।। প্রথম কলকাতা ।।
Success Story: বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় দাঁতনের যুবক! তাঁর কৃতিত্ব জানলে আপনি অবাক হবেন। আপনি নিশ্চয়ই উপলব্ধি করছেন, দিন দিন বদলে যাচ্ছে প্রযুক্তি। তাতে আমরা দিন দিন আধুনিক হচ্ছি। আমাদের জীবন যাপন আরও উন্নত হচ্ছে। তা সম্ভব হচ্ছে বিজ্ঞানীদের নিরলস গবেষনায়। আপনার রাজ্যেরই এক যুবক গবেষণায় গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে। তার কৃতিত্বের কথা শুনলে গর্বে তো আপনার বুক ভরে উঠবেই। তিনি দাঁতনের যুবক সুমন্ত সাহু। গোটা বিশ্ব আজ তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তিনি গৌরবান্বিত করেছেন আমাদের রাজ্য তথা দেশকে। ঠিক কি করেছেন তিনি? চলুন জেনে নেওয়া যাক এই প্রতিবেদনে।
ইলেকট্রিক গাড়ির সুপার ক্যাপাসিটর তৈরি করে ফেলেছেন দাঁতনের যুবক সুমন্ত সাহু। তার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীদের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। এজন্য তাঁকে কুর্নিশ জানাচ্ছে গোটা বিশ্ব। আপনার মনে প্রশ্ন জাগবে, কি এই সুপার ক্যাপাসিটর। আপনি নিশ্চয়ই জানেন, বর্তমানে দূষণহীন ইলেকট্রিক গাড়ির চাহিদা বাজারে বেড়েই চলেছে। ভারতের বাজারেও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ইলেকট্রিক চালিত গাড়ির সংখ্যা। এই গাড়ি কতক্ষণ চড়বে তা নির্ভর করে ক্যাপাসিটরের ওপর। গাড়ির রিচার্জেবল ব্যাটারির গতানুগতিক ক্যাপাসিটারকে আরও উন্নত করতে বিশ্বজুড়ে নানা গবেষণা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। ঠিক তখন সুপার ক্যাপাসিটর বানিয়ে ফেলেছেন সুমন্ত। সেই কাজের জন্যই বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীদের তালিকায় নাম তুলে ফেলেছেন তিনি।
সুপার ক্যাপাসিটর ব্যাটারির ইলেকট্রোড নির্মাণে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীদের তালিকায় দু’বার নাম তুললেন সুমন্ত। আপনাকে জানানো যাক, স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রকাশিত বিশ্বের মাত্র দুই শতাংশ বিজ্ঞানীদের নাম রয়েছে এই তালিকায়। তার মধ্যে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন এই ভারতীয় এই যুবক। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে জন্ম সুমন্তর। বাবা ছিলেন পদার্থবিদ্যার শিক্ষক। ছোট থেকেই মেধাবী সুমন্তর ইচ্ছে ছিল দেশ-দশের নাম উজ্জ্বল করার। দাঁতন হাইস্কুল থেকে পড়াশুনা করেন তিনি। পরে ষ মেদিনীপুর কলেজ এবং বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাশ করেন।
২০১৩ সালে খড়গপুর আইআইটি থেকে ডক্টরেট করেন তিনি। এরপর কোরিয়াতে আন্তর্জাতিক গবেষক হিসেবে নিযুক্ত হন। ২০১৫ তে কোরিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক গবেষক হিসেবে অধ্যাপনা শুরু করেন। এরপর ফিরে আসেন ভারতে। অন্ধ্রপ্রদেশে একটি প্রতিষ্ঠানে বেশ কয়েক বছর অধ্যাপনার কাজ করেন। ফের তিনি দক্ষিন কোরিয়াতে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শুরু করেন। পাশাপাশি বর্তমানে সুপার ক্যাপাসিটর নিয়ে গবেষণাও চালাচ্ছেন। দেশ বিদেশের বহু জার্নালে গবেষণামূলক প্রবন্ধ লিখেছেন সুমন্ত।সম্পাদনা করেছেন বইয়েরও। সুমন্তর এই কৃতিত্বে গর্বিত দাঁতন। গর্বিত পরিবার-পরিজন থেকে আত্মীয়-স্বজনেরা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম