।। প্রথম কলকাতা ।।
সবাইকে খাইয়ে দাইয়ে তবে নিজের খাওয়া। কি রান্না হবে, ব্রেকফাস্ট কি হবে সব খোঁজ খবর রাখতে হয় বাড়ির মহিলাদেরই। আর বাড়ির প্রতিটা সদস্যের খেয়াল রাখতে গিয়ে অনেক মহিলাই নিজের যত্নই নেন না। আপনি বাড়ির সেই মহিলা হলে ভেবে দেখুন তো, সকালের খাবার কখন খান! সবার দিকটা দেখতে গিয়ে আপনার খেতে অনেক বেলা হয়ে যায় তাই না! ভেবে নেন যা হোক একটু পেটে দিলেই হলো। কিন্তু শরীরের কোন পুষ্টির অভাব ঘটছে তা জানেন কি? জানেন, এমন কিছু খাবার রয়েছে যা মহিলাদের খেতেই হবে? না হলে তো দুর্বল হয়ে পড়বেন। আপনি অসুস্থ হয়ে পড়লে বাড়ির বাকিদের খেয়াল রাখবেন কি করে! তাই মহিলাদের কোন কোন খাবার না খেলেই নয়, তা জেনে নেওয়া যাগ এই প্রতিবেদনে।
বিশেষজ্ঞরা ডায়েট চার্টে পুষ্টিকর খাবার রাখার পরামর্শ দেন। তবে বাড়ির মহিলারা সেসবে তেমন গুরুত্ব দেন না।ভালোমন্দ খাবার বাড়ির বাকিদের খাইয়েই বেশি আনন্দ পান তাঁরা। নিজেদের জন্য রাখেন সামান্যই। তার ফলে গোপনে শরীরে বাসা বাঁধে নানা রোগ। তাড়াতাড়ি পৌঁছে যান বার্ধক্যের দিকে। তাই সুস্হ সবল থাকতে মেনে চলুন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ। তাঁরা বলছেন, মেয়েদের ক্ষেত্রে কিছু অতিরিক্ত পুষ্টির জোগান জরুরি। এজন্য বিশেষ ডায়েটের প্রয়োজন। তাই কোন কোন খাবার খেতেই হবে তা এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।
নিয়মিত ডিম খেতে হবে। প্রোটিনের পাশাপাশি ভিটামিন ডি পাওয়া যায় এই খাবারে। মহিলাদের শরীরে তুলনামূলকভাবে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি থাকে। এই পুষ্টি ইমিউনিটি বৃদ্ধিতে, মজবুত হাড় ও দাঁত গঠনে কাজ করে।তা থাইরয়েড হরমোনের কার্যকারিতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে। তাই দেহে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি পূরণ করতে ডিম খান।
টক দই খেতে হবে নিয়মিত। প্রোবায়োটিকে সমৃদ্ধ দই। দইয়ের মধ্যে ভাল ব্যাকটেরিয়া রয়েছে। তা অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। হজম ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি একাধিক রোগের ঝুঁকি কমায় দই। পাশাপাশি এই খাবার থেকে পাওয়া যায় ক্যালশিয়াম, যা মজবুত হাড় ও দাঁত গঠনে সহায়তা করে। যে সব মহিলারা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনে ভোগেন, তাঁদের পাতে রোজ দই থাকা দরকার।
খাবারের মধ্যে থাকুক অনেকটা তাজা শাকসবজি। মহিলাদের দেহে পিসিওডি, থাইরয়েড, রক্তাল্পতার মতো সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। এসব সমস্যাকে দূরে রাখতে শাকসবজি খান। শাকসবজির মধ্যে ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, আয়রনের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে। পাশাপাশি তা সুন্দর ও নিখুঁত ত্বক গঠনেও সাহায্য করে। মহিলাদের ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখা ভীষণ জরুরি। ওজন বাড়লেই ডায়াবেটিস, পিসিওডি, আর্থারাইট্রিসের মতো সমস্যা জাঁকিয়ে বসে।ওজন কমাতে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে জলখাবারে ওটস খান।
ওটসের মধ্যে ভিটামিনের পাশাপাশি ফাইবারও রয়েছে। তা ওজনকে বশে রাখতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের বাদাম খেতে হবে। আখরোট, আমন্ড, কাজুর মতো বিভিন্ন বাদামের ভাল চর্বি রয়েছে। সকালে উঠে কয়েকটা ভেজানো বাদাম খেলে দেহে পুষ্টির অভাব তৈরি হবে না। স্ন্যাকস হিসেবেও বাদাম খেতে পারেন। এতে দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি থাকবে। বাদামের পাশাপাশি চিয়া সিড, ফ্ল্যাক্স সিড, কুমড়োর বীজের মতো দানাও খেতে পারেন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম