।। প্রথম কলকাতা ।।
ইউক্রেনকে পুরোপুরি গুড়িয়ে দেওয়ার হামলা রাশিয়ার। মস্কোর এভাবে আচমকা হামলায় চমকে গেলেন জেলেনস্কি। ভেঙে পড়বে কিয়েভে সব বহুতল-বাড়িঘর! ইজরায়েল যুদ্ধের মাঝে এ কী তান্ডব রাশিয়ার? ইজরায়েল হামাস যুদ্ধের জমিয়ে ফায়দা তুলছেন ভ্লাদিমীর পুতিন। আমেরিকা কি এ সুযোগে ধীরে ধীরে পাশ কাটিয়ে নিচ্ছে। ইউক্রেন একা হয়ে যাচ্ছে এটাই বাস্তব ফ্যাক্ট। রাশিয়া যা করে ফেলছে জেলেনস্কির কূটনীতি সেখানে ফেল। একসঙ্গে ইউক্রেনের ১০টা প্রদেশে বড়সড় হামলা রাশিয়ার। এতদিন ধরে যেন এই সময়টারই অপেক্ষা করছিলেন ভ্লাদিমীর পুতিন। একবার বিশ্বের নজরটা ঘুরুক তারপরই কেল্লাফতে। দ্যা গার্ডিয়ান, আলজারিরা, সিএনবিসি একের পর এক আন্তর্জাতিক মিডিয়া খবর করছে বড়সড় হামলা হয়ে গিয়েছে ইউক্রেনের ওপর। আর সেটা যে তারা কোনওভাবেই আটকাতে পারেনি রিপোর্ট পড়লেই তা স্পষ্ট হয়ে যায়। মিশাইল অ্যাটাক নাকি অন্য কোনও পন্থা?
এদিকে জোরকদমে আক্রমণ করছে রাশিয়া অন্যদিকে ঠান্ডা ঘরে বসে ইজরায়েল ও প্যালেস্টাইন নিয়ে একের পর এক মন্তব্য করে যাচ্ছেন তিনি। যাতে বিশ্বের নজর এখন রাশিয়া ইউক্রেনের থেকে ঘুরে থাকে? দখলদার শক্তি হওয়ায় নিজেদের আত্মরক্ষার কোনো অধিকার নেই। ইসরায়েলের রাষ্ট্রপুঞ্জে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভাসিলি নেবেনজিয়া এমনটাই বলেছেন। বর্তমানে ইউক্রেনের অবস্থা কতটা সঙ্কটজনক দেখুন। একসঙ্গে ৩৮টা শাহেদ ড্রোন ও কেএইচ-২৯ মিশাইল ছুঁড়েছে রাশিয়া। আর যেভাবে এলোপাথারি এই ড্রোন হামলা হয়েছে তাতে ইউক্রেনের বহু বাড়ি, বড় বড় বিল্ডিংয়ের ধ্বংস হওয়ার খবর আসছে। জাপোরিজিয়া বিদ্যুত কেন্দ্রের খুব কাছে ও খেরসনের দক্ষিণাংশে কার্যত বড়সড় বিপর্যয়ের মুখে পড়ে গেছে কিয়েভ। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির দাবি যত শীত আসছে রাশিয়া তাদের হামলার পরিমাণ আরও অনেক বাড়িয়ে দেবে।
কারণ শীত এলে কার্যত যুদ্ধ চালানো দুপক্ষের পক্ষেই মুশকিল। তাহলে কি শীতের আগেই সব শেষ হয়ে যাবে? খবর আসছে ইউক্রেনের অস্ত্রের খামতি বাড়ছে। তাহলে কি যুদ্ধে জয় ঘোষণা করতে রাশিয়ার আর কয়েকদিনই বাকি? কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন না তেমনটা নয়। আমেরিকা এখনও হাত তুলে দেয় নি ইউক্রেনের ওপর থেকে অবশ্য আমেরিকা নতুন কোনও যুদ্ধাস্ত্রের সাহায্য ঘোষণা করেনি। খবর মিলছে যুদ্ধে এই পরিস্থিতিতে ৪২৫ মিলিয়ন ডলারের ত্রাণ ইউক্রেনের জন্য ঘোষণার পরিকল্পনা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে শোনা যাচ্ছে ইউক্রেন পশ্চিমাদের ওপর এতটা নির্ভর করার পর এবার অস্ত্র নিজেদের দেশে উত্পাদনের কথা ভাবছে। যেখানে রাশিয়া ইরান, উত্তর কোরিয়া, বেলারুশের লাগাতার সাহায্য নিয়ে যাচ্ছে। পুতিন অলরেডি জানিয়ে দিয়েছেন যু্দ্ধ এখনও টানা চলবে। এবার দেখার রাশিয়ার নেক্সট স্টেপ কী অপেক্ষা করছে ইউক্রেনের কপালে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম