।। প্রথম কলকাতা ।।
Beej manta: অনেকেই বলে থাকেন একাগ্রতার সাথে বীজ মন্ত্র উচ্চারণ করা হলে আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়। বিভিন্ন বিপদ শত্রুদের থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী গ্রহ দুর্বল থাকলে তার সঙ্গে জড়িত অশুভ ফল ব্যক্তিকে ভোগ করতে হয়। দুর্বল গ্রহকে মজবুত করার জন্য এমন কিছু মন্ত্র আছে যার জব করলে শুভ ফল পাওয়া যেতে পারে।
মন্ত্র শব্দের আক্ষরিক অর্থ হল একটি তন্ত্র দ্বারা মনকে বেঁধে ফেলা। জ্যোতিষ মতে মনে অত্যধিক ও অপ্রয়োজনীয় চিন্তা ভাবনা উৎপন্ন হতে থাকলে মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে স্বস্তি পাওয়া যায়। ব্যক্তি নিজের ইষ্ট দেবতার নামের মন্ত্র জপ করলেই স্বস্তি পেতে পারেন। সমস্ত মন্ত্রের নিজস্ব পৃথক পৃথক মাহাত্ম্য রয়েছে।
বীজ মন্ত্রগুলি মহান আধ্যাত্মিক শক্তিকে সমৃদ্ধ শব্দ বা মহাবিশ্বের মানুষ চক্ষে অদেখা ক্ষেত্রগুলিতে কাজ করে। কারণ এই ক্ষুদ্র এবং প্রচন্ড শক্তিশালী বীজন্ত্র এমন কিছু শব্দ দিয়ে গঠন করা হয় যা বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণে সু শব্দ তরঙ্গের সৃষ্টি করে যার দ্বারা গভীর উপায় অলৌকিক কাজ সম্পন্ন হয়।
যদি একাগ্রতা এবং নিষ্ঠার সাথে জপ করা হয় তবেই মন্ত্রগুলি ভক্তদের ইচ্ছা পূরণের সাথে তাদের সমস্ত বিপদ এবং শত্রু থেকে সুরক্ষিত করে।
বীজ মন্ত্রের অর্থ অনুসন্ধান করলে দেখা যায়, ম অর্থাৎ মহেশ্বর বা পরব্রহ্ম এবং চন্দ্রবিন্দু হচ্ছে দুঃখ, হরাত্মক বাচক। আর অনুস্বর হচ্ছে সুখপ্রদ ও দুঃখ নাশন। শক্তিশালী ১৫টি বীজ মন্ত্র ওম বা ব্রহ্মা-বিষ্ণু মহেশ্বর এই ত্রিশক্তি বা পরমব্রম্ভকে বোঝায়।
ক্রিম: ক্রিম বীজ মন্ত্র উপস্থাপনা করে মা কালীকে। এই মন্ত্র জপে শক্তি প্রজ্ঞা এবং সাহসিকতা বাড়ায়।
শ্রীম শ্রীম দেবী মহালক্ষ্মীর বীজ মন্ত্র। শক্তি সম্পদ সামাজিক মর্যাদা অর্জনে সহায়তা করে।
হৃম, এই বীজ মন্ত্র দেবাদিদেব শিবের সমস্ত ভয় মৃত্যুর রোগ এবং হতাশার হাত থেকে রক্ষা করে। এই মন্ত্র জপ করার চূড়ান্ত প্রাপ্তি হল মুক্তি অর্জন।
এছাড়াও বিভিন্ন দেব-দেবীর জন্য রয়েছে বীজ মন্ত্র। যা মানুষের জীবন পরিবর্তন করে দিতে পারে। মনে করেন এই মন্ত্র পাঠ করলে মহাবিশ্বের আনাচে-কানাচে জড়িয়ে থাকা পজেটিভ এনার্জি আমাদের দিকে আকৃষ্ট হয় ।ফলে নেগেটিভ এনার্জীর প্রভাব কমতে শুরু করে। জীবনে আসতে শুরু করে শান্তি, আনন্দ।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম