।। প্রথম কলকাতা ।।
ইজরায়েল বা হামাস যুদ্ধে আসলে নাটের গুরু কে জানেন? আমেরিকা সোজা হামলা করতে পারে তেহেরানে? ফাঁকা আওয়াজ দিয়ে লাভ নেই। ইরান নিজেদের অক্ষমতা ঢাকতে কী বড় স্ট্র্যাটেজি নিল?ইরানের সব ক্ষমতা কি এই সুযোগেই শেষ করে দিতে চলেছে আমেরিকা? নাকি আসল খেলা এখনও বাকি? ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি সিদ্ধান্ত নিতে ফেল হয়ে যাচ্ছেন। ইরান হয়ত বুঝতে পারছে এবার তাদের দিন ঘনিয়ে আসছে। যারা এই অঙ্কটা ঘাটছেন তাদের একাংশের এমনটাই মত। ৯ নভেম্বর সিরিয়ায় ইরানের একটি অস্ত্রভাণ্ডারে হামলা চালিয়েছিল মার্কিন এফ-১৫ বোমারু বিমান।তাহলে ওটাই কি আসলে ছিল আমেরিকার ওয়ার্নিং? যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য চুপ থাকেনি তারা জানিয়েছিল এর কারণ। আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন বলেছিলেন সিরিয়ায় মার্কিন সেনাকে নিশানা করা হচ্ছে। তাই এটা ছিল প্রত্যাঘাত।
এক বিবৃতি জারি করে অস্টিন বলেছিলেন। তাতে অবশ্য ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের কোনও কথা না থাকলেও অনেকেই কিন্তু একটা অদৃশ্য লিঙ্ক পাচ্ছেন। অসিন বলেছিলেন পূর্ব সিরিয়ায় ইরানের সেনাবাহিনীর ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কোরের একটি অস্ত্রভাণ্ডারে বিমান থেকে বোমাবর্ষণ করা হয়েছে। ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন সেনাকর্মীদের বিরুদ্ধে কাডস ফোর্সের হামলার জবাব দেওয়া হয় প্রয়োজনে আরও কড়া পদক্ষেপ করা হবে। এই ঘটনার পরই অনেকে আশঙ্কা করছিল ইরান বোধহয় এর পাল্টা দেবে। আমেরিকার বিরুদ্ধে গিয়ে ইরান কোনও হামলাও চালাতে পারে কিন্তু সত্যিই কি ব্যাপারটা এতটাই সহজ? ইরানের ইব্রাহিম রাইসি বোধহয় এক্ষেত্রে কঠিন পথে না গিয়ে সোজা পন্থাটাই বেছে নিলেন। সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী রাইসি বলেছেন ইসরায়েল হামাস যুদ্ধের মূল অপরাধী আমেরিকার সরকার। ইজ়রায়েল তাদের অবৈধ সন্তান হাজার হাজার বঞ্চিত প্যালেস্টিনীয় শিশুর জীবনের বিনিময়ে। ইজ়রায়েলকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা তারাই গাজ়ার নিরুপায় মানুষগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষার নামে ইহুদি আগ্রাসনকে উস্কানি দিয়েছে। ইরানি প্রেসিডেন্টের আরও অভিযোগ, যুদ্ধের আসল যন্ত্র আমেরিকার হাতেই আছে তারাই গাজ়ায় যুদ্ধবিরতিতে বাধা দিচ্ছে। আমেরিকার এই আসল রূপ সারা বিশ্বকে চিনে নিতে হবে।
বিশ্লেষকদের মতে ইরান এখন খুব ঠান্ডা মাথায় এগোচ্ছে। তারা জানে আমেরিকার বিরুদ্ধে লড়ার ক্ষমতা তাদের নেই। তাই আমেরিকার বিরুদ্ধে ভার্বালি উস্কানির কাজটাই শুরু করলেন রাইসি। এমনিতেই ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের ঘোলা জলে মাছ ধরতে তৎপর হয়েছে ইরান। হামাসকে রীতিমত মদত জোগাচ্ছে তেহরান।দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি সাফ বলেছেন হামাসকে নিয়ে তিনি গর্বিত কিন্তু তারপরও ইরান যে এখনই যুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে জড়াবে না সেটা পরিস্কার হয়ে গিয়েছে। অনেকেই বলছেন দেখা যায় এভাবেই কতদিন যুক্তরাষ্ট্রকে ঠেকিয়ে রাখতে পারে তেহেরান।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম