।। প্রথম কলকাতা ।।
Mamata Banerjee: মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হিঙ্গলগঞ্জে একটি সভার আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার দুপুরে উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদের খাঁ পুকুর গ্রামে অকাল উৎসবের আমেজ চোখে পড়ল। কারণ গ্রামের সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রায় সারাদিনটা কাটালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, এক গৃহস্থের বাড়িতে বসে স্টিলের থালায় ট্যাংরা মাছের ঝোল দিয়ে মধ্যাহ্নভোজন সারলেন তিনি।
জানা যায়, এদিন সকালের দিকে টাকি থেকে বেরিয়ে তিনি মিনি সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। সেখান থেকে পথেই একটি প্রাথমিক স্কুলে ঢুকে পড়েন। ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর জামাকাপড়, শীতের পোশাক বিতরণ করা শেষ করে গ্রাম পরিদর্শনে বেড়ান। আচমকাই তিনি ঢুকে পড়েন এক বাড়িতে। আর বাঙালিদের মধ্যে এই নিয়ম যুগ যুগ ধরে প্রচলিত। দুপুরে কোন অতিথি এলে তাকে দুমুঠো ভাত না খাইয়ে কিছুতেই ছাড়া হয় না।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন গিয়েছিলেন খা্পুকুর গ্রামের বৈদ্যপাড়ার নমিতা মণ্ডলের বাড়িতে। ভরদুপুরে অতিথি হয়ে তাঁর বাড়িতে এসেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী । তাই তিনিও দিদির কাছে দুমুঠো ভাত খেয়ে যাওয়ার আবদার করে বসেন। অবশ্য সেই আবদার রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী। উঠনে চেয়ারে বসে থালা হাতে নিয়েই ট্যাংরা মাছের ঝোল দিয়ে ভাত খেতে দেখা গেল তাকে। যদিও তাঁর পাতে ছিল ওল- আলুর তরকারিও। খাওয়া শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান দারুন টেস্ট হয়েছিল। খুব ভালো খেয়েছেন তিনি।
এছাড়াও ওই গ্রামের মহিলাদের সঙ্গে বসে খেজুর পাতা দিয়ে মাদুর তৈরি করার চেষ্টাও করেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের বিভিন্ন অভাব অভিযোগের কথা শোনেন। আর তারপর নির্দেশ দেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় প্রশাসককে এলাকায় যে জলের সমস্যা রয়েছে তা মিটিয়ে দিতে হবে। অনেকেরই ধারণা ছিল মঙ্গলবার হিঙ্গলগঞ্জের সভা শেষে হয়তো বুধবার কলকাতায় ফিরে যাবেন তিনি। কিন্তু বুধবার আচমকাই তাঁর গ্রাম পরিদর্শনে কিছুটা হইচই পড়ে যায় এলাকায়। তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই মাটির মানুষের মতো আচরণে খুশি হয়েছেন গ্রামবাসীরা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম