।। প্রথম কলকাতা ।।
গাজায় ইসরায়েলের হামলা দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ‘দীর্ঘ’ এবং ‘আরও কঠিন’ হবে! হুঁশিয়ারি ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী। নেতানিয়াহুর দাবি “আমরা জিতবো, আমরা জয়ী হবো।হামাসকে পরাজিত করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।” আরো একগুচ্ছ বক্তব্য জানালো ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। যুদ্ধ বিরতি কি দেওয়া হবে না হামাস কে?কবে থামবে এই লড়াই? জিম্মিরা কি মুক্তি পাবে? গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের হামলা দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। শনিবার এক টেলিভিশন ভাষণে এই যুদ্ধকে দীর্ঘমেয়াদী ও কঠিন যুদ্ধ এবং ইহুদিদের টিকিয়ে রাখতে তিন হাজার বছরের পুরনো যুদ্ধ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, আমরা জিতব। হামাসকে পরাজিত করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।”
হামাসকে পরাস্ত করতে ইসরায়েলি অতিরিক্ত স্থলবাহিনী এখন গাজা উপত্যকার সর্বত্র মোতায়েন রয়েছে বলে তিনি জানান। তার এমন ঘোষণার পরপরই শনিবার রাতে দক্ষিণ ইসরায়েল থেকে গাজায় একাধিক হামলার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এদিকে গাজা শহরকে একটি যুদ্ধক্ষেত্র ঘোষণা দিয়ে বাসিন্দাদের দক্ষিণে চলে যাওয়ার ব্যাপারে সতর্কীকরণ লিফলেট ফেলা হয়েছে। ইন্টারনেট মনিটরিং গ্রুপ নেটব্লকস বলেছে, গাজা উপত্যকায় শুক্রবার থেকে টেলিফোন লাইন ও ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ থাকায় সেখানকার বেসামরিক নাগরিকরা বহির্বিশ্ব থেকে এক প্রকার বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিল। তবে রোববার সকাল থেকে তা আবার স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে এ লড়াইকে ইসরায়েলের দ্বিতীয় স্বাধীনতা যুদ্ধ হিসেবে অভিহিত করে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। এদিকে নেতানিয়াহুর ঘোষণার ফলে গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করা একটি গৌণ উদ্দেশ্যে পরিণত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। গত সাতই অক্টোবর ইসরাইল থেকে অপহৃত ২২০ জনেরও বেশি জিম্মির বিনিময়ে হামাস ইসরাইলের কারাগারে থাকা সব ফিলিস্তিনি বন্দীর মুক্তির প্রস্তাব দেয়। হামাস এ পর্যন্ত কয়েকজন জিম্মিকে মুক্তি দিলেও এখনও বেশিরভাগ তাদের হাতে বন্দি রয়েছে।জিম্মিদের নিরাপত্তা ও মুক্তি নিশ্চিত করতে ইসরাইল গাজায় সামরিক হামলা থামাতে পারে, যারা এমনটা আশা করেছিলেন নেতানিয়াহুর ঘোষণা অনুযায়ী তারা অনেকটাই হতাশ।
হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলের এই যুদ্ধকে তিন স্তরে ভাগ করার কথা জানিয়েছেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট। গত সপ্তাহে, পার্লামেন্ট কমিটিকে তিনি বলেছেন, ‘প্রথম পর্যায়ে অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল, হামাসকে পরাজিত ও ধ্বংস করার জন্য তাদের অবকাঠামো ধ্বংস করা।’ তিনি দ্বিতীয় পর্যায়টিকে ক্রমাগত লড়াই হিসাবে আখ্যা দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘দ্বিতীয় পর্যায়ে ইসরাইলি সেনারা, হামাস সদস্যদের খুঁজে বের করে তাদের নির্মূল করার লড়াই চালিয়ে যাবে।’ এবং তৃতীয় পর্যায়ে, ‘ইসরাইলের নাগরিকদের জন্য নতুন করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন হবে,’ সুতরাং এখনই যুদ্ধ থামার কোন আভাস পাওয়া যাচ্ছে না।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম