।। প্রথম কলকাতা ।।
কাশ্মীরে লস্করের কুখ্যাত স্নাইপার খতম। স্পেশাল মিশনে তাক ভারতে পাঠায় পাকিস্তান। ৪ সেনাকর্মীর মৃত্যুর বদলা নিতে ২৪ ঘন্টাই এনাফ। রুদ্ধশ্বাস অপারেশন ইন্ডিয়ান আর্মির রাজৌরির ঘন জঙ্গলে। আতঙ্কের শেষ নভেম্বর উপত্যকায় কড়া অ্যাকশন শুরু। সে একবার টার্গেট করলে বেঁচে ফিরত না কেউ। ভারতীয় সেনার চার চারজন জওয়ানকে একা শেষ করেছে লস্করের এই স্নাইপার। কাশ্মীরের ঘন জঙ্গলে এর জন্যই দাপিয়ে বেড়াত লস্কর-ই-তৈবা। এবার একেবারে শিকড় সুদ্দুই উপড়ে ফেলল ইন্ডিয়ান আর্মি। যেন সেনারা পণ করে নিয়েছিলেন এর বদলা না নিয়ে ছাড়বেন না তারা। রাতভর অপারেশন বেলা বাড়তেই বড় সাফল্য। বৃহস্পতিবার সকালে সেনার গুলিতে খতম হয় পাকিস্তানি এক জঙ্গি। আর তারপরই জানা যায় লস্করের শীর্ষপদে ছিল কুয়ারি নামের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ সন্ত্রাসবাদী যার জেরে এই মিশনে লস্কর বড় লস হয়ে গেল।
সেনা সূত্রে জানা যাচ্ছে রাজৌরির কালাকোট জঙ্গলে মূলত ঘাঁটি গেঁড়েছিল ওই লস্কর জঙ্গি। স্পেশাল মিশনে তাকে উপত্যকায় পাঠায় পাকিস্তান। সীমান্ত ডিঙিয়ে পাঠানো হয়েছিল স্থানীয় পার্বত্য এলাকায়। জঙ্গি তৎপরতা বাড়ানোর লক্ষ্যে সেনার দাবি করে নিহত জঙ্গি ছিল আইইডি বিশেষজ্ঞ। এমনকি ভালো লেভেলের স্নাইপার প্রশিক্ষণও ছিল তার। পাহাড়ে গুহায় লুকিয়ে ক্রমাগত কাজ চালাচ্ছিল কুয়ারি, কিন্তু উপত্যকায় কবে ঢুকল এই জঙ্গি? একগুচ্ছ ইনফরমেশন উঠে এসেছে সেনার হাতে। বুধবার ২২ নভেম্বর জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরি জেলার সোলকি অঞ্চলে জঙ্গিদের নিকেশ করতে অভিযান শুরু করেছিল সেনাবাহিনী। গোয়েন্দা বিভাগের খবরের ভিত্তিতেই তৈরি হয় গোটা নকশা। সেইমতো গোটা এলাকাজুড়ে চিরুনি তল্লাশি শুরু করেন জওয়ানরা। তার পরই সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে তীব্র গুলির লড়াই হয় নিরাপত্তারক্ষীদের। আর সংঘর্ষে শহিদ হন এক মেজর ও দুই জওয়ান। পরে আরও এক সেনাকর্মীর মৃত্যু হয়।
রাজৌরির ঘন জঙ্গলে রাতভর অপারেশন চললেও ভোরের আলো ফুটতেই এ সার্চ অপারেশনের গতি বাড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। ব্যাস তার কয়েকঘন্টার মধ্যেই সেনাকর্মীদের বলিদানের বদলা। তথ্য বলছে ২০২৩ সালে ৮১ জন সন্ত্রাসবাদীকে খতম করেছে ভারতীয় সেনা। লড়াইয়ে প্রাণ গিয়েছে ২৭ জন নিরাপত্তাকর্মী। কাশ্মীরের ৩ জেলায় ২৫ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। ১৫ জন জওয়ান শহিদ হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যেভাবে জম্মু কাশ্মীরে সেনা অপারেশন চালিয়ে লস্করের টপ টপ কমান্ডারকে ধরাশায়ী করে দিয়েছে তাতে। এখন উপত্যকা জঙ্গি তৎপরতা চালানো বেশ চ্যালেঞ্জের হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাকিস্তানের জন্য সেজন্যই তো একেবারে যেসব জঙ্গি এখন গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে তাদেরকেই কাজে লাগাচ্ছে লস্কর। কুয়ারি নাম এই লস্কর জঙ্গিও গত এক বছর ধরে রাজৌরি-পুঞ্চ সেক্টরে আত্মগোপন করেছিল বলে সেনা সূত্রে খবর মিলছে। ডাংরি ও কান্দিতে হামলার সঙ্গেও জড়িত ছিল এই জঙ্গিই। তাকে খতম করা মানে যে ভারতীয় সেনার জন্য বড় সাফল্য এটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম