।। প্রথম কলকাতা ।।
গোটা মায়ানমার চীনের কবজায়। পিএলএ আর্মি ঢুকে যাবে। বঙ্গোপসাগরে পড়তে পারে বেজিংয়ের থাবা।
মায়ানমারে লালফৌজ ঢুকলেই ভারতের কেন প্রেসার বাড়বে? জুন্টার সঙ্গে জিনপিংয়ের কোন ডিলটা হয়ে গেল? হ্যাঁ যে ডিল হয়েছে মায়ানমার ও চীনের মধ্যে তাতে একটা বড় এফেক্ট যে পড়তে পারে ভারতে। এমনই অনুমান করছেন কূটনৈতিক মহলের অনেকেই। ঠিক যে আশঙ্কাটা করা হয়ছিল বা চীন যে সময়টার জন্য অপেক্ষা করছিল সেই সময়টা চলেই এল। মায়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির আতঙ্কে এবার চীনের দ্বারস্থ হয়েছে জুন্টা সরকার। সে দেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত চেন হাইয়ের সঙ্গে বৃহস্পতিবার রাতে বৈঠক করেছেন জুন্টা সরকারের বিদেশমন্ত্রী। খান শোয়ে-সহ কয়েক জন সামরিক শীর্ষকর্তা। তাহলে কি এবার পিএলএ আর্মিকে পুরো মায়ানমারের অ্যাক্সেস দিয়ে দেবে জুন্টা? পিএলএ আর্মিই কি মায়ানমারের বিদ্রোহীদের সায়েস্তা করবে? সবথেকে বড় খবর গোটা পরিস্থিতির ওপর ভারতের কড়া নজর রয়েছে কিন্তু কেন? মায়ানমারের পিএলএ ঢুকলে ভারতের কোথায় কোথায় হুমকি?
চীনের সঙ্গে চীনের জিনপিংয়ের প্রতিনিধির সঙ্গে ঠিক কী চুক্তি হল তাহলে মায়ানমারের জুন্টার? তার আগে একটু পরিস্থিতিটা বলে দি চলতি মাসে মায়ানমারের ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের সহযোগী হয়েছে পশ্চিম মায়ানমারে সক্রিয় বিদ্রোহী বাহিনী ‘চিন ন্যাশনাল আর্মি’ (CNA), চায়নাল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্স (CDF), ‘কাচিন লিবারেশন ডিফেন্স ফোর্স’ (KLDF), পিপল’স ডিফেন্স ফোর্স (PDF)। মায়ানমারের সরকারি টিভি চ্যানেল ‘গ্লোবাল নিউজ লাইট অব মায়ানমার’-এ প্রচারিত খবরে বলা হয়েছে চীন-মায়ানমার বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, দু’দেশের জন্য লাভজনক যৌথ প্রকল্প বাস্তবায়ন, সীমান্তে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং আইনের শাসন বজায় রাখার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বৈঠকের বিষয়ে চীনা দূতাবাস বা সে দেশের সরকারি সংবাদ সংস্থার তরফে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
এখানেই তো সন্দেহের গন্ধ পাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন এই পরিস্থিতিতে ‘স্থিতিশীলতা’ ফেরানোর অছিলায় মায়ানমারে চিনা পিললস লিবারেশন আর্মি (PLA) ঢুকতে পারে। তাঁদের মতে চাপে থাকা জুন্টা সরকারের উপর প্রভাব খাটিয়ে মায়ানমারকে ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড ইনিশিয়েটিভ’ কর্মসূচিতে যোগ দিতে বাধ্য করতে পারে শি জিনপিং সরকার। যা নয়াদিল্লির পক্ষে ব্যাপক অস্বস্তির কারণ হবে কারণ, ভবিষ্যতে ওই প্রকল্পের মাধ্যমে চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (সিপিইসি) এর ধাঁচে রাখাইন প্রদেশের গুরুত্বপূর্ণ কিয়াউকফিউ বন্দর মারফত বঙ্গোপসাগরেরর ‘নাগাল’ পেয়ে যাবে লালফৌজ। এছাড়াও পিএলএ মায়ানমারে ঢোকা মানে সেখান থেকে ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোতে অশান্তির আশঙ্কা একইসঙ্গে সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোতে নজরদারিও চালাতে পারে লালফৌজ। সবমিলিয়ে এই খবর কোনওভাবেই নয়াদিল্লির জন্য ভালো নয়
এদিকে গৃহযুদ্ধের জেরে পাঁচ হাজারেরও বেশি মায়ানমারের নাগরিক আশ্রয় নিয়েছেন মিজ়োরামে। মায়ানমারের অন্তত পাঁচটি প্রদেশ দখল করেছে বিদ্রোহী জোট। এবার দেখার ভারত এক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নিতে পারে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম