।। প্রথম কলকাতা ।।
কাতারের সঙ্গে পাকিস্তান আর্মি প্রধানের লাগাতার মিটিং। ভারতকে সবক শেখাতে পাকিস্তানই করেছিল প্ল্যান। মোদী সৌদি মডেল আরোপ করবে কাতার ওপর। পাকিস্তানের থিঙ্ক ট্যাঙ্কদের ভারতকে সাপোর্ট ঘুম ছুটল দোহার। অর্থনীতিতে প্রতিপত্তি থাকা মানেই যে বিদেশনীতিও স্ট্রং এমনটা ভুলেও ভাববেন না। পাকিস্তানের ফাঁদে পা দিয়ে দিল কাতার। এবার দোহা বুঝবে কাদের সঙ্গে পাঙ্গা নিয়েছে তারা। পাকিস্তানের থিঙ্ক ট্যাঙ্করা ৮ ভারতীয় অফিসারের মৃত্যুদন্ডের নির্দেশে কাতারকে নয় সমর্থন করছে ভারতকেই। সৌদি মডেল কী? যা ভারত যে কোনো মূহুর্তে অ্যাপ্লাই করতে পারে কাতারের ওপর। কাতার হঠাত করে এমন নির্দেশ দেওয়ার পর প্রথমেই সন্দেহের তীর ছিল পাকিস্তানের দিকে। এবার পাক মিডিয়ার এক খবরে সেই সন্দেহ যেন বাস্তবে পরিণত হওয়ার দিকেই ইঙ্গিত করছে এমনটাই বলছে ওয়াকিবহাল মহল।
কেন এখনই কাতার আর্মির মাথারা পাকিস্তানে সফর করল? কেন পাকিস্তানের আর্মি প্রধান আসিম মুনির তাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন? জানা যাচ্ছে এই বৈঠকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কাতার ও পাকিস্তানের। তবে জল যেদিকে গড়াচ্ছে সেটাকে খুব একটা সুবিধা মনে করছেন না বিশ্লেষকেরা। তারা বলছেন এমনিতেই পাকিস্তানের সঙ্গে কাতারের সম্পর্ক বেশ মজবুত। পাকিস্তানকে অর্থনৈতিকভাবে বিভিন্ন সময় সাহায্য করেছে কাতার। আবার ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপের সময় পাক আর্মিই কাতারের বিভিন্ন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গেছিল সেদেশে। শুধু তাই নয় কাতারের রাজা ও রাজকুমার তাদের শিকারের শখ পুরণের জন্য বারবার পাকিস্তান যান। তাই এই মিটিংয়ের খবর ফাঁস হওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে পাকিস্তানের কতটা উস্কানি ছিল।কাতারে ভারতের ৮ অফিসারকে অপরাধী প্রমাণ করার নেপথ্যে একটা কথা জেনে নিন কানাডা কিন্তু যে অভিযোগটা ভারতের বিরুদ্ধে তুলেছিল সেটা এখনও প্রমাণ করতে পারেনি। নিজ্জরের হত্যাকারীরা যে ভারতের সঙ্গে জড়িত তার কোনও প্রমাণ ট্রুডো তুলে ধরতে পারেননি। এদিকে কাতার ভারতকে এই সংক্রান্ত কোনও প্রমাণ দেখানোর প্রয়োজনই মনে করেনি। এক্ষেত্রে পাকিস্তানি থিঙ্ক ট্যাঙ্কেরা বলছেন কাতার জেনে বুঝে নিজের পায়ে নিজেই কোপ দিল।
কাতারের সঙ্গে সৌদি আরব ও আরব আমিরাতের সম্পর্ক একেবারেই সুখকর নয়। এমন অবস্থায় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কি এ কেসে ওই দুই দেশের সাহায্য নিতে পারেন? এখানেই উঠে আসছে সৌদি মডেলের কথা। সৌদি আরবেও শরিয়ত নিয়মে চলে আইন কাতারেও। তাই মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে আইন খুব শক্ত হলেও অনেক সময় মৃত্যুদন্ড দেওয়ার পরও সাজা কম হয়ে যায়। ১৯৯৭ সালে সৌদিতে অস্ট্রেলিয়ার নার্সকে হত্যার ঘটনা ব্রিটেনর ২ নার্সকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছিল কিন্তু ব্রিটেনের কূটনৈতিক চাপে ২ নার্সকে মুক্তি দেয় সৌদি। এর মানে মিডল ইস্টে আগে যা হয়েছে তা এখনও হতে পারে। তবে ভারত সৌদিকে এই ঘটনায় জড়াবে কিনা যদিও এমন কোনও খবর এখনও সামনে আসেনি। পাকিস্তানের বুদ্ধিজীবী মহলের দাবি কাতার যদি পাকিস্তানের পরিকল্পনায় এমন কিছু করে থাকে তাহলে তারা জানে না ভারতের বর্তমানে বিদেশনীতি ও কূটনীতি ঠিক কতটা পরিমাণ শক্তিশালী।
আমেরিকা কাতারের সামরিক সহযোগী। ভারতের চেষ্টা হতে পারে আমেরিকার দ্বারা কাতারের ওপর চাপ সৃষ্টি করার এমনকি ৮ প্রাক্তন নেভি অফিসারকে দেশে ফেরানোর জন্য ভারত রাষ্ট্রপুঞ্জেরও দ্বারস্থ হতে পারে। তবে কাতার যেমন গোপনেই গোটা বিচারের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে তেমন ভারত এখনও পর্যন্ত কী কূটনৈতিক স্টেপ নিল। সেই খবর কিন্তু কোনওভাবেই প্রকাশ্যে আনা হয়নি। এবার দেখার খেলা কোনদিকে ঘোরে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম