।। প্রথম কলকাতা ।।
শীতে ত্বক ভাল রাখতে কোন ফেসিয়াল জরুরি জানেন? শীতকালে ফেসিয়াল করানোর সময় কোন বিষয়গুলি মাথায় রাখবেন? শীতের সময় আমাদের স্কিনকে কিন্তু এক্সট্রা কেয়ার করতেই হয়। কারণ এ সময়ে ত্বক রুক্ষ শুষ্ক হয়ে মুখের বারোটা বাজতে পারে। আর তাই শীতকালে কিন্তু সব ধরণের ফেসিয়াল করা যায় না। কোন ফেসিয়াল গুলি করবেন এবং কি কি মাথায় রাখবেন সমস্ত তথ্য জেনে নিন এই প্রতিবেদন থেকে।
শীতকালে আবহাওয়া থাকে শুষ্ক আর এই প্রভাব পড়ে আমাদের ত্বকেও। চামড়া খসখসে হয়ে যায়, টান পড়ে। প্রাকৃতিক আর্দ্রতাও নষ্ট হয়ে যায়। শীতের আলসেমিতে অনেকেই এই সময় ঠিক করে স্নান করেন না। কিন্তু ত্বক সবথেকে বেশি নোংরা হয় এই সময়েই। বাইরে দূষণ যেমন বেশি থাকে তেমনই কিন্তু শীতে ক্রিম, ময়েশ্চারাইজার. তেল-সবই ব্যবহার করা হয়। সারাদিন ক্রিম, ময়েশ্চারাইজার মাখার ফলে মুখের উপর একটা ময়লার আস্তরণ পড়ে।তখন ক্ষতিকর টক্সিন যেমন বাইরে বেরোতে পারে না, তেমনই কিন্তু বায়ু চলাচলও করতে পারে না। এতে চামড়া কুঁচকে যায়। যে কারণে এই সময় ত্বকের একটু বেশিই যত্ন নিতে হয়।
শীতে পার্টি, অনুষ্ঠানও বেশি থাকে। যে কারণে মেকআপও করতে হয়। আর ত্বক যদি পরিষ্কার না থাকে তাহলে কিন্তু মেকআপও ঠিকমতো বসে না। সেই সঙ্গে মুখের ফ্রেশনেসও হারিয়ে যায়। বাজারে এখন নানা রকম ফেসিয়াল কিট পাওয়া যায়। সেই কিট কিনে এনে বাড়িতেও যেমন ফেসিয়াল করতে পারেন তেমনই উপযোগী কিছু প্যাকও বানিয়ে নিতে পারেন। এছাড়াও পার্লার তো রয়েইছে। দেখে নিন কোন, কোন ফেসিয়াল আপনার ত্বকের জন্য উপকারী।
পার্ল ফেসিয়াল, শীতের ত্বকের জন্য এই ফেসিয়াল কিন্তু বেশ উপকারী। মুক্তোর গুণাগুণ ছাড়াও এই ফেসিয়ালের মধ্যে থাকে বেশ কিছু খনিজ উপাদান। থাকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন। যা শীতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে ত্বককে প্রয়োজনীয় খাবার দেয়। যাঁদের সামনেই বিয়ে তাঁরা এই ফেসিয়াল করতে পারেন।
দ্বিতীয়টি হলো অ্যারোমাথেরাপি, প্রাচীনকাল থেকেই এই অ্যারোমাথেরাপি কিন্তু রূপটানের কাজে ব্যবহার করা হয়। বনের ফুল, মধু এবং গাছ-গাছড়ার নির্যাস থেকেই বানানো হত নানা সিরাম, ফেসপ্যাক। তাই দিয়েই চলত রূপচর্চা। বাজারে এখন অনেক রকম অ্যারোমা ফেসিয়াল কিট পাওয়া যায়। এছাড়াও বাড়িতে বানিয়ে নিতে পারেন বিশেষ ফেসিয়াল প্যাক।
তারপর তৃতীয় যে ফেসিয়ালটি করতে পারেন সেটি হলো ও থ্রি ফেসিয়াল। এই ফেসিয়াল আমাদের স্কিনে জলের চাহিদা মেটাই। জলের বিশেষ যৌগ ত্বককে দেবে পুষ্টি। যা বলিরেখার হাত থেকে বাঁচাবে। ত্বক লাগবে ফ্রেশ। যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত তাঁদের জন্য কিন্তু এই ফেসিয়াল খুবই ভাল।
আর ফেসিয়াল করার পর কিছু জিনিস অবশ্যই মাথায় রাখবেন। যেমন, ফেসিয়াল করিয়ে রোদে বেরোবেন না। অনেকবার ফেসিয়াল করার পর, বিউটিশিয়ান অবশেষে একটি সিরাম ব্যবহার করেন, যাতে ত্বক হাইড্রেটেড থাকে। এটি ত্বকে মিশে না যাওয়া পর্যন্ত পার্লার থেকে বের হবে না। শীতে ফেসিয়াল করার পর ফেস ওয়াইপ, ফেসপ্যাক, ফেস মাস্কের মতো জিনিস লাগাবেন না। অন্তত দুই দিন এটি করবেন না। ফেসিয়াল করার পর যদি মুখ তৈলাক্ত মনে হয়, তাহলে ৪ ঘণ্টা পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সেই সঙ্গে একদিন পর ফেসওয়্যাশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন।
শীতকালে কম্বিনেশন ত্বকও শুষ্ক দেখাতে শুরু করে। এই সময় উপরের ঠোঁট বা নীচের ঠোঁটে থ্রেডিং করাতে প্রচুর ব্যথার সম্মুখীন হতে হয়। এমন অবস্থায় ফেসিয়ালের ২ দিন আগে থ্রেডিং করিয়ে নিন।ফেসিয়াল করার পর স্ক্রাব করবেন না। কমপক্ষে ৪ দিন স্ক্রাব করার দরকার নেই।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম