।। প্রথম কলকাতা ।।
রশ্মিকার পর ক্যাটরিনার ছবি এডিট করে ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। শুধু সেলিব্রেটি নয়! ফেসবুক, ইনস্টায় ছবি তো আপনিও পোস্ট করেন বিজ্ঞানের অভিশাপে আপনিও বিপদে পড়তে পারেন! অন্য কোনও মহিলার বোল্ড ছবিতে আপনার মুখ বসিয়ে এই জালিয়াতি হতে পারে যে কোনও দিন! ডিপফেক টেকনোলজি সত্যিই ভয়ঙ্কর! জানেন এটি আসলে কী হয়? একটা ছবি নিয়ে তিল থেকে তাল করতে কয়েক সেকেন্ড লাগে প্রতারকদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার নকল ছবি ঘুরে বেড়াচ্ছে না তো? সাধারণ মানুষের কাছে বোঝা ওত সহজ নয়। কীভাবে সতর্ক থাকবেন? জানুন এখনই। এই অপরাধে কী সাজা হতে পারে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিল কেন্দ্র।
ডিপ ফেক শব্দটির মানে হল এমন ছবি বা ভিডিও যাতে অন্যের শরীরে আপনার মুখ বসিয়ে দেওয়া হবে। বা কখনও খোলামেলা পোশাকে আপনার ছবি বিকৃত করে ভাইরাল করে দেওয়া হল। এই দেখুন টাইগার ৩ ছবিতে ক্যাটরিনার ছবিটি এরকম ছিল। সেটিকে এডিট করে আরও বোল্ড করে দেওয়া হয়েছে। এমনভাবে এডিট করে দেওয়া হয়েছে যে আসল নকলের পার্থক্য বোঝাই যাচ্ছে না। কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
এরকম নকল ছবি তৈরি করতে সেই ব্যক্তির ৫ বা তার বেশি ফটো প্রয়োজন হয়। তারপর AI সেই ছবিগুলি ভালোকরে বোঝার চেষ্টা করে। এর পরে যে যতটা চায় তত বেশি ডিপ ফেক ছবি তৈরি করতে পারে। তাই ফেসবুকে ছবি ভিডিও শেয়ার করলে তা পাবলিক না রাখাই ভালো। ইনস্টাগ্রামের প্রোফাইলও প্রাইভেট করে রাখুন। সোশ্যাল মিডিয়ার পাসওয়ার্ড স্ট্রং রাখতে হবে। এই প্রযুক্তির সাহায্যে ফেক অডিও তৈরি করা যায়। হুবহু আপনার কণ্ঠস্বর নকল করা হতেই পারে। এভাবে যে কোনওদিন ফেঁসে যেতে পারেন বলছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরাও।
রশ্মিকা বা ক্যাটরিনার সাথে যা হয়েছে। তা নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে। এমন কাজের বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন অমিতাভ বচ্চন। একজনের দেহে অন্যজনের মুখ বসিয়ে দেওয়ার মত ঘটনা নিয়ে কড়া নির্দেশিকা দিল কেন্দ্র। কম্পিউটার রিসোর্সকে কাজে লাগিয়ে যদি কেউ ভুল ভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করে কিংবা কোনও ব্যক্তির সঙ্গে বিশ্বাস ঘাতকতা করা হয় তাহলে তিন বছর পর্যন্ত জেল এবং ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। বিকৃত ছবি বা ভিডিও শেয়ার হওয়ার পর কোনও রকমের অভিযোগ আসার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সব রকমের থেকে মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
ডিপফেক ভিডিয়োয় ব্যক্তির শরীরের গঠন অনেক সময় বিগড়ে যায়। হাত-পা লম্বা দেখায়, মুখের আদল খানিকটা বদলে যায়, ব্যক্তি হাঁটাচলা করলেও দেখতে বিকৃত লাগে। তাই ভালো করে যাচাই করতে হবে। ইন্টারনেটে কিছু দেখে আমরা তা আদৌ সত্যি কি না তা যাচাই না করেই শেয়ার করে দিই। অথচ নকল বা অসত্য কোনও ভিডিয়ো শেয়ার করলে ভবিষ্যতে আপনি আইনি সমস্যায় পড়তে পারেন। তাই সাবধান হন। বলছেন সাইবার বিশএষজ্ঞরা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম