।। প্রথম কলকাতা ।।
একবার নয় বছরে হয় চারবার দুর্গাপুজো! নভরাত্রী কেন পালন করা হয় জানেন? দেবীর নরূপে নয় রঙের অধিষ্ঠান নভরাত্রীতে ভুলে করবেন না এসব কাজ। বাঙালি যখন দুর্গাপুজে পালন করে তখন সারা দেশে পালিত হয় নভরাত্রী। বছরে একবার চার চারবার হয় দুর্গাপুজো শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। এর মানে দুর্গাপুজোর মাহাত্ম্য শুধু বাঙালির গণ্ডির মধ্যেই আবদ্ধ নয়, অবাঙালিদের কাছেও এর গুরুত্ব রয়েছে। মূলত দেবী দুর্গার ভক্তরা নবরাত্রি উদযাপন করেন। নবরাত্রি এমন একটি উৎসব যা নয় দিন ধরে চলে। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আশ্বিন মাসে শারদীয়া নবরাত্রি। সমস্ত নবরাত্রিগুলির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ। নয় দিন ধরে নবরাত্রি নারীশক্তির ভিন্ন ভিন্ন রূপকে পুজো করা হয়। একইসঙ্গে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মা দুর্গার ভক্তরা উপোস রাখেন।
প্রথমদিন পুজিতা হন দেবী শৈলপুত্রী। ইনি নবদুর্গার এক রূপ অর্থাৎ পর্বতের পুত্রী। তাঁর মধ্যে ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর শক্তির আধার তিনি। তাঁর হাতে ত্রিশূল, ও অন্য হাতে পদ্মফুল। দ্বিতীয় দিনে ব্রহ্মচারিণী রূপে দেবী পূজিতা হন মা। নবদুর্গার এটা দ্বিতীয় অবতার তিনি ব্রহ্মচর্য পালন করেন। তাঁর হাতে কমন্ডুল ও অন্য হাতে রুদ্রাক্ষের মালা দেবীর তৃতীয় অবতার দেবী চন্দ্রঘণ্টা নিজের শক্তি ও স্নিগ্ধতা তিনি সকলের মধ্যে সঞ্চারিত করেন। তিনি জীবন থেকে বাধা সরিয়ে দিয়ে পাপ নাশ করেন। জীবন থেকে গ্লানি দূর করেন। দেবী কুষ্মাণ্ডা রূপেও পূজিতা হন। কুষ্মাণ্ডা শব্দের অর্থ কু- অল্প, উষ্মা উত্তাপ বা শক্তি। নিজের পবিত্র হাসি দিয়ে তিনি বিশ্ব সৃষ্টি করেছেন।
স্কন্দমাতা দেবী মাতার পঞ্চম রূপ। স্কন্দ -কার্তিকেয়র আরেক নাম অর্থাৎ তিনি কার্তিক জননী। তিনি ভক্তদের মোক্ষ, ফল, ও সমৃদ্ধি দিয়ে থাকেন। দেবী কাত্যায়ণী নবদুর্গার আরও এক রূপ। মা দুর্গার খুবই শক্তিশালী রূপ তাঁকে ভদ্রকালী, চণ্ডিকা নামেও ডাকা হয়। তাঁর রঙ লাল কালরাত্রি বা কালী-র আরাধনা হয় নবদুর্গার এই রূপেরও সপ্তম দিনে এই আরাধনা হয়। মহাগৌরী নবদুর্গার অষ্টম রূপ। তিনি দ্রুত ইচ্ছাপূরণ করেন। তিনি পূর্বের, বর্তমানে, ও ভবিষ্যতের পাপ মুছে দেন। প্রত্যেক ঋতুর পরিবর্তনে আসলে নবরাত্রি পালন করা হয়। ইংরেজি মতে সেপ্টেম্বর – অক্টোবর মাসে এক নবরাত্রি পালিত হয়। আর বছরের বাকি তিনটি নবরাত্রি হল মাঘ নবরাত্রি, শীতকালে যা উদযাপিত হয়। চৈত্র নবরাত্রি, বসন্ত কালে যা পালিত হয় এবং আষাঢ় নবরাত্রি, যা উদযাপিত হয় বর্ষায়।
বলা হয় সময়কালে চুল, নখ কাটবেন না। নবরাত্রির সময় পুরুষদের দাড়ি কামানো বা ছাঁটা উচিত নয়। এসময়ে এমন কোনও কাজ করবেন না যা আপনার কথা বা কাজে অন্যদের আঘাত বা অপমান করবে। যারা নভরাত্রী পালন করেন পেঁয়াজ, রসুন এবং অন্যান্য আঁশ জাতীয় কোনও খাবার খান না। এছাড়াও, মাংস খাবেন অ্যালকোহল বা তামাকও সেবন করেন না।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম