।। প্রথম কলকাতা ।।
চলতি বিশ্বকাপে রোহিতের তুরুপের তাস কেএল রাহুল। তাঁর ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্নের জায়গা নেই। মুগ্ধ করেছে তাঁর কিপিংও। তবে জানেন কী, রাহুল দ্রাবিড় ও কেএল রাহুলের মধ্যে অদ্ভুত একটা মিল আছে। ২০০৩ সালে বিশ্বকাপে পার্থিব প্যাটেলের উপর ভরসা করতে পারেননি অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সেইবার অস্থায়ী কিপার হিসেবে উইকেটের পিছনের বল সামলেছেন রাহুল দ্রাবিড়। আর এবার রোহিতের দলের অস্থায়ী কিপার হলেন কেএল রাহুল। কুড়ি বছর পর ঘটনাচক্রে কোচের ভূমিকায় সেই রাহুল দ্রাবিড়। দুজনের মধ্যে আরও একটি মিল আছে দুজনেই কর্ণাটকের। দুই রাহুলের যুগলবন্দী কিন্তু নজর কেড়েছে এই বিশ্বকাপে।
তবে তার এই দুরন্ত কামব্যাকের পথটা মোটেও সহজ ছিল না। আগে তার উইকেট কিপিংয়ের অভিজ্ঞতা থাকলেও, চোট থেকে ফিরে এসে দুর্দান্ত সাফল্যের পিছনে রয়েছে এক রহস্য। অস্ত্রোপচারের পর এনসিএ-তে বেশ কিছুদিন রিহ্যাব পর্ব চলেছিল ভারতীয় তারকার। সেইসময় রাহুলকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে বিশ্বকাপে উইকেটকিপারের ভূমিকায় ভাবা হচ্ছে। সেই মতো রিহ্যাব শেষ হওয়ার পর নেটে ব্যাটিং শুরু করেছিলেন। সেই সঙ্গে নিয়মিত উইকেটকিপিংয়ের প্রস্তুতি নিতেন তিনি। জানা যায়, ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট রাহুলকে বিশেষ কিছু স্কিল সেট করে দিয়েছিল। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে উইকেটকিপিং করে যেতেন তিনি। চোট সারিয়ে ফেরার পর পঞ্চাশ ওভার কিপিং করতে যাতে অসুবিধে না হয়, তার জন্য বিশেষ স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং ট্রেনিংও থাকত।
একটি ম্যাচে ব্যর্থ হলেই তাঁকে ট্রোল করতো সমালোচকরা। এবার বিশ্বকাপে নিঃশব্দে সেই সবকিছুর জবাব যেন দিয়ে দিলেন রাহুল। কিপিং ছাড়াও স্লগ ওভারে ব্যাট করতে এসে টিমের অন্যতম ভরসা হয়ে উঠেছেন ভারতের এই তারকা। ব্যাটিং-কিপিংয়ের পাশাপাশি আরও বেশি মুগ্ধ করেছে রিভিউ নেওয়ার ক্ষেত্রে রাহুলের ভূমিকা। রোহিত শর্মার ভরসা হয়ে উঠেছেন তিনি। বোলাররা আবদার করলেও ডিআরএসের ক্ষেত্রে রোহিত শর্মা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন রাহুলের সম্মতি মেলার পরই। তেইশের বিশ্বকাপে অন্তত পাঁচটি ক্ষেত্রে এমন হয়েছে, যখন ডিআরএস নেওয়ার জন্য সকলে প্রস্তুত থাকলেও রাহুলের গ্রিন সিগন্যাল না থাকায় নেওয়া হয়নি। আর সব ক্ষেত্রেই সঠিক প্রমাণিত হয়েছেন লোকেশ রাহুল। অনেকেই বলছেন ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম কিংবা ধোনি রিভিউ সিস্টেমের পরিবর্তে ডিসিশন রাহুল সিস্টেম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম