।। প্রথম কলকাতা ।।
Onion Price Hike: ভারতে কেন হু হু করে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম? ১৫০ টাকা ছুঁতে পারে মূল্য! ভারত কি আমদানি থেকে রপ্তানি করছে বেশি? যে কারণে দাম বাড়ল সেটার সমাধান হওয়া কি সম্ভব? পেঁয়াজ কাটলে আগে চোখে জল আসত এবার পেঁয়াজ হাত লাগালেই পরিণতি হচ্ছে সেরকম। রবিবারই যেখানে বিভিন্ন বাজারে ৮০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল, সেখানেই সোমবার ৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এরমানে একদিনেই কেজি প্রতি ১০ টাকা দাম বাড়ছে আশঙ্কা করা হচ্ছে ডিসেম্বরে এই দাম আরও বাড়তে পারে। তাহলে কি সেক্ষেত্রে ১৫০ টাকা ছুঁতে পারে এক কেজি পেঁয়াজ? ব্যবসায়ী বলছেন অতটা না হলেও ১২০ টাকা কেজি দরেও পৌঁছে যেতে পারে পেঁয়াজের দাম কিন্তু টমেটোর পর হঠাত কেন বাড়ছে এত পেঁয়াজের দাম? ভারতের পেঁয়াজের স্টকে কি টান পড়ল নাকি? ভারত কোন কোন দেশের থেকে আমদানি করে পেঁয়াজ? কাকে কাকেই বা করে রফতানি?
পেঁয়াজের হঠাৎ এই মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে কর্নাটক ও মহারাষ্ট্রে বৃষ্টিতে দেরি, বর্ষার দেরি হওয়ায় খরিফ শস্য উৎপাদনও দেরিতে হয়েছে। ফলে সঠিক সময়ে বাজারে পৌঁছচ্ছে না পেঁয়াজ। চাহিদা থাকলেও জোগান কম হওয়ার কারণেই চড়চড়িয়ে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। গুদামে থাকা পেঁয়াজ নিঃশেষ হয়ে যাওয়া এবং খারিফ শস্যের মরসুমে পেঁয়াজের বাজারে আসতে দেরি হওয়ায় সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে। যার ফলে পাইকারি এবং খুচরো উভয় বাজারেই পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। দেশজুড়ো নবরাত্রির সময় পেঁয়াজের বিশেষ চাহিদা না থাকায় ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল পেঁয়াজ। কারণ সেসময় বেশিরভাগ রাজ্যেই পেঁয়াজ রসুন ছাড়াই খাবার তৈরি হয়। কিন্তু নবরাত্রি শেষ হতেই ফের বেড়েছে চাহিদা এখন বিক্রেতারাই ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে। পেঁয়াজ কিনছেন আতড়দার বা ফড়েদের কাছ থেকেৎসামান্য লাভ রেখেও যদি খোলা সবজি বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি করতে যান তাহলেও দাম ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে পৌঁছচ্ছে।
সমস্যাটা ঠিক এখানেই অগাস্টেই একটা খবর হয়েছিলয়যে কেন্দ্র সরকার মোট ৯টা দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার অনুমতি দিয়ে দিয়েছে। চীন, তুরস্ক, মিশর, পাকিস্তান, কাতার, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, নেদারল্যান্ড ও আরব আমিরাত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছিল ভারত। কিন্তু সেই আমদানিও কি আটকে গিয়েছে? এধরণের কোনো খবর অবশ্য নেই তবে কেন্দ্রের তরফে ন্যূনতম রফতানি মূল্য প্রতি মেট্রিক টন ৮০০ ডলারে বেঁধে দিয়েছে। ২৯ অক্টোবর থেকে ৩১ ডিসেম্বর অবধি এই রফতানি মূল্য ধার্য করা হয়েছে। এছাড়া দেশীয় বাজারে জোগান বজায় রাখতে পেঁয়াজের রফতানিতেও রাশ টানার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, মালেশিয়া, আরব আমিরাতে মূলত পেঁয়াজ রফতানি করে ভারত। জানা যাচ্ছে কেন্দ্রের তরফে বাফার হিসাবে অতিরিক্ত ২ লক্ষ টন পেঁয়াজ মজুত রাখা হয়েছিল গত অগস্ট মাস থেকেই সেই মজুত রাখা পেঁয়াজ ধীরে ধীরে বাজারে ছাড়া হচ্ছিল। বর্তমানে এনসিসিএফ ও এনএএফইডি-র তরফে মোবাইল ভ্যানে করেও পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে। সেখানে ২৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে। এবার দেখার পেঁয়াজের এই দাম ঠিক কবে নিয়ন্ত্রণে আসে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম