।। প্রথম কলকাতা ।।
বাসন নেবে গো? স্টিলের বাসন! এই ডাক কোথায় যেন হঠাৎ হারিয়ে গেল। খেয়াল করে দেখেছেন বাড়ি বাড়ি বাসনওয়ালিরা আর কেন আসেনা? আচমকাই যেন উধাও! কোথায় গেল বলুনতো? জানেন? এই বাসনওয়ালিরা এখন কী করে? কোনও স্টেশনের আশপাশ দিয়ে গেলে চোখ কান খোলা রাখবেন শুরু হয়েছে নতুন ব্যবসা। বাড়ি বাড়ি জামাকাপড়ের বদলে বাসন দেওয়া নয়, রোদ -বৃষ্টিতে ঘুরে ঘুরে কাজে অনেক কষ্ট তাই বাসনওয়ালিরা এখন যা করছে তাতে বিশাল লাভ। আগের থেকে কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে রোজগার। ফ্ল্যাট, কমপে্লেক্স বিপদ ডেকে এনেছিল কিন্তু এখন তাঁদের সুখের জীবন জানেন এখন বাসনওয়ালিরা কী করে পেট চালায়? এখন সব বাড়ি ভেঙে বড় বড় আবাসন বা কমপ্লেক্স। তার বিশাল গেটে সিকিউরিটির কড়া পাহাড়া থাকে। সেই চোখ টপকে এখন আর বাসনওয়ালিরা আর ফ্ল্যাটে ফ্ল্যাটে যেতে পারে না। বাড়ির সংখ্যাও কমছে। বাসনওয়ালিদের এভাবে রোজগারও কমতে শুরু করে।
উপায় না দেখে এবার নতুন ব্যবসা শুরু করেছে বাসনওয়ালিরা। স্টেশনে স্টেশনে জামাকাপড় বিক্রি করছে। যদিও সেই পোশাকের মধ্যে কুর্তির, চুড়িদারের পরিমাণই বেশি। পোশাক তো অনেক জায়গাতেই বিক্রি হয় তাহলে আপনি এদের থেকে কিনবেন কেন? সেজন্যও এক স্ট্র্যাটেজি বেছে নিয়েছে তারা। দামী পোশাক নয়! কমের মধ্যে সুন্দর পোশাক বিক্রি করছেন বাসনওয়ালীরা। পোশাকের দাম ১০০ বা ২০০ টাকা। এতো কম দামে সুন্দর যদি একটা কুর্তি বা শাড়ি হয়ে যায় তাহলে তো ভিড় হবেই! আরেকটা বিষয়ে আপনাকে সাবধান হতে হবে। অনেকই অভিযোগ করছেন এই ১০০-২০০ টাকার জিনিসগুলো সবই পুরনো। সংগ্রহ করা পুরনো পোশাক গুছিয়ে বিক্রি করছেন। এরকম পুরনো পোশাক অনেক জায়গাতেই কম দামে বিক্রি হয়। তাতে লাভও অনেকটাই বেশি। তবে সবাই যে সব ক্ষেত্রে এরকম জালিয়াতি করছে এমনটা নয়।
কখনও একা আবার কখনও স্বামীকে নিয়ে বেরিয়ে পড়তেন তারা। মাথার ঝুড়িতে স্টিলের বাসন। কাপড় দিলে তাঁর বদলে বাসন পাওয়া যেতো। গরমে, বৃষ্টিতে তাদের ছুটি বলে কিছু ছিল না। কাজে না বেরোলে টাকাও জুটতো না। তাই দিনরাত পরিশ্রম করতে হত। এখন এই নতুন ব্যবসায় কপাল খুলেছেন বহু মানুষের।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম