।। প্রথম কলকাতা ।।
সময় এগোলেও সমাজ পিছিয়ে রয়েছে বহু জায়গায়। পুরুষতন্ত্রের দাপটে এখনও অনেক বাড়ির। বউ অপমানিত হন প্রতিদিন, প্রতিটা মুহুর্তে সেখানে প্রত্যন্ত গ্রামের এই পরিবারের পুরুষরা বড় বউমাকেই পুজো করে কালীরূপে। গলায় লাল জবার মালা মানুষের মধ্যেই ঈশ্বর বিরাজমান নারীর আসন পায়ের তলায় নয়! সব থেকে উপরে সমাজের সাথে লড়াই করতে করতে ঘরের এক কোণে ঠাঁই হয় বহু মহিলার। তাই মহিলাদের কোণঠাসা নয় তারাই যে শক্তির প্রতীক। চোখে আঙুল দিয়ে দিচ্ছে সাঁতরা পরিবার। একদিনের প্রথা নয় প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চলছে এমন নিয়ম। বাড়ির বউ পূজিত হন মা মুন্ডমালিনী রূপে। জ্যান্ত রূপে কীভাবে কালীর পুজো হয়? এই কালীপুজো দেখলে সত্যিই গায়ে কাঁটা দেবে আপনার।
বাঁকুড়ার ইন্দাসের মির্জাপুর গ্রামের সাঁতরা পরিবারে দেবী সাজে বউদের পুজো করে বাড়ির বাকিরা। সাঁতরা পরিবারের বড় বউমা হীরালালা সাঁতরাকে এই বাড়ির সদস্যরা মা কালী হিসেবে সাজিয়ে তোলেন। ১০০ বছরেরও বেশি আগে থেকে বাড়ির বড় বৌকে মা কালী হিসেবে পুজো করা হচ্ছে। বাড়িতেই রয়েছে স্থায়ী মন্দির। বাড়ির পূজোতে প্রতিমা তৈরী করা চলে না। ঠিক কি কারণে এমন নিয়ম তা ঠিক করে জানেন না পরিবারের বাকি সদস্যরা। গলায় লম্বা জবা, নীলকণ্ঠের মালা, সামনে ত্রিশূল রাখা পুজোর দিনে হীরালালা দেবীই যেন সাক্ষাৎ মা কালী হয়ে যান। শুধু তাই নয় বছরের অনান্য দিনেও এই মন্দিরে আসেন দূর দূরান্ত থেকে অনেকেই।
ফলহারিনী কালী পূজার দিন ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ শ্রীমা সারদাদেবীকে ষোড়শী জ্ঞানে পূজা করেছিলেন। পরিবারে মহিলাদের স্থান কোথায় তা চিনিয়েছিলেন স্বয়ং শ্রীরামকৃষ্ণদেব। তারপর সাঁতরা পরিবার সত্যই যেন উদাহরণ হয়ে রইল।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম