।। প্রথম কলকাতা ।।
নির্বাচনের আগেই শেখ হাসিনার পাশে বিশ্ব নেতারা। হারিয়ে দিল যুক্তরাষ্ট্রকে! বিশ্বমঞ্চে শেখ হাসিনার জয় জয়কার। বেলজিয়ামে গিয়ে ঠিক কোন চাল চাললেন? বাংলাদেশকে গোটা বিশ্ব চিনল অন্যভাবে। একটা চুক্তিতেই বড় লাভ করে ফেলল। আরও ফুলে ফেঁপে উঠবে অর্থনীতি। নির্বাচনের আগেই এ কোন মাস্টারস্ট্রোক? শেখ হাসিনার ব্রাসেলস সফর যে গুরুত্বপূর্ণ তা আগেই বলে দিয়েছিলেন দেশটার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন। দেখুন, বাংলাদেশ এখন যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ সময়ের মধ্য দিয়ে। ঠিক সেই সময়ে, শেখ হাসিনার গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগ দেওয়াটা কম বড় পাওনা নয়। এই একটা ফোরামেই উপস্থিত ছিল সুশীল সমাজ, নেতৃত্ব স্থানীয় চিন্তাবিদ থেকে শুরু করে বহু বেসরকারি খাত, বড় বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক সংস্থা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং গোটা বিশ্বের সরকারের প্রতিনিধিরা।
দুদিনব্যাপী গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে এসে শেখ হাসিনা উচ্ছ্বসিত প্রশংসা কুড়িয়েছেন। বিশ্ব নেতাদের কাছে শান্তির জন্য কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, বাংলাদেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার বিশ্বে সর্বোচ্চ। ছাড়িয়ে গিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে। সেই জোরেই আজ বাংলাদেশ বিশ্বের ৩৫ তম বৃহত্তম অর্থনীতি। চরম দারিদ্র থেকে মুক্তি পেয়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। ৭০ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি ১৫ বছরের কম সময়ের মধ্যেই পৌঁছেছে ৪৬৫ বিলিয়নে। শুধুই কি প্রশংসা, নাকি আরও অনেক কিছু নিয়ে ফিরেছেন শেখ হাসিনা? তিনি কিন্তু বড় বাজি রেখে এসেছেন এই ফোরামে। বেলজিয়াম এবং লুক্সেমবার্গ এর কাছে চেয়েছেন শুল্কমুক্ত পণ্য প্রবেশের অনুমতি। ২০৩২ সাল পর্যন্ত এই সুযোগ পেলেই কেল্লাফতে। বৈশ্বিক অস্থিরতার মধ্যেও শক্ত হবে বাংলাদেশের মাটি। ২০২৬ সালের মধ্যে দেশটা উন্নীত হতে যাচ্ছে উন্নয়নশীল দেশে। সেই উন্নয়নে সাহায্য করতে চলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বাংলাদেশ বেলজিয়ামকে প্রস্তাব দিয়েছে, নবায়নযোগ্য শক্তির পাশাপাশি জার্মান নির্মাণ খাতে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে। বিদেশি ওষুধ খাতে স্বাক্ষরিত হয়েছে অংশীদারিত্ব চুক্তি। ওদিকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে বাংলাদেশ এবং লুক্সেমবার্গের মধ্যে স্বাক্ষরিত হবে এয়ার সার্ভিস চুক্তি।
শেখ হাসিনার কথায়, বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের সব থেকে অনুকূল পরিবেশ। সম্প্রতি পশ্চিমা মহলে বাংলাদেশ নিয়ে যেভাবে সমালোচনা হচ্ছে, বারংবার উঠছে মানবাধিকার ইস্যু, সেসব প্রসঙ্গ কিন্তু এখানে ওঠেনি। আগামী নির্বাচন কিংবা মানবাধিকার ইস্যু নিয়ে কোন আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন দেশটার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তার কথায়, বাংলাদেশ মানবাধিকার, মানবিক ন্যায়বিচার এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় রোল মডেল। কারণ এই উদ্দেশ্যেই জীবন উৎসর্গ করেছেন প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ।
গ্লোবাল গেটওয়ে গেটওয়ে ফোরামে শেখ হাসিনার ভাষণ তৈরি করেছে ইতিহাস। জোর গলায় যুদ্ধ এবং অস্ত্র বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। দেশটার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর মতে, নির্বাচনের ঠিক দুই মাস আগে শেখ হাসিনার গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামের আমন্ত্রণ প্রমাণ করে দিল, বিশ্ব নেতারা তার সঙ্গেই আছেন। সত্যি কি তাই? সত্যি কি বিশ্ব নেতারা এই মুহূর্তে শেখ হাসিনার পাশে রয়েছে? সম্মেলনের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন তিনি। আন্তর্জাতিক বহু গণমাধ্যম বারংবার ছুটে গিয়েছেন তার কাছে। প্লেনারি সেশনে যতগুলো বক্তৃতা হয়েছে তার মধ্যে সবথেকে বিষয়ধর্মী এবং হৃদয় স্পর্শী বক্তৃতা ছিল শেখ হাসিনার। বুঝতেই পারছেন, এই একটা ফোরামে বাংলাদেশ দেখিয়ে দিল তার পাশে ঠিক কোন কোন রাষ্ট্র রয়েছে। ঠিক কতটা শক্তিশালী।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম