।। প্রথম কলকাতা ।।
Pumpkin cultivetion: রান্নাঘরের সারা বছরের এক প্রয়োজনীয় সবজি কুমড়ো। মিষ্টি কুমড়ো দেখতে সবুজ-হলুদ রঙের হয়৷ কুমড়ো কম বেশি সারা বছরই পাওয়া যায়।কুমড়ো পুষ্টিকর একটি খাদ্য।এটি শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। মিষ্টি কুমড়োয় প্রচুর ভিটামিন এ রয়েছে। মিষ্টি কুমড়োর পাতা ও কচি ডগা শাক হিসেবে বেশ সুস্বাদু। বাজারে সারা বছরই কুমড়োর চাহিদা রয়েছে। তাই কুমড়ো ও কুমড়ো শাক বিক্রি করে মোটা টাকা আয় করা যেতে পারে। এই শীতকালেও লাভজনকভাবে কুমড়ো চাষ করা যায়।
প্রায় সারা বছরই কুমড়ো চাষ করা যায়। কুমড়োর জন্য উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ু প্রয়োজন। তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে চলে গেলে গাছের দৈহিক বৃদ্ধির হার কমে যায়। জল নিকাশি ব্যবস্থা ভালো এমন জমি কুমড়ো চাষের জন্য বেছে নিন। জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ দোঁআশ বা এঁটেল দোঁআশ মাটি কুমড়ো চাষের জন্য খুব ভালো।
বীজ থেকে পলিব্যাগে চারা তৈরি করুন। এই পদ্ধতিতে চারা তৈরি করা ভাল। পলিব্যাগের আকার ৩ থেকে ৪ ইঞ্চি হতে হবে। ১৫ থেকে ২০ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখার পর কুমড়োর বীজ রোপন করুন। অন্যদিকে ৬:৪ অনুপাতে দোআঁশ মাটির সঙ্গে গোবর-ছাই মিশিয়ে নিয়ে বীজতলা তৈরি করে নিতে হবে ৷
আগাছা থাকলে তা পরিষ্কার করে চারা গাছের গোড়ায় কিছুটা মাটি তুলে দিতে হবে। মাঝে মাঝে নিড়ানি দিয়ে গাছের গোড়ার মাটি আলগা করে দিতে হবে। কৃত্রিম পদ্ধতিতে পুরুষ ফুলের রেণু স্ত্রী ফুলের ওপর ছড়িয়ে দিলে উৎপাদন বাড়বে। গাছের গোড়ার দিকে ছোট ছোট শাখা-প্রশাখা বের হয়। এগুলোকে শোষক শাখা বলে। শোষক শাখা গাছের বৃদ্ধিতে বাধা দেয় ও ফলন কমিয়ে দেয়। সেগুলি কেটে দিন।
ভালো ফলন পেতে হলে কুমড়ো চাষের জন্য জমিতে সব সময় জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে। মাটি পরীক্ষা করে মাটির ধরণ অনুয়ায়ী সার প্রয়োগ করতে হবে। তবে পরিবেশ এবং মাটির স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সব সময় জৈব সার ব্যবহার করা উচিত। বাড়িতে গবাদি পশু থাকলে সেখান থেকে গোবর সংগ্রহ করা যাবে।
কুমড়ো কচি অবস্থা থেকে শুরু করে পরিপূর্ণ পাকা অবস্থা পর্যন্ত খাওয়া যায়। তাই কচি অবস্থা থেকেই ফসল সংগ্রহ শুরু হয়। কুমড়া বেশ পাকিয়ে সংগ্রহ করলে অনেকদিন ঘরে রাখা যায়। কুমড়োর চারা রোপনের তিন থেকে চার মাসের মধ্যেই ফলন পাওয়া যায়৷ কুমড়োতে হলদে ভাব এলে তা সংগ্রহ করা যেতে পারে৷
কুমড়ো গাছে পোকা-মাকড় বেশি আক্রমন করে। তাই পোকা দেখা মাত্রই গাছে ওষুধ দিতে হবে। এজন্য পোকামাকড় ধরার ফাঁদ ব্যবহার করতে হবে৷ রোগ পোকা দমনে নিম তেল, সাবান গোলা জল স্প্রে করা যেতে পারে৷
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম