।। প্রথম কলকাতা ।।
ডিরেক্ট ইউরোপের বুকে আঘাতের প্ল্যান। অস্ত্রের পাহাড় দেখবে দুনিয়া? রাশিয়ার পর সরলো ন্যাটো!বড় বিপদের আশঙ্কা! কন্ট্রোল ফেইল, স্নায়ুযুদ্ধ শুরুর দিনক্ষণ ঠিক? আর কথা নয়, বিশ্বজুড়ে শেষকথা বলবে অস্ত্র? ঠাণ্ডা যুদ্ধ ফিরলে কী ঘটবে পৃথিবীর বুকে? স্নায়ুযুদ্ধের মানসিকতা পুষছে বিশ্বের সুপার পাওয়ারগুলো? বড় বড় দেশ, সামরিক জোটগুলো? কোন পথে হাঁটছে রাশিয়া, ন্যাটো? অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি ভেঙে বেরিয়ে গেছে রাশিয়া। পাল্টা দিল ন্যাটো ও। রাশিয়ার পর এবার ইউরোপে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি থেকে সরে গেল ন্যাটো। আর এতেই ফের ইউরোপে স্নায়ুযুদ্ধের শঙ্কা তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
রুশ-ন্যাটো সঙ্ঘাতের এই আবহে নিউক্লিয়ার যুদ্ধের চান্স বাড়ছে। ফের ষাট এবং সত্তরের দশকের ‘ঠান্ডা যুদ্ধে’র দিনগুলো ফিরে আসার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখানেই অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তির প্রয়োজনীয়তা। অস্ত্র যুদ্ধের সম্ভাবনা হ্রাস করতে বা যুদ্ধ ঘটলে এর ধ্বংসলীলা সীমিত করতে সাধারণত প্রতিযোগিতামূলক বা বিরোধী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সহযোগিতার একটা সাইড বোঝায়। সেই অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি ভেঙ্গে যাওয়ায় কোন সর্বনাশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে গোটা বিশ্ব? এই প্রথম নয়। এর আগেও, স্নায়ু যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সই করা অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তিতে থাকবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিল পুতিন সরকার। ২০০৭ এ এই চুক্তিতে অংশগ্রহণ স্থগিত, ২০১৫ তে সক্রিয় অংশগ্রহণ বন্ধ করে দেয় রাশিয়া। আর এবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই চুক্তি থেকে সরে এসেছিল রাশিয়া।
ক্রেমলিন বলেছে, স্নায়ু যুদ্ধের সময় সই হওয়া ওই চুক্তি অনেকটা অকেজো হয়ে পড়েছিল। এই চুক্তি প্রত্যাহারের জন্য রাশিয়ার সীমান্তের কাছে ন্যাটোর সম্প্রসারণকে দায়ী করেছে মস্কো। মস্কো বলছে, মার্কিন চাপে পড়ে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো চুক্তির বিধিনিষেধগুলোকে ভেঙে দিয়েছে তাই এই চুক্তিতে আটকে থাকার কোন মানেই হয় না। যদিও, রাশিয়ার এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ন্যাটো। মস্কোর সঙ্গে স্নায়ুযুদ্ধ এড়াতে ন্যাটোর ৩১ টা সদস্য দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি দেশ অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি বহাল রাখতে চাইলেও ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে তা সম্ভব হয়নি বলেই মনে করা হচ্ছে। আর এই অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি বেঁচে না থাকার কারণে, কোল্ড ওয়ার পরিস্থিতি ঘনাচ্ছে পৃথিবীর বুকে। স্নায়ুযুদ্ধ মানে কোল্ড ওয়ার।
মূলত যুদ্ধ হবে এমন অবস্থা কে বোঝায়! যা যুদ্ধাবস্থা নয়, আবার কোন শান্তিপূর্ণ অবস্থাও কিন্তু নয়! এটা যেমন সরাসরি অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ হয় না, আবার সব রাষ্ট্র একই সিদ্ধান্তে আসতেও পারে না।জানিয়ে রাখি, ১৯৯০ সালে শীতল যুদ্ধের একেবারে শেষদিকে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে ন্যাটো জোটের ‘ট্রিটি অন কনভেনশনাল আর্মড ফোর্সেস ইন ইউরোপ’বা সিএফই চুক্তি সই হয়েছিল। চুক্তিতে ইউরোপে মোতায়েন ট্যাংক, সাঁজোয়া যান, কামান, হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমানের সংখ্যা সীমিত রাখার কথা বলা হয়েছিল। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেই অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি সিএফই থেকে বেরিয়ে যাওয়ায়, সিএফই শেষ পর্যন্ত ইতিহাসে রূপান্তরিত হলো। আর তাতেই শীতঘুম ভেঙে যাবার চান্স রয়েছে স্নায়ুযুদ্ধের। পরিস্থিতি গোটা বিশ্বকে একটা নতুন হুমকির সামনে দাঁড় করাতে পারে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম