।। প্রথম কলকাতা ।।
নদীর গভীরে ভারত বাংলাদেশের জবরদস্ত কানেকশন। বাংলাদেশী মেডিক্যাল ট্যুরিস্টরা হাতে চাঁদ পাবে। ভিসা ছাড়াই এবার ভারত টু বাংলাদেশ? রহস্যের আধার এই রুট। এতো বছরের সম্পর্কে বড় চমক, বিমান-বাস-রেলের পর নতুন প্ল্যানিং ফাঁস। জলপথে কীসের এতো আগ্রহ? গলায় গলায় ভাব, বন্ধু বাংলাদেশের জন্য এবার কী করবে ভারত? জলপথেই হবে ধামাকা। ভারত বাংলাদেশের মধ্যে ফেরি সার্ভিস শুরু? না, স্বপ্নপূরণের পথে এগোতে এখনও কয়েক ধাপ বাকি। তবে, বিমান-বাস-রেলের পর অদূর ভবিষ্যতে জলপথেও মিলবে বাংলাদেশ সফরের সুযোগ। এতে বড় বেনিফিট হবে ভারত সহ ওপার বাংলার।
আর বাংলাদেশী মেডিক্যাল ট্যুরিস্টদের জন্য তো এই অপশন সোনায় সোহাগা। বাংলাদেশে ভারতের ভিসার চাহিদা তুঙ্গে। তারমধ্যে মেডিক্যাল ভিসার চাহিদা বেশিই।ভারতের তরফে প্রতিবছর প্রায় ১৬ লক্ষ ভিসা দেওয়ার পরেও সম্পূর্ণ চাহিদা পূরণ সম্ভব হয় না এটা বলছে বাংলাদেশ। কে না জানে ভারতে চিকিৎসার প্রয়োজনে আসা বিদেশিদের মধ্যে বাংলাদেশিদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে প্রতি বছর। তথ্য বলছে, একযুগ আগেও ভারতে চিকিৎসা নিতে আসা মেডিকেল ট্যুরিস্টদের মধ্যে বাংলাদেশী ছিল প্রায় ২৩ শতাংশ।২০২০ সালের হিসাবে সেই পরিমাণ ৫৪ শতাংশ ছাড়িয়েছে।
দিনে দিনে এই পরিমাণটা বাড়ছে। ভারত সরকার ও এই বিষয়ে যথেষ্ট সংবেদনশীল। এ বিষয়ে যাতে দ্রুত কাজ হয় তার জন্য লোকও পাঠিয়েছে! আগামী বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে এই নিয়ে ‘কনস্যুলার ডায়ালগ’ হওয়ার কথা। সেখানেই দু দেশের মধ্যে যাতায়াতের আরও রাস্তা খোলার বিষয়ে আলোচনা হবে। বলাই বাহুল্য এতে বাংলাদেশী মেডিকেল টুরিস্টদের জন্য বিরাট সুবিধা অপেক্ষা করছে। অলরেডি দুদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এই নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা হয়ে গেছে। ভারতের বিদেশ সচিব বিনয় কোয়াত্রার সঙ্গে বাংলাদেশের বিদেশ সচিব মাসুদ বিন মোমেনের দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় দুই দেশের মধ্যে নদীপথে যাতায়াতের বিষয়টা গুরুত্ব পেয়েছে।
দুই দেশের দেশের মধ্যে নদীপথে যাতায়াত শুরু হলে কীভাবে ভিসা দেওয়া হবে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে শুধু জলপথে বাংলাদেশে সফর চালু নয়। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে জলবন্টন থেকে শুরু করে বাণিজ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থার মতো একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। নতুন এই পরিবহন ব্যবস্থা দুই দেশের উপকূলীয় এলাকায় পর্যটন ও বাণিজ্যে জোয়ার আনবে। দুই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে। পরিবহনের নতুন দিশা, ভারত বাংলাদেশ সম্পর্কে অন্য মাত্রা দেবে। এবার এই আলোচনায় শুধু শিলমোহর পড়ার অপেক্ষা। দু দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। জলপথ ছাড়াও অন্য পরিকল্পনা রয়েছে ওপার বাংলার। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বাংলাদেশ থেকে গাড়ি চালিয়ে ভারতের মালদহে পূর্বপুরুষের ভিটে পরিদর্শন করতে এসেছিলেন। বিশেষ অনুমতি নিয়েই তিনি এসেছিলেন। তার পর থেকেই। দুই দেশের মধ্যে কীভাবে সাধারণ মানুষও গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করতে পারে, সে বিষয়েও ভাবনাচিন্তা চলছে! তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও এই নিয়ে কোন রকম আলোচনা শুরু হয়নি।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম