।। প্রথম কলকাতা ।।
Grammy Awards 2023 Winners: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পেতে পারেন গ্র্যামী অ্যাওয়ার্ড। এটা কোনও বিরোধীদের খোঁচা নয়। সত্যিই গ্র্যামী পুরস্কারের জন্য মনোনিত হলেন নমো ঠিক কি জন্য কোনও ব্যক্তি গ্র্যামী পেতেন পারেন?
এর গুরুত্ব কী? এর আগে কোনওদেশের প্রধানমন্ত্রী পেয়েছেন গ্র্যামী? যারা জানেন তারা জানেন গ্র্যামী কী, কেন দেওয়া হয়? তারা এই খবরটা শুনে নিশ্চই ভাবছেন নরেন্দ্র মোদী একজন রাজনীতিবিদ হয়ে মোদী একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে গ্র্যামী কীভাবে পেতে পারেন? তাই তো যদি এই অ্যাওয়ার্ড কোনওভাবে মোদী পেয়ে যান তাহলে তিনি কার্যত ইতিহাস তৈরি করবেন। প্রথমেই জানাবো বিশ্ব সংগীতের সবচেয়ে বড় পুরস্কারের মঞ্চ গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড। সঙ্গীত শিল্পে দেওয়া সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এবং সর্বজনীনভাবে প্রশংসিত হয় এই পুরস্কার। গ্র্যামী জেতা মানে নোবেল জেতার সমান বলতে পারেন। ন্যাশনাল একাডেমি অফ রেকর্ডিং আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস বা NARAS ভোটিং সদস্যরা প্রতিটি পুরস্কারের জন্য পাঁচজন মনোনীত ব্যক্তিকে বেছে নেন। প্রতিটি ভোটার শুধুমাত্র তাদের দক্ষতার ক্ষেত্রে একটি ব্যালট কাস্ট করে।
এবার আসি মোদীর কথায় নরেন্দ্র মোদী এই পুরস্কারের জন্য মনোনিত হয়েছেন তাতে তার কোনও রাজনৈতিক সাফল্য নেই। বরং এক্ষেত্রে পরিচয় পেয়েছে তার শিল্পী সত্ত্বার। মোদীর লেখা গান গ্র্যামি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে। বেস্ট গ্লোবাল মিউজিক পারফরম্যান্স বিভাগে মনোনীত হয়েছে। মোদীর লেখা ‘অ্যাবানড্যান্স অফ মিলেটস’ গানটি যারা এখনও শোনেনি এই গান তারা ইউটিউবে গিয়ে শুনে নিতেই পারেন। মিলেট মানে শস্য গম ও চাল বাদে জোয়ার, বাজরা, রাগী এসবের গুরুত্ব দিনদিন ঠিক কতটা বাড়ছে সেটা নিয়েই এই গান। গানের প্রথমেই শুরু হচ্ছে আমরা যদি এই বিশ্বকে বদলে দিতে পারি সেই কথা দিয়েই। ২০২৩ সালটি মিলেট বর্ষ বলে ঘোষিত হয়েছে। বছরের শুরু থেকেই মিলেটের উত্পাদন বৃদ্ধি এর উপকারিতা প্রচারের উপর জোর দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেইসঙ্গে ফাল্গুনী শাহের সঙ্গে যৌথভাবে মিলেটের উপর গানটি লেখেন তিনি। সেই গানটিই এবার গ্র্যামি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে।
মোদীর লেখা গানটি গেয়েছেন ফাল্গুনী শাহ ওরফে ফালু ও তাঁর স্বামী গৌরব শাহ। ১৬ জুন গানটি মুক্তি পেয়েছে। গানটি গ্র্যামির মনোনয়ন পেতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একে ‘দীপাবলির উপহার’ বলে টুইট করেছেন। ৫.২৩ সেকেন্ডে এই ভিডিওর গান অলরেডি ৩ লক্ষ মানুষ শুনে ফেলেছে। এবার যে তা আরও মানুষের কাছে পৌঁছবে সেটা বলাই বাহুল্য। তবে এই গান তৈরির ভাবনা নমোর মাথায় এল কি করে জানেন? এটা মারাত্মক ইন্টারেস্টিং একটা ঘটনা। গানটি মূলত ইংরেজিতে লেখা। তবে গানে হিন্দি ভাষাও ব্যবহার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ফাল্গুনী গ্র্যামি পুরস্কার জেতেন আ কালারফুল ওয়ার্ল্ডের জন্য। এরপর তিনি সেই গ্র্যামী পুরস্কার হাতে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে
সেই সময়ই মিলেট নিয়ে গান তৈরির ভাবনার সূত্রপাত।
সিন্ধু সভ্যতার সময় থেকেই যে ভারতে মিলেট জাতীয় শস্যের ফলন হচ্ছে মূলত সেই কথা-ই তুলে ধরা হয়েছে গানে। বর্তমানে ১৩০টিরও বেশি দেশে মিলেট চাষ হয়। উন্নয়নশীল দেশগুলিতে ক্ষুধা নিবারণের জন্য বাজরা বা মিলেট জাতীয় শস্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। চাষিদের জন্যও মিলেট চাষ লাভজনক। তাই মিলেট নিয়ে মোদী লেখা এই গান যে শুধু ভারতেই নয় আন্তর্জাতিক স্তরে মারাত্মক প্রশংসিত হয়েছে। গ্র্যামীতে এই গানের মনোনয়ন সেটাই প্রমাণ করছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম