।। প্রথম কলকাতা ।।
Gold benefits: কয়েক শতক ধরে মানুষের বিবর্তনে সোনা মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। মানুষের সাজ সজ্জায় গহনা হল একটি অবিচ্ছন্ন অংশ। প্রধানত মহিলাদের জন্য এবং এই ক্রমবর্ধমান সময় ও পরিবর্তনশীল চিন্তাধারার সাথে এমনকি পুরুষও সোনার গহনা পরিধান করা শুরু করেছে। সব ধরনের গহনার মধ্যে সোনার চাহিদা সবচেয়ে বিপুল রয়েছে।
কানের দুল, নোজপিন, ব্রেসলেট নেক পিস, বালা থেকে কোমর বন্ধনী আপনি যেকোনো সময় হিরের জায়গায় সোনা বেছে নিতে পারেন। সোনা পড়ার বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে। ভারতীয় সংস্কৃতিতে যে কোনো উৎসবে এবং বিশেষ অনুষ্ঠানে সোনা পরিধান করা হয়। জানা গেছে মহিলাদের সোনার গহনা পরিধান করার পেছনে কি কারণ রয়েছে সেটি বোঝার জন্য অধ্যায়ন করা হয়েছিল। অধ্যয়নে ব্যাখ্যা করা হয়েছিল যে, মহিলাদের বয়স বাড়ার সাথে তাদের শারীরিক শক্তির ক্ষয় হয়। সেই সঙ্গে শিশুর জন্ম দেওয়ার সাথে মহিলাদের হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই আমাদের পূর্বপুরুষরাই সমস্যার একটি সমাধান পেয়েছেন। মহিলারা যারা সোনা পরিধান করেন তার থেকে উপকারিতা পেয়ে থাকেন, যেহেতু এগুলি প্রতিদিন পরিধান করে থাকলে এটি হাড় শক্ত করতে সাহায্য করে।
সোনা এমন ভাবে পরিধান করা উচিত যাতে পারে যাতে আপনার শরীরকে স্পর্শ করে থাকে। সোনার স্পর্শ আপনার শরীরে না লাগলে কোনো উপকার পাওয়া যাবে না।
যে কোনো শুভদিন দেখেই সোনার গয়না পরুন। শুভ দিন এবং শুভ মুহূর্তে সোনার গয়না পড়া উচিত।
সোনা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। মনে করা হয় যে সোনা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। যারা হার্টের অসুখে ভুগছেন তাদের জন্য সোনা উপকারী এমনটাই বলা হয় আয়ুর্বেদ শাস্ত্রেও। সোনার হার গলায় পড়ে থাকলে হার্টের অসুখ হয় না বলে মনে করেন অনেকে। কারণ বুকের উপর সোনার স্পর্শ হৃদ স্পন্দনকে স্বাভাবিক রাখে বলে মনে করা হয়।
আঙুলে সোনার আংটির ঘর্ষণ আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপযুক্ত বলে মনে করা হয়। যদি আপনি একটি সোনার আংটি আপনার মধ্যমা বা কনিষ্ঠাতে পরিধান করেন এটি আপনার হৃদপিণ্ডকে ভালো রাখবে। সাধারণ সর্দি এবং কাশি থেকে রক্ষা করে।
সোনার নাকছাবি পরিধান করলে সেটি ঋতুস্রাবের সময় ব্যথা কম করতে সাহায্য করে। এটি প্রসবের সময় জটিলতা কম করে।
কোমরে চারপাশে সোনার গহনা পরিধান করলে শরীরে
অ্যাকুপঞ্চার সংযোগ করতে সাহায্য করে যার শারীরিক অনেক যন্ত্রনা সাধারণ সর্দি কাশি এবং শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা কম করতে সাহায্য করে।
সিঁথিতে সোনার গহনা পরিধান করলে আপনাকে শান্ত মনোযোগী করে শরীরের উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
সোনার চুড়ি শরীরে নিয়মিত রক্ত প্রবাহে সাহায্য করে। নেকলেস অথবা মঙ্গলসূত্র ইতিবাচক শক্তির আকর্ষণে সাহায্য করে যা শরীর এবং মন ভালো রাখতে সাহায্য করে।গলার সোনার নেকলেসের ঘর্ষণের সাথে অনেকগুলি স্নায়ু রয়েছে। শরীরে নিয়মিত রক্ত প্রবাহেও সাহায্য করে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম