।। প্রথম কলকাতা ।।
শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে গেলেন ঐশ্বর্য। শাশুড়ি জয়া বচ্চনের সাথে এমন কী হয়েছে যে মাঝরাতে বাড়ি ছাড়তে হল! অভিষেক কোনও খবরই নিচ্ছেন না! মেয়ে আরাধ্যার সব দায়িত্বই নাকি ঐশ্বর্যর। অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল সিনেমাটি করেই জীবনে অশান্তি ডেকে এনেছিলেন রাইসুন্দরী। রণবীর কাপুরের সাথে হয়ে যাওয়া যে বড় ভুলের কোনও ক্ষমা নেই অভিষেকের কাছে। ননদ শ্বেতা কি আসল কালপ্রিট ? ডিভোর্সের আগে সেপারেশনে রয়েছেন দুজন? এই ঘটনাগুলো জানলে আপনার কাছে সবটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। গুঞ্জন নয়, বরং বচ্চন পরিবারকে ত্যাগ করতে চলেছেন ঐশ্বর্য! এই যেমন, রাত বিরেতে মেয়ে আরাধ্যাকে নিয়ে অমিতাভের জলসা ছেড়েছেন অভিষেক ঘরনি। সূত্র বলছে, ঐশ্বর্যর এই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়াটা একেবারেই স্বাভাবিক ঘটনা নয়।ঐশ্বর্যর অভিনয় করা একটা সিনেমা নিয়েও অশান্তি চরমে।
অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল ছবিতেই রণবীর কাপুরের সঙ্গে
তাঁকে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল। বচ্চন পরিবারে নাকি কেউই ঠিক পছন্দ করেনি ঐশ্বর্যের এই অভিনয়। এরপর থেকেই অশান্তি বাড়তে থাকে। আর তাতে ঘি ঢালে নাকি ননদ শ্বেতা। কানাঘুষোয় শোনা যাচ্ছে, শাশুড়ি জয়া ও ননদ শ্বেতা নন্দার সঙ্গে কথা কাটাকাটির জেরেই নাকি বাড়ি ছাড়া হয়েছেন ঐশ্বর্য ও আরাধ্যা। বহুদিন ধরেই পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে এক ফ্রেমে দেখা যায়নি বচ্চন পরিবারের বৌমাকে। তাহলে কী এবার সত্যিই ডিভোর্স হবে অভিষেক -রাই সুন্দরীর? নাকি বিচ্ছেদের পথে না হেঁটে আলাদাই থাকতে চান দুজনে প্রশ্ন তুলছেন নেটিজেনরাও।
নাতনি আরাধ্যার জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাননি অমিতাভ। আবার বিগ বির জন্মদিনে জয়া বচ্চনকে ক্রপ করে সোশাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করতে দেখা গিয়েছে ঐশ্বর্যকে। উলটো দিকে আবার ঐশ্বর্যর জন্মদিনে অভিষেকের কাছ থেকে তেমন কোনও শুভেচ্ছা পাননি ঐশ্বর্য। এই সব ঘটনাকেই দুয়ে দুয়ে চার করছেন অনুরাগীরা। সদ্য বচ্চনবধূর বাবা কৃষ্ণরাজ রাইয়ের মৃত্যুবার্ষিকী গিয়েছে মেয়ে বাবার খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলেন তাই বাবার কাজে তিনি মায়ের কাছে আসবেন সেটাই স্বাভাবিক কিন্তু পুজোপাঠ মিটলেও নায়িকাকে বাড়িতে ফিরতে দেখা যায়নি তাতেই অনুরাগীদের সন্দেহ বাড়ছে।
২০০৭ সালে অমিতাভ বচ্চনের পুত্র অভিষেককে বিয়ে করেন ঐশ্বর্যা। ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে বচ্চন পরিবারের বৌমা তিনি। ২০১১ সালে জন্ম দেন মেয়ে আরাধ্যা বচ্চনের। এমনকি, বার কয়েক অভিষেক-ঐশ্বর্যার বিবাহবিচ্ছেদের কানাঘুষোও শোনা গিয়েছে। তবু প্রতি বার নিন্দকদের ভুল প্রমাণ করেছেন তাঁরা। এটা সত্যি যে, প্রায় দিনই নাকি ঝামেলা হয় অভিষেক-ঐশ্বর্যার। এক সাক্ষাৎকারে নিজে মুখেই সেকথা স্বীকার করে নেনে জুনিয়র বচ্চন। তবে সেদিন মজার ছলে বললেও আসলে তাদের জীবনে কী ঘটছে তা বোঝা যাবে সময়ের সাথেই।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম