।। প্রথম কলকাতা ।।
গাজাকে চিরে দুভাগে ভাগ করে দিল ইজরায়েল। মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্র পুরোপুরি বদলে যাবে এবার যুদ্ধের মধ্যে কাউকে না বলেই ইরাকে কেন পাড়ি দিলেন ব্লিঙ্কন? আতঙ্ক আরও বেড়ে গেল কোথায় যাবেন গাজার নাগরিকেরা? আমেরিকার কন্ট্রোল থেকে বেরিয়ে গিয়েছে ইজরায়েল। একটুকরো তো ভুখন্ড তারওপর সেখানে নির্বিচারে প্রাণ যাচ্ছে মানুষের কিন্তু ইজরায়েল এবার গাজায় যা করতে চাইছে তার ফলাফল যে আরও মারাত্মক হতে পারে এমনটাই অনুমান করছেন যুদ্ধ বিশেষজ্ঞরা। কোন রাখঢাক না রেখে নিজেদের পরবর্তী প্ল্যানিংয়ের কথা সাফ জানিয়ে দিয়েছে ইজরায়েলের সেনা মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি। গাজাকে দুটো খন্ডে ভাগ করে দেবে তেল আভিভ কিন্তু এসময় আমেরিকা ইজরায়েলকে না সামলে ইরাকে কেন পাঠাল মার্কিন স্টেট সেক্রেটারি অ্যান্টনি ব্লিঙ্কনকে? ব্লিঙ্কনের এই সফর নিয়ে জলঘোলা এজন্যই হবে কারণ কোনও ধরণের ঘোষণা বা প্রিপ্ল্যান ছাড়াই ইরাকে উপস্থিত হয়েছেন তিনি। আর সেখানেই তাঁকে পড়তে হল চরম বিপর্যয়ের মুখে।
আগে গাজা নিয়ে বেঞ্জামিন নেতানইয়াহুর পরিকল্পনাটা জেনে নিন। সেনা মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি জানাচ্ছেন ইজরায়েল সেনা গাজা সিটিকে চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলেছে। এবার তাদের গাজাকে দুই খণ্ডে ভেঙে ফেলার পরিকল্পনা রয়েছে। এখন গাজা দুটি অংশে বিভক্ত উত্তর গাজা ও দক্ষিণ গাজা। ইজ়রায়েলি সেনার তরফে দাবি করা হয়েছে যে তারা রণকৌশলের খাতিরে উত্তর এবং দক্ষিণ এই দু’ভাগে ভাগ করেছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে সেখানে আতঙ্কিত মানুষেরা কোথায় যাবেন?তারা কোথায় গেলে রেহাই পাবেন ইজরায়েলের এমন ভয়ংকর হামলা থেকে? উত্তরে যুদ্ধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন কোথাও নয় ইজরায়েল সেখানকার মানুষের জন্য নয়। নিজেদের আক্রমণের রণকৌশল নির্ধারণ ও গোটা গাজা দখল করতেই। গাজাকে এভাবে দুটো ভাগে ভাগ করে দিয়েছে সেখানকার মানুষকে দক্ষিণ গাজাতেই চলে যেতে বলা হচ্ছে। হাগারি বলছেন ইসরায়েল এখনও গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিণাঞ্চলে যেতে বাসিন্দাদের জন্য একটি ‘করিডর’ খোলা রেখেছে। কিন্তু কী গ্যারান্টি আছে সেখানে গেলে ইজরায়েলর তাদের ওপর কোনও হামলা করবে না? তেল আভিভ বলে দিচ্ছে গাজার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলকে লক্ষ্য করেই বেশি হামলা হয়েছে। উপকূলে থাকা শরণার্থী শিবিরে প্রচণ্ড হামলা চালানো হয়েছে।
এদিকে ইজরায়েল সফর শেষ করার পরই রবিবার ওয়েস্ট ব্যঙ্ক, ইরাক ও সাইপ্রাসে যান মার্কিন স্টেট সেক্রেটারি অ্যান্টনি ব্লিনকিন তিনি সেখানে দেখা করেন। প্যালেস্তাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গেও। সেখানে গিয়ে কার্যত ক্ষোভের মুখেই পড়তে হয় ব্লিঙ্কনকে। গাজায় প্রায় ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু নিয়ে কেন চুপ আমেরিকা? প্রশ্ন ওঠে বড়সড় যদিও ওয়াশিংটনের তরফে যুদ্ধবিরতির আর্জিই জানানো হয়েছে কিন্তু আমেরিকার কথা নেতানইয়াহু কানে তুললে তো? এদিকে জানা যাচ্ছে গাজায় প্যারাস্যুটের মাধ্যমে চিকিৎসা সরঞ্জাম দিয়েছে জর্ডান। জর্ডানের বাদশাহ আব্দুল্লাহ জানিয়েছেন তাঁর দেশের বিমান বাহিনী গাজা উপত্যকায় স্থাপি তজর্ডানের হাসপাতালে জন্য জরুরি চিকিৎসা ও ওষুধ সহায়তা পাঠিয়েছে।
সেসব সহায়তা সড়কপথে কোনওভাবে পৌঁছচ্ছে না বিমান থেকে এসব সহায়তা ছুড়ে ফেলা হয় বলে জানা যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেয়া এক পোষ্টে বলা হয় গাজায় যারা আহত হয়েছে তাদের সহায়তা করা জর্ডানের সামরিক বাহিনীর দায়িত্বের অংশ। অবশ্য বিষয়ে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী তাৎক্ষণিক কোন মন্তব্য করেনি। তবে এটাও অস্বীকার করা যাচ্ছে না গাজায় একটি মানবিক বিরতির বিষয়ে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে ওয়াশিংটন। রবিবার আম্মানে আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেন যেখানে আরব রাষ্ট্রগুলো মানবিক বিরতির পরিবর্তে জরুরী অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব আনেন কিন্তু প্রস্তাব কি প্রস্তাবের পর্যায়েই থাকবে নাকি বাস্তবে রূপান্তরিত হবে! এটা এখনও কেউ বাজি রেখে বলতে পারছেন না।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম