।। প্রথম কলকাতা ।।
পাকিস্তান সেনা জওয়ানরাই লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গি। কাশ্মীরে রহস্যময় গুহার হদিশ, কী করা হত সেখানে?
রাজৌরিকাণ্ডের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করল ইন্ডিয়ান আর্মি। রাজৌরিতে মৃত জঙ্গি কুয়ারি আসলে কে ছিল জানেন? যারা কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় এখনও ঘাপটি মেরে রয়েছে সেসব জঙ্গিদের দুর্বল ভাবলে বড় ভুল। নতুন প্যাটার্ন নতুন স্ট্র্যাটেজি নিয়ে কাশ্মীরের বুকে সন্ত্রাসের বীজ বোনার বড় চেষ্টা। এর এখানেই পাকিস্তানের গোটা প্ল্যান, গোটা পরিকল্পনা ভেসতে দিতে চলেছে ইন্ডিয়ান আর্মি। পাকিস্তান তাদের আর্মি অবসরপ্রাপ্ত সেনাদের যুক্ত করছে লস্কর ই তৈবায়। রাজৌরিকাণ্ডের পর এমনই তথ্য তুলে ধরেছেন ভারতীয় আর্মির নর্দান কমান্ডার চিফ উপেন্দ্র দ্বিবেদী।
তাঁর দাবি কাশ্মীরের স্থানীয়দের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ আর কোনওভাবে যুক্ত করতে পারছে না পাকিস্তান। উপত্যকার স্থানীয় বাসিন্দারা এখন অন্য কাজে মন দিয়েছেন। তাই এবার পাকিস্তানের আর্মির প্রাক্তনদের সন্ত্রাসবাদী দলে ঢোকানো হচ্ছে। সেসব অবসরপ্রাপ্ত সেনা জওয়ান জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত তারাই উপত্যকায় জঙ্গি সংগঠনের হয়ে কাজ করছে। সীমান্তের ওপার থেকে ভারতে প্রবেশ করছে। টানা কয়েকমাস ধরে জঙ্গি কার্যকলাপে নজরদারি করতেই সামনে এসেছে এই তথ্য। রাজৌরিতে কুয়ারি নামে যে জঙ্গিকে নিকেশ করেছে ভারতীয় সেনা সে যেমন বোমা বিশেষজ্ঞ ছিল তেমনই ছিল দুর্ধর্ষ স্নাইপার। কারা ট্রেন করেছিল এই কুয়ারিকে? প্রশ্ন উঠছে। বৃহস্পতিবার রাজৌরি জেলায় লস্কর-ই তৈবার শীর্ষ সেনা কমান্ডার-সহ দুই জঙ্গি নিহত হওয়ার পরে নিরাপত্তা আধিকারিকরা একটি গুহার সন্ধান পান সেই ছবি প্রকাশ করেছে ভারতীয় সেনা। জানা গিয়েছে, ওই গোপন ডেরা দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবহার করছিল সন্ত্রাসবাদীরা। নিরাপত্তা আধিকারিকদের মতে এই ধরনের আস্তানা শনাক্ত করা এবং তা ভাঙা যথেষ্টই কঠিন।
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে পাহাড়ি ওই এলাকা এবং নিয়ন্ত্রণরেখার নিকটবর্তী হওয়ার জন্যই রাজৌরি এবং পুঞ্চকে নিজেদের সুবিধার জন্য ব্যবহার করছে জঙ্গিরা। কারণ, রাজৌরি হল কাশ্মীরের ট্রানজিট রুট। শীতকালে পাহাড়ি পথ যখন বন্ধ হয়ে যায় তখন এই অঞ্চল দিয়ে জঙ্গি কার্যকলাপ বাড়াতে চেষ্টা করে। লস্কর-ই-তৈবার মতো সংগঠনই এই কার্যকলাপ বাঢড়ায়। সেনা আধিকারিকদের মতে এখনও ২০ থেকে ২৫ জন সন্ত্রাসবাদী এই এলাকায় তৎপর রয়েছে। স্থানীয়দের সহায়তায় তাদেরও নির্মূল করার চেষ্টা করছে নিরাপত্তা বাহিনী। গত একবছরের মধ্যে যেহেতু কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে তাই ক্রমশ প্রেসার বাড়ছে পাকিস্তানের উপর। আর এবার লস্করের কুখ্যাত কুয়ারি নামের যে জঙ্গি খতম হয়েছে তাতেই চাপ বেড়েছে এই জঙ্গি সংগঠনের। কারণ, রাজৌরি-পুঞ্চ এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের মাস্টারমাইন্ড ছিল কুয়ারি। গোটা জম্মু কাশ্মীরকে তাই এখন আর বাড়তি নজরে রাখছে কেন্দ্র এবং ইন্ডিয়ান আর্মি এখানে অ্যালার্ট প্রতিটা মূহুর্তে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম