।। প্রথম কলকাতা ।।
মনে হচ্ছে মা দুর্গা এখানে জ্যন্ত বসে রয়েছেন, মুখে মাসি, অপূর্ব সাজ মায়ের। সিংহাসনের উপর বসে রয়েছেন তিনি। গায়ে সোনার গয়নায় চোখ ধাঁধানো কাজ দেখে মনে হবে ওই সিংহাসন থেকেই মা বিশ্বে সকলকে নজরে রেখেছেন। কলকাতার হরিদেবপুর ৪১ পল্লীর পুজো এবার প্রথম পছন্দ। মণ্ডপে ঢুকতেই আপনার চোখ যাবে একটা জায়গায়। প্রথমে মনে হবে মায়ের জায়গায় একই বেশে বসে রয়েছেন অন্য কেউ। বা হয়তো মা দুর্গার জীবন্ত রূপ। মণ্ডপের থেকেও এই পুজোর আকর্ষণ এর প্রতিমা সিলিকনের তৈরি দুর্গা যেন একেবারে জীবন্ত। শুধু মা দুর্গা নন তার চার সন্তানের সাজও একই রকম। ৪১ পল্লীর সব মূর্তিই সিলিকনের তাবড় তাবড় মণ্ডপকে টেক্কা দিচ্ছে। বিশেষ করে প্রতিমার ক্ষেত্রে মা দুর্গার এই সি্নগ্ধ রূপ দেখলে আপনার মন ভালো হবেই। আলোকসজ্জা সত্যিই প্রশংসনীয়। মণ্ডপেও রয়েছে বিশেষ চমক।
৩৬৫ দিন গঙ্গায় ভক্তি ভরে স্নান। জলে ডুব দিয়ে নিজেকে শুদ্ধ করার পিছনে রয়েছে নানান পৌরাণিক তত্ত্ব। তবে এই স্নানের পিছনের রহস্য কী সেই সূত্র ধরেই এই বছর হরিদেবপুর ৪১ পল্লীর থিম অবগাহন। গয়া,কাশী, বৃন্দাবন ঘুরতে যেতে হবে না। একই ছাউনির তলায় মিলবে বিখ্যাত সব ঘাট। গয়া, কাশী, বৃন্দাবন, হরিদ্বারের দেখা মিলছে এই পুজো মমঅডপেই।থিম পুজোর দৌড়ে কম বেশী এগিয়ে থাকবে সব ক্লাবই। প্রতি বছরের মতো এবছরও হরিদেবপুর ৪১ পল্লী দুর্গা পুজোয় সত্যি নতুন চমক। প্রতি বছরেই থিম পুজো হয়। প্যান্ডেলে ঢুকলে প্রথমেই মনে হবে কাশীর। ঘাটের সামনে এসে দাঁড়িয়েছি মাথার উপর খোলা আকাশ আকাশে মেঘের সাথে রয়েছে তারাদের মিটমিটে আলো। সন্ধ্যা নামছে গঙ্গায় একে একে স্নান সেরে নিচ্ছে সাধু সন্ন্যাসীরা। ২০২২ সালে মা দুর্গার মাতৃরূপের সিলিকন মূর্তি গড়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল
বরানগর নোয়াপাড়া দাদাভাই সংঘ। সেই সিলিকন দুর্গার কারিগর সুবিমল দাসই গড়েছেন হরিদেবপুরের সিলিকন দুর্গা।
পুজোর উন্মাদনায় জমজমাট শহর কলকাতা। পুরোপুরি পুজোর মুড। শহর তিলোত্তমার উত্তর থেকে দক্ষিণ, চারিদিকে গিজগিজ করছে ভিড়। টালা প্রত্যয় থেকে হাতিবাগান, সুরুচি থেকে বালিগঞ্জ কালচারা সব জায়গায় পুজো মণ্ডপের বাইরে মানুষের ঢল। তবে হরিদেবপুর নিয়ে আলাদা উন্মাদনা তৈরি হয়েছে দর্শনাথীদের মধ্যে। পুজোর আগে গঙ্গা স্নান কেন করা হয় বা তাঁর আবির্ভাব কোথা থেকে হল সেই নিয়েই এই বছরের থিম অবগাহনের ভাবনা এসেছে। পুজোর আগে থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই দুর্গা প্তিমা নজরে এসেছিল পুজো প্রেমীদের। এবার সামনা সামনা চাক্ষুস করার পালা। আর সেই মণ্ডপসজ্জা থেকে প্রতিমা দেখতে উপচে পড়ছে দর্শনার্থীদের ভিড়। ভিড়ের মধ্যে সকলের মুখে একটাই কথা। মনে হচ্ছে মা যে একদম জীবন্ত।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম