।। প্রথম কলকাতা ।।
জ্বলে উঠলো হোম কুন্ডলী! প্রাচীন রীতি মেনে জাঁকজমকপূর্ণ ভাবেই শুরু হয়ে গেলো কৃষ্ণনগর রাজবাড়ীর দুর্গা পুজো। এখানে মা দুর্গা যোদ্ধাবেশে পূজিত হন। রাজবাড়ির দালানের দেবী রাজরাজেশ্বরীর ডান প্রান্তে বিশালাকার হোমকুণ্ডলী তৈরি রয়েছে। সেখানেই প্রতিপদ থেকে শুরু হওয়া এই হোম অনবরত জ্বলবে নবমী পর্যন্ত। এটাই প্রাচীন রীতি কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির। আর এই হোম কুণ্ডলীর মাধ্যমেই দুর্গোৎসবের সূচনা হয়ে গেল রাজবাড়িতে।
প্রচুর পরিমাণে ঘি, বেলকাঠ-সহ নানা সরঞ্জাম দিয়ে যজ্ঞ করা হয়। নদিয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের প্রতিষ্ঠিত এই পুজোর হোমের আগুন জ্বলতে থাকবে নবমী তিথি পর্যন্ত। উলটো রথের পরের দিন পাট পুজোর মাধ্যমে শুরু হয় প্রতিমা নির্মাণের কাজ। প্রচলিত দুর্গা প্রতিমার থেকে কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির রাজরাজেশ্বরীর মূর্তি একেবারেই আলাদা। রাজরাজেশ্বরী মাতার সামনের দুটি হাতই বড়। পিছনের আটটি হাত অপেক্ষাকৃত ছোট হয়। দেবীর গায়ে থেকে বর্ম। দেবী থাকেন একেবারে যুদ্ধের বেশে রণং দেহি সাজে।
প্রাচীনকাল থেকে কৃষ্ণনগরে মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা মহামায়া রূপে পূজিত হয়ে আসছেন। এছাড়াও প্রাচীন রীতি মেনে সপ্তমীর দিন ৭ রকম অষ্টমীর দিন ৮ রকম ও নবমীর দিন ৯ রকম পদের উপকরণ সাজিয়ে মাকে ভোগ নিবেদন করা হয়।’
যুদ্ধবেশে মহামায়ারূপী মা দুর্গার আরাধনা শাক্তমতে হওয়ার কারণে এখানে বলির প্রথা রয়েছে। তবে বর্তমানে পশু বলির বলির বদলে আখ কলা ও কুমড়ো বলি দেওয়া হয়। আধুনিকতাকে দূরে সরিয়ে প্রাচীন রীতিকে বজায় রাখার মধ্যে দিয়ে আজও প্রতিবছর বেয়ারাদের কাঁধে চেপে রাজ বাড়ির সরোবরে প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়।চারিদিকে থিমের পুজোর মাঝে আজও চিরাচরিত রীতি মেনে পুজো হয়ে আসছে নদিয়ার কৃষ্ণনগরের রাজবাড়িতে। পুজোর পাঁচ দিন কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির দুর্গাপুজো দেখতে ভিড় করেন অসংখ্য মানুষ।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম