৷৷ প্রথম কলকাতা৷৷
India-Russia relation: কেন রাশিয়াকে যুদ্ধে সমর্থন করেনি ভারত? আসল কারণ প্রকাশ্যে৷ ভারতের কাছে এবার পুতিনের দেশ হাত পাতছে৷ ইউরোপ ভারতকে হাতে রাখছে শেষদানের জন্য ভারতের সব কথা কি পুতিন শুনবেন? তৈরি হচ্ছে ধর্মসংকটের পরিস্থিতি৷ যুদ্ধ চলছে, সঙ্গে চলছে কূটনীতিও৷ পশ্চিমাদের যেদিকে এগোচ্ছে তাতে ভারতের কাঁধে হয়ত খুব জলদি আসতে চলেছে অনেক বড় দায়িত্ব৷ ভারত রাশিয়ার বন্ধু হলেও পুতিন কি মানতে বাধ্য হবে মোদীর কথা? রাশিয়ার কাছে বিকল্প পথ শেষ হয়ে যাচ্ছে এবার৷ কূটনৈতিক মহল কেন বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দড়িটা এবার টেনে ধরতে পারে একমাত্র নয়া দিল্লিই৷ কিন্তু সব অংশ যে তেমনটা মেনে নিচ্ছেন সেটাও কিন্তু নয়৷
পশ্চিমারা এবার হাত করতে চাইছে ভারতকে এটা শুনে অনেকেই নাক কুঁচকাতে পারেন কিন্তু আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের আগাম স্টেপের একটা পেয়ে ভারতের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ৫০০ পণ্য চেয়েছে রাশিয়া৷ রয়টার্সের তথ্য বলছে, প্রাইভেট কার, উড়োজাহাজ, ট্রেনসহ ৫০০টিরও বেশি পণ্যের যন্ত্রাংশ সরবরাহের জন্য একটি তালিকা ভারতকে দিয়েছে রাশিয়া৷ নেপথ্যে ঘুরে ফিরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার বেড়া৷ মস্কো এই অবস্থায় একমাত্র ভারতকেই ভরসা করছে৷ কেন চিনের কাছে সাহায্য চাইল না রাশিয়া? প্রশ্নটা এখানেও রয়েছে৷ আন্তর্জাতিক মহল বলছে, ভারত যে কূটনৈতিক অবস্থানে যুদ্ধে শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত রয়েছে৷ তাতে রাশিয়া ও ইউক্রেন দুই পক্ষের সঙ্গেই তাল মিলিয়ে চলছে ভারত৷ এতে ভারতের ক্ষতি তো হয়নিই বরং লাভ হয়েছে৷ সেই লাভের অংশীদার হতে চাইছে এবার পশ্চিমারাও৷
আল জাজিরার বিশ্লেষণ বলছে, রাশিয়া-ইউক্রেন সমঝোতার জন্য ‘ভালো অবস্থানে’ রয়েছে ভারত৷ তবে বিশেষজ্ঞরা এটাও বলছেন যুদ্ধ যতই জোরদার হয়েছে, বিশ্বজুড়ে বেড়েছে জ্বালানি ও খাদ্যের সংকট। ফলে রাশিয়া নিয়ে নিজেদের অবস্থান নতুন করে ভাবতে হচ্ছে দিল্লিকে৷ কিন্তু আমেরিকা ও ইউরোপের লীগ ইউক্রেনকে সমঝোতার টেবিলে আনতে পারছে না ঠিকই৷ তবে তারা দেখছে মস্কোর নির্ভরতা ভারতের ওপর বাড়ছে৷ রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞায় অনেকটা কোণঠাসা মস্কো৷ এমন পরিস্থিতিতে দিল্লির সঙ্গে বাণিজ্য বাড়িয়ে সম্পর্ক জোরদার করতে চাইছেন পুতিন৷ আমেরিকা দেখছে মস্কোর দুর্বলতা গাঢ় হচ্ছে ভারতের প্রতি৷ তাই কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়া ও চীনের সম্পর্ক ভালো নয়৷ সে কারণে পশ্চিমারা চাইছে ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে গত জুলাইয়ে দিল্লির সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ে বৈঠক করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। চলতি বছরে অস্ট্রেলিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি করেছে ভারত এরই মধ্যে ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষাবিষয়ক অংশীদারত্ব বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকেই বলছেন, আসলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ কবে শেষ হবে, তার কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। আগামী ডিসেম্বর থেকে জি-২০-এর নেতৃত্বে থাকবে ভারত৷ তাই যুদ্ধ থামানোয় বড় ভূমিকা রাখতে পশ্চিমা দেশগুলো৷ ভারতের কাছে অনুরোধ করতে পারে মস্কোর সঙ্গে কথা বলার জন্য সেক্ষেত্রে ভারত কি স্টেপ নেবে? আদৌ এমনটা করবে কিনা? করলে কোন কৌশলে মস্কোকে বোঝাবে, সেই খেলাটাই দেখার বাকি৷
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম