।। প্রথম কলকাতা ।।
আরেকটা ভূমিকম্প! রিস্ক হয়ে যাচ্ছে। এবার কী নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে আফগানিস্তান? ভারত কী আদৌ সেফ জোনে?
জানেন কোন কোন রাজ্যের উপর ঝুলছে ফাড়া? গবেষকদের আশঙ্কায় ঘুম উড়ে যাবে। ব্যাক টু ব্যাক ভূমিকম্পের এফেক্ট, কোন ভয়ংকর ইঙ্গিত দিচ্ছে মধ্য এশিয়ার গেটওয়ে? আফগানিস্তান ম্যাপ থেকে পুরো গায়েব হয়ে যাবে? তুরস্কের চেয়েও ভয়াবহ বিপর্যয় হতে পারে? কেন তালিবান শাসিত এই দেশ এতটা ভূমিকম্প প্রবণ? টেনশন বাড়ছে। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধান। তার মধ্যেই ফের জোড়া ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল আফগানিস্তান। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা যথাক্রমে ৬.২ ও ৫.৪। কিন্তু এতো অল্প সময়ের মধ্যে বারবার কম্পন, ভূবিজ্ঞানীরাও ভেবে পাচ্ছেননা। সব থেকে দুশ্চিন্তার বিষয় এর বড়সড় এফেক্ট পড়বে উত্তর ভারতের হিমালয়ের কোলের রাজ্যগুলোতে। রিস্ক বাড়ছে জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচল, উত্তরাখণ্ডের মত ভূবিজ্ঞানীদের।
বিশেষজ্ঞদের একাংশ অবশ্য এটাকে ভূমিকম্পের আফটার শক বলছেন কিন্তু বিষয়টাকে এতটাও হালকা ভাবে নেওয়া উচিত হবে কি? যা ঘটছে এটা কিছুই না,
আগামী দিনে আফগানিস্তানে ভূমিকম্পের পরিমাণ আরো বাড়বে দাবি ভূবিজ্ঞানীদের। কিন্তু কেন? বারংবার আফগানিস্তানই কেন? আমরা সবাই জানি ভূমিকম্প প্রবণ দেশ হিসেবেই পরিচিত আফগানিস্তান। কি কারণে?
পৃথিবীর উপরিভাগ বেশ কয়েকটা প্লেট দিয়ে গঠিত! মাঝে মধ্যেই প্লেটগুলোর সরণ ঘটে। একে অপরের সঙ্গে হয় সংঘর্ষও। তখনই কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। যেমন, বর্তমানে ইন্দো-অস্ট্রেলিয়ান প্লেটটি মারাত্মক রকমের সচল। হিন্দুকুশের দিকে এর একটা নট আছে। সেটার থেকে আলাদা হতে চাইছে ওই এলাকা। আর ঠিক এই কারণেই বারবার কেঁপে উঠছে আফগানিস্তান।
মনে রাখতে হবে হিন্দুকুশ পার্বত্য অঞ্চল এলাকায় প্রায়শই ভূমিকম্প হয়। ইউরেশিয়ান এবং টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত বলেই এমনটা ঘটে। জানলে টেনশন বাড়বে যে গোটা হিমালয়ই নড়বড়ে অবস্থায় রয়েছে। আর আগামী দিনে এই পরিমাণটা বাড়লে, ঘন ঘন ভূমিকম্পের জেরে পশ্চিম আফগানিস্তানের একাধিক জায়গা যেমন পঞ্জশীর বা কান্দাহার পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে বলেও দাবি করেছেন ভূবিজ্ঞানীরা। তাঁদের কথায়, আফগানিস্তানের ভূ প্রকৃতিতে বড় বদল আসতে চলেছে। আর সেটা খুব তাড়াতাড়ি ঘটবেযার প্রভাব টের পাবে উত্তর ভারতের হিমালয়ের কোলের রাজ্যগুলো। গত ৭ অক্টোবর, ভয়াবহ ভূমিকম্পে তছনছ হয়ে যায় আফগানিস্তানের বিস্তীর্ণ এলাকা। মৃত্যু হয় হাজার হাজার মানুষের। আর এদিন?
রবিবার সকালে ভারতীয় সময় ৯:০৬ মিনিট নাগাদ প্রথমবার কেঁপে ওঠে হিন্দুকুশ সংলগ্ন এলাকা। ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার গভীরে ছিল এর উৎস। মাত্র ২০ মিনিটের ব্যবধানে সেখানেই দ্বিতীয়বার কম্পন অনুভূত হয়। ভয়ে তটস্থ দেশটার মানুষ। ফের ভূমিকম্প হওয়ায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে তালিবান শাসকরা। আর এতেই চিন্তা বাড়ছে চীনেরও। কারণ আফগানিস্তানে বিপুল পরিমাণ লগ্নি করেছে বেজিং। ফলে, প্রকৃতির রোষানলে পড়ে বারংবার যদি তছনছ হতে থাকে দেশটা তাহলে চীনের সর্বনাশ রোখে কে?
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম