাক ইজরায়েলী সেনা জওয়ানদের। যুদ্ধক্ষেত্রে ছেড়ে পালাচ্ছে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (Israel Defense Forces) সেনারা। নেতানইয়াহুর চোখে ধুলো দিতে কবে ঘটল এমন ঘটনা? যুদ্ধবিরতির সময় কেন বাড়াচ্ছে বলুনতো বারবার? দয়াবান ভাবছেন নাকি আপনি ইসরাইলকে? অঙ্ক কষা হয়েছে বড়সড় পরিণতি তো দেখাই যাবে। মোসাদের পর এবার আইডিএফ ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স ডাঙা ফেল নাকি? গাজার যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ভয়ে পালাচ্ছে ইজরায়েলের সেনারা। নিজেদের গরিমা জাহির করতে ইজরায়েলর তা কোনওদিনই স্বীকার করবে না কিন্তু প্রকাশ্যে চলে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। হামাসের নেতাদের খুঁজতে গিয়ে হামাসের হাতেই বন্দি হলো ইজরাইলের ডিফেন্স ফোর্স। আর আইডিএফ এর (ID) সেনারাই হামাসের তুরূপের তাস। কেন যু্দ্ধবিরতির সময় বারবার করে বাড়ানো হচ্ছে সেটা নিয়ে আপনার স্পষ্ট ধারণা আছ? ইজরায়েল বহু ফিলিস্তিন বন্দিদের মুক্তি দিয়েছে, আরো হয়তো দেবে। কারণ হামাস শর্ত রেখেছে সেরকম। হামাস এদিকে পণবন্দি ইজারায়েলিদের ছেড়েদিচ্ছে।
বছর ২০ তোমার ইয়াকভ আহিমাস বছর ১৯ এর কিরিল ব্রোডিসকি ও সাকেদ দাহান ৭ অক্টোবর এই তিন সেনা জওয়ানকেই প্রথমে বন্দি বানায় হামাস। আর বলতে পরেন এরাই ছিল হামাসের সোনার ডিম পারা হাঁস। হামাস জানত এদের তিনজনকে বাজি রেখেই অনেক খেলা ঘোরাতে পারবে তারা কিন্তু সেই মনস্কামনা আদতে পূর্ণ হল কি? জানা গিয়েছে দুই ইজরায়েলি সেনাকে বহিস্কার করা হয়। কারণ গাজার উত্তরাঞ্চলে আল কাসাম ব্রিগেডের কাছ থেকে বাঁচার জন্য যুদ্ধক্ষেত্রে ছেড়ে পালায় ওই দুই সেনা। তারা মেনে নিচ্ছেন তাদের বিশেষ কোনও সহায়তা করা হয়নি। তাই হামাস যোদ্ধাদের মোকাবিলা করতে গিয়ে ঘাবড়ে যান তারা। তাহলে ইজরায়েলের যোদ্ধারাও ভয় পায় বলছেন! এবার আসি যু্দ্ধবিরতির কথায় এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের একপক্ষের দাবি যুদ্ধবিরতির সময় বাড়াতে কঠোর পরিশ্রম করছে হামাস। প্রথমে চারদিন, পরে দুদিনের যুদ্ধবিরতিতে রয়েছে হামাস, ইসরায়েল। তারপর এখন আবার ২৪ ঘন্টা সময় বেড়েছে যুদ্ধবিরতির।
এর মধ্যেও গাজায় হত্যাকান্ড ঘটে গেছে। এদিকে মেরে ফেলা হয়েছে পশ্চিম তীরের বহু মানুষকে। হামাস তাই পরিস্কার বলেছে তাদের টার্গেটই হল এই যুদ্ধবিরতির সময় যতটা বেশি বাড়ানো মানে সম্প্রসারণ কিন্তু এরই মাঝে বিপাকে পড়ে গেলেন নেতানইয়াহু কারণ এখানে হামাসের ছোট্ট একটা খেলা। যে তিন ইজরায়েলি সেনা জওয়ানের নাম এই প্রতিবেদন আগেই বলেছি তাদের অলরেডি মৃত্যু হয়েছে বলে খবর আর এটা যে ইজরায়েলের কাছে বড় লস সেটার বলে বোঝানোর দরকার নেই। হামাস জানিয়ে দিল তাদের হাতে অপহৃত সব ইজরায়েলি সেনাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। তার জন্য ইজরায়েলের জেলে আটক সব ফিলিস্তিনি বন্দিদের ছেড়ে দিতে হবে। তাহলে আরও কত সেনা এখনও হামাসের হাতে রয়েছে?
ইতিমধ্যেই ১৪ জনকে ছেড়ে দিতে সম্মত হয়েছে হামাস। এদের মধ্যে ১০ জন ইজরায়েলি ৪ জন থাইল্যাল্ডের নাগরিক। এদের মতে সেনাজওয়ানেরা নেই। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাসেম নইম কেপ টাউনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন ইজরায়েলের সব সেনাকে ছেড়ে দেওয়া হবে যদি সেখানকার জেলে বন্দি সব ফিলিস্তিনিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আর এখানেই চরম চাপে বেঞ্জামিন নেতানইয়াহু। কাতার ও মিসর যুদ্ধবিরতি বাড়ানো নিয়ে গাজার হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে আলোচনায় মধ্যস্থতা করছে এই দুটো দেশই। আসলে হামাস চাইছে এটাই সুযোগ ইসরায়েলি কারাগারে থাকা সমস্ত ফিলিস্তিনি বন্দীর মুক্তির হয়ে যাক। সঙ্গে হামাসকে গ্যারান্টিও দিতে হবে এই ফিলিস্তিনি বন্দিদের আর কখনও গ্রেপ্তার করবেনা ইসরাইল, কিন্তু ইজরায়েলর এত সহজে তা মানবে কিনা সেটাই হল আসলে দেখার।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম