।। প্রথম কলকাতা ।।
বাংলাদেশের বন্ধু চীন। কিন্তু চীন কি বাংলাদেশের সংকটে পাশে দাঁড়াল ? চীনা রাষ্ট্র দূত বাংলাদেশে এসে কি বলল নির্বাচন নিয়ে? যাতে বেজায় অখুশি বিএনপি। ভেঙে গেল স্বপ্ন। চীনও কি তাহলে এই দ্বন্দ্বের মাঝে পড়তে চাইছে না ? নিরপেক্ষ ভাবে ঠিক রাখতে চাইছে নিজের জায়গা। বেফাঁস কথা বললেই, বড় লস। চীনের সাথে সম্পর্কে ফাটল ধরবে না তো?
বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র কোনগুলো? প্রশ্ন উঠলে, প্রথম সারিতে বারংবার চলে আসে চীনের নাম। এই যে বাংলাদেশের মাটিতে নির্বাচন নিয়ে এত জটলা হচ্ছে, এত গন্ডগোল হচ্ছে, কই চীন তো কোন কথা বলছে না? তাহলে কি নিরপেক্ষ থেকে নিজের জায়গা ঠিক রাখতে চাইছে? নিজেদেড় ব্যবসায়িক স্ট্র্যাটেজি কিছুতেই খারাপ করতে চাইছে না বাংলাদেশে। তবে বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে চীন এমন কথা বলে ফেলল যাতে মন ভেঙে গেল বিএনপির। এমনটা আশাই করেনি। চীন এমন কি বলে ফেলল, যার জন্য আবার নতুন করে উত্তাল বাংলাদেশ!
কয়েকদিন আগে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছিলেন, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে চীন বাইরের কারোর হস্তক্ষেপ চায় না। শুধু তাই নয়, চীন নিজেও অন্য দেশের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা খুব একটা পছন্দ করে না। নির্বাচন দেশটার এক্কেবারে অভ্যন্তরীণ বিষয়। সবটাই নির্ভর করছে বাংলাদেশের সিদ্ধান্তের উপর। বাংলাদেশ জানে, ঠিক কি ধরনের নির্বাচনের প্রয়োজন। চীন প্রত্যাশা করে, সব অংশীদার মিলেমিশে বাংলাদেশের রাজনৈতিক থেকে শুরু করে সামাজিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকবে। সোজা কথায়, চীন বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা দেখত চায়, কোনো গন্ডগোল নয়। নির্বাচনে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছে বাংলাদেশের সংবিধানের উপর। ইন্দো প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি থেকে শুরু করে বাণিজ্য বাজার, চীনের কাছে বাংলাদেশ ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। তাই এমন কোন স্টেপ নেবে না যাতে বাংলাদেশে চীনের ভিত নড়বড়ে হয়ে যায়। বরং বাংলাদেশে রিজার্ভ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। দুই দেশ নিজেদের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতেও বেশ তৎপর। বিশেষজ্ঞ মহল বলছে, এইভাবে চলতে থাকলে ২০২৬ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ এবং চীন আবদ্ধ হবে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে।
কিন্তু বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে চীনা রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য একেবারেই পছন্দ করল না বিএনপি। বিএনপির দাবি অনুযায়ী, চীনা রাষ্ট্রদূত এমন সময় এই ধরনের কথাগুলো বলছেন যেখানে বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রের জন্য এক হয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি জানাচ্ছে। অথচ চীন জোর দিচ্ছে বাংলাদেশের সংবিধানের উপর। যা দেশটার জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন নয়। বিএনপি’র জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিবের দাবি, গত ১০ বছরে বাংলাদেশের জনগণের একটা বিশাল অংশ ভোট দেওয়ার সুযোগ পাননি। সংবিধানের অধীনে নির্বাচন হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু কেড়ে নেওয়া হচ্ছে ভোটের অধিকার। চীন যে সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশের নির্বাচন দেখতে চায়, সেই মতের সঙ্গে নিজেদের মত মেলাতে পারছে না, দেশটার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। বিএনপি সব সময় বাংলাদেশের সংবিধান প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। কিন্তু বিতর্কিত সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানকে কাটাছেঁড়ার করছে আওয়ামীলীগ। বাংলাদেশ আর চীনের মধ্যে বন্ধুত্ব বহুদিনের। সেক্ষেত্রে কূটনৈতিক সাফল্য রয়েছে দুই দেশের জনগণের মধ্যে।
খেয়াল করলে দেখতে পাবেন, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘ যেভাবে মাথা ঘামাচ্ছে, অন্যান্য বিদেশী রাষ্ট্রগুলো কিন্তু তা করছে না। সবটাই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে দেশটার নিজস্ব নীতির উপর। ফলাফল কোন দিকে যাবে, তা নির্ভর করছে ব্যালট বক্সের রেজাল্টের উপর।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম