।। প্রথম কলকাতা ।।
ভারতের হাতে গোপন চাবিকাঠি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আনার। ইরান থেকে আমেরিকা কেন ভারতেই দ্বারস্থ? মোদী ঠিক কোন কোন স্টেপ নিলেন যুদ্ধের মাঝে কিন্তু প্যালেস্টাইন দিল্লির বিরুদ্ধে উগড়ে দিল ক্ষোভ, কেন? ভারত কি নেতৃত্ব দিতে পারে এমন কোনও বৈঠকের যেখান ইজরায়েল ও প্যালেস্টাইন মুখোমুখি বসে কথা বলবে। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির খোঁজে, হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধের বন্ধের জন্য কেন ভারতকেই দেওয়া হচ্ছে এতটা গুরুত্বপূর্ণ? মোদী বা তাঁর বিদেশনীতি কি এমন কোনও উপায় বের করতে পেরেছে যার অ্যাপ্লাই করলে পরিস্থিতি শোধরানো অনেকটাই সম্ভব। ভারত স্বাধীন প্যালেস্টাইনের পক্ষে বলে প্যালেস্টাইনের নেতারা বোধহয় ভেবেছিলেন ভারত এই যুদ্ধে তাদের হয়ে ইজরায়েল বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবে বা ইজরায়েলকে হুমকি দেবে সাবধান করবে, চমকাবে কিন্তু না দিল্লি এর মধ্যে কোনওটাই করেনি আর করবেও না।
সেই জন্যই বোধহয় ভারতের ওপর ঠিক এতটাই চটে গিয়েছে প্যালেস্টাইন। ভারত কিছুই করেনি, ওঁদের থেকে কোনও আশা নেই’। নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ এনেছে ক্ষুব্ধ প্যালেস্তিনীয় রাষ্ট্রদূত।
এতে যে ভারত যে নিজেদের অবস্থান বদলাবে না সেটা কার্যত স্পষ্ট এমনটাই বলছেন কূটনৈতিক থিঙ্ক ট্যাঙ্কেরা। দেখুন না ভারতে জো বাইডেন সরকারের দুই শীর্ষকর্তা ব্লিঙ্কন ও লয়েডের আলোচনার বিষয় ছিল। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার অগ্রগতি কিন্তু বৈঠকে অনিবার্য ভাবেই উঠে আসে। ্পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধ এবং সেই সংক্রান্ত সঙ্কটের কথা যেন ভারতের সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলাটা ও এবিষয়ে ভারতের মতামত নেওয়াটা অত্যন্ত জরুরি ছিল। দেখুন পশ্চিম এশিয়া বা মধ্যপ্রাচ্য যাই বলুন না কেন সেখানের সমস্যার দ্বিপাক্ষিক শান্তিপূর্ণ সমাধানের কথাই প্রথম থেকেই বলে আসছে ভারত। ইজ়রায়েলের ভূখণ্ডে হামাসের হামলার কড়া নিন্দা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পর নয়াদিল্লির তরফে বলা হয় আলোচনার মাধ্যমে দু’পক্ষের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখে ওই এলাকায় শান্তি ফেরাতে হবে।
ভারতের এই মতামতের বিরোধী যদি ইজরায়েল বা প্যালেস্টাইন করে তাতেও যে দিল্লির অবস্থান বদলাবে না সেটা স্পষ্ট। যুদ্ধ চলাকালীন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মোদী। এমনকি পশ্চিম এশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ় ইনাসিও লুলা ডা সিলভার সঙ্গেও কথা বলেছেন মোদী। এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন পশ্চিম এশিয়া নিয়ে নিজেদের উদ্বেগ। আশঙ্কা একে অপরের সঙ্গে তাঁরা ভাগ করে নিয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন আসলে মানবিকতা কথা মুখে বলা আমেরিকা আসলে কি করতে চায় সেটা আন্তর্জাতিক মহলে পরিস্কার।
গাজার ক্ষেত্রে এ ক্ষেত্রে আমেরিকা যে নীতি নিয়েছে তা খুব একটা ভাল চোখে দেখছে না অনেক রাষ্ট্র। গাজ়ায় শিশু-সহ সাধারণ মানুষের হত্যার সময় আমেরিকার ‘মানবিক’ রূপ কোথায় গেল, প্রশ্ন উঠেছে।
সেখানে নিজেদের মুখরক্ষা করতে আমেরিকার আলোচনা, ইরানের অনুরোধ কিংবা ব্রাজিলের সঙ্গে আলাপচারিতা পশ্চিম এশিয়ার সঙ্কট নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে। নয়াদিল্লির গুরুত্ব বৃদ্ধির দিকেই ইঙ্গিত করছে। তবে হ্যাঁ এটাও মনে রাখতে হবে ভারতের একার পক্ষে এই অসাধ্য সাধন করা সম্ভব নয়। বাকী গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলো যদি এগিয়ে আসে তবেই সম্মিলিত ভাবে কাজ করে পশ্চিম এশিয়ায় শান্তি ফেরাতে পারবে ভারত আশাবাদী বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম