।। প্রথম কলকাতা ।।
India-China: একইপথে একসঙ্গে হাঁটল বেজিং ও দিল্লি। হ্যাঁ এটাই সত্যি। চীনও মাথা নত করে মেনে নিল কোনও ভুল হয়নি। ইজরায়েলকে নিয়ে যত গন্ডগোল, দুবার ভাবেনি ভারত। ভারত চীন দুই প্রতিদ্বন্দীকে তাহলে মিলিয়ে দিতে পারল ইজরায়েল। আমেরিকার বিরুদ্ধে গিয়ে বড় সিদ্ধান্ত ভারত ও চীনের। ভারতের সিদ্ধান্তে চোখ বন্ধ করে সিলমোহর দিয়েছে শি জিনপিংয়ের দেশ। এমন কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল ইজরায়েলের বিরুদ্ধে ভারত তাহলে আর নেতানইয়াহুর সিদ্ধান্তের সঙ্গে কোনও আপস করবে না? এতে চীনের ইনফ্লুয়েন্সই বা কতটা?
ইজরায়েল শুধু প্যালেস্টাইনের জমি দখল করেছে এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। সিরিয়াতে ইজরায়েলের কত বড় দখলদারির প্রভাব রয়েছে জানেন? ভারত যে ইজরালেয়ের একটা দখলের নীতিও সমর্থন করে না সেটা খাতায় কলমে বিশ্বের সামনে প্রমাণ হয়ে গেল আবারও। একটু পরিস্কার করি ছবিটা আপনাদের কাছে। ১৯৬৭ সাল থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম সিরিয়ার গোলান হাইটস অঞ্চলটি ইজরায়েলি সেনার দখলে রয়েছে। এর আগেও এই ভূখণ্ডে ইজরায়েলের পদক্ষেপ নিয়ে নিন্দা প্রস্তাব পেশ হয়েছে রাষ্ট্রসংঘে। সেই সময়েও গোলান হাইটসে ইজরায়েলি সেনার দখলের বিরোধিতা করে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ভারত কিন্তু এখানে চীন এল কোথা থেকে? চীনের ভূমিকা কী? মঙ্গলবার ইজরায়েলের এই দখলদারির বিরুদ্ধে প্রস্তাব পেশ হয় রাষ্ট্রসংঘে। সেখানে বলা হয় নিরাপত্তা পরিষদের নিয়ম লঙ্ঘন করছে ইজরায়েল। সিরিয়ান গোলান হাইটস এলাকায় নিজেদের আইন ও প্রশাসন চাপিয়ে দিয়েছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দেশ। ফলে ওই এলাকার শান্তি নষ্ট হচ্ছে সেইজন্য ওই এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিতে হবে ইজরায়েলকে।
আর এই প্রস্তাবের সমর্থনে গিয়েও ইজরায়েলের বিরুদ্ধে গিয়ে ভোট দেয় ভারত। শুনলে অবাক হতে পারেন ভারতের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছে চীনও। সবমিলিয়ে মোট ৯১টি দেশ এই প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে। ভারত ও চীন ছাড়াও ইরান, ইরাক, লেবানন-সহ ৯১টি দেশ এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। তবে প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ও ইজরায়েলর পক্ষে ভোট দিয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন, কানাডার মতো দেশগুলো। এর মানে আমেরিকা মনে করে না সিরিয়ার গোলান হাইটসে। ইজরায়েলের সেনার দখলকারি কোনও বেআইনি ঘটনা নয়। অবশ্যে এক্ষেত্রে ওয়াকিবহাল মহলের দাবি আমেরিকা ইজরায়েলের বিরুদ্ধে টেকনিক্যালি যাবে না এটাই স্বাভাবিক। আর চীনও প্রথম থেকে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে। তাই ভারতের পাশাপাশি চীনও ভোট দিয়েছে। এতে ভারত চীন সম্পর্কের বরফ গলবে এমন মনে করার কোনও কারণ নেই।
বলে রাখা ভালো এক্ষেত্রে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপুঞ্জে মিশর এনেছিল এমন এই প্রস্তাব স্বভাবতই বিরোধিতা করেছে ইজরায়েল ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, ইউক্রেনের মতো দেশগুলো। ভোটদানে বিরত থেকে ভারত বুঝিয়ে দিল নিজেদের অবস্থান আগেও যা ছিল তার থেকে এক চুলও নড়েনি।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম